শ্রীমদ্ভাগবতের আবির্ভাব-দেবর্ষি-মহর্ষি-সংবাদ
মহর্ষি
কৃষ্ণদ্বৈপায়ন বেদব্যাস। দ্বাপর ও কলির সন্ধিক্ষণে তাঁহার আবির্ভাব। এই জাতিকে বাঁচাইবার জন্যই তিনি জন্মিয়াছিলেন। পুরাতন কথা লোকে শুনিতে চায় না। ইহা যুগসন্ধিক্ষণের এক দুর্লক্ষণ। অথচ পুরাতনের সঙ্গে সংযোগ হারাইলে জাতি বাঁচে না। শিকড় কাটিলে গাছ বাঁচে না।
অতীত ঐতিহ্যের সঙ্গে সম্বন্ধ-শূন্য হইলে জাতীয় জীবনে মৃত্যু আসে। এই কারণে পৃথিবীর পৃষ্ঠ হইতে রোম, গ্রীস, মিশর, ব্যবিলন প্রভৃতি দেশের বিরাট সভ্যতার অস্তিত্ব প্রায় লুপ্ত হইয়াছে।
এই বিরাট আর্য্যসভ্যতাকে রক্ষা করিবার জন্য কৃষ্ণদ্বৈপায়ন প্রাচীন শাস্ত্র সকলের যুগোপযোগী নূতন রূপ দান করেন। তাঁহার গ্রন্থগুলির নাম পুরাণ। পুরাপি নব—চির পুরাতন কথা, কিন্তু শুনিলে মনে হইবে অভিনব। পুরাণকার বেদব্যাসের সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ
মহাভারতের মধ্যে বিরাজমান অতুলনীয় শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা। শ্রীকৃষ্ণার্জুন-সংবাদের মধ্যে রাখিয়াছেন নিখিল বেদ-উপনিষদের নিৰ্য্যাস।
এত লিখিয়াও বেদব্যাসের চিত্তে প্রশান্তি আসিল না। জগজ্জীবের মহাকল্যাণকল্পে এত গ্রন্থ করিলেন তথাপি কেন আত্মতৃপ্তি আসিল না? চিন্তাকুল বেদব্যাস বসিয়া আছেন সরস্বতী তীরে। ভাবিতেছেন, কেন চিত্তের এই অপ্রশান্তি?
এমন সময় আসিলেন দেবর্ষি নারদ। দুইজনে বহু মূল্যবান্ কথাবার্তা আর্য্য-সংস্কৃতির দুই মধ্যমণি দেবর্ষি ও মহর্ষি। মহর্ষি চিত্তের ভাব সম্যক্ জানিয়া দেবর্ষি কহিলেন, "বেদব্যাস! তুমি বলিয়াছ সকল কথাই, কিন্তু সকল শাস্ত্র-কথা সার্থক হইয়াছে যে মহাজীবনের মধ্যে, সেই জীবন-কথা বল নাই।
সকল শাস্ত্রের মহাদান প্রাণবন্ত হইয়াছে যে মহানায়কের লীলানাট্যে, তুমি তাঁহার কথা বিস্তারে বল নাই। শ্রীকৃষ্ণের শ্রীমুখের বাণী শ্রীগীতা তুমি বলিয়াছ কিন্তু তাঁহার লীলাকাহিনী শ্রীমদ্ভাগবত তুমি বল নাই। তাহা বলিলেই তোমার চিত্তে পরাতৃপ্তি আসিবে।
তাহা শুনিলেই বিশ্বজীবের পরমা শান্তি লাভ হইবে।" দেবর্ষি নারদ মহর্ষিকে দিলেন বাসুদেব-মন্ত্র আর দিলেন চতুঃশ্লোকী। এই শ্লোকগুলি তিনি পাইয়াছিলেন শ্রীব্রহ্মার নিকট। ব্রহ্মাকে দিয়াছিলেন নারায়ণ স্বয়ং অন্তরে অন্তরে, যখন তিনি ধ্যানস্থ ছিলেন তাঁর নাভি-কমলে।
মন্ত্র ও শ্লোক পাইয়া মহর্ষি ধ্যানমগ্ন হইলেন। তখন অপরোক্ষ অনুভূতিতে শ্রীকৃষ্ণের সমগ্র লীলা তিনি দর্শন করিলেন। দ্রষ্টা বেদব্যাসের লেখনী হইতে স্বউৎসারিত হইল শ্রীমদ্ভাগবত।
শ্রীভাগবত প্রকটিত হইলেন। এখন তাহা দেশময় প্রত্যেক নরনারীর কাছে পৌঁছাইয়া দিবার উপায় কি? বেদব্যাস ভাবিলেন, কোন ছাত্রকে ভাগবত পড়াইব। সে দেশে দেশে গিয়া সজ্জন সভায় পাঠ করিবে, তবেই প্রচারণ হইবে।
ভাগবত এমন তত্ত্ব ও রসের পরিবেশন করিয়াছেন, যাহা আস্বাদন করিতে হইলে আজন্ম ঊর্ধ্বরেতা ব্রহ্মচারী প্রয়োজন। বেদব্যাস এইরূপ ছাত্র পাইলেন না। তাই নিজে যোগ্য সন্তানের পিতা হইবার সংকল্প করিলেন। পিতার তপস্যায় মাতৃগর্ভে সন্তান আসিলেন। দীর্ঘ দিনেও সন্তান ভূমিষ্ঠ না হওয়ায় বেদব্যাস মহামায়ার তপস্যা করিয়া তাঁহার অনুগ্রহে পৃথিবীকে ক্ষণাৰ্দ্ধ সময় মায়াস্পর্শশূন্য করাইলেন। সেইক্ষণে ভূমিষ্ঠ হইলেন শ্রীশুকদেব।
উপবীতাদি হইবার পূর্বেই শুকদেব তপস্যায় চলিলেন। বেদব্যাস হা পুত্র, হা পুত্ৰ বলিয়া পিছনে ডাকিলেন। বন হইতে ডাকের প্রতিধ্বনি আসিল, পুত্র কিন্তু সাড়া দিলেন না। আজন্ম তপস্বী শুকদেব হইলেন ব্রহ্মজ্ঞানী। "ব্রহ্মভূতঃ প্রসন্নাত্মা ন শোচতি ন কাঙ্ক্ষতি। সমঃ সর্বেষু ভূতেষু" — এই হইল শুকদেবের অবস্থা। তখনও "মদ্ভক্তিং লভতে পরাম্" হয় নাই, কারণ ভাগবতে প্রবেশ হয় নাই।
বেদব্যাস পুত্রকে ভাগবতে টানিলেন। সে এক অপূর্ব কাহিনী। বনে ব্রহ্মধ্যানে মগ্ন শুকদেব। কখনও অন্তর্দশা কখনও অৰ্দ্ধবাহ্যদশা। অৰ্দ্ধবাহ্যদশায় শুনিতে পাইলেন ভাগবতের এক শ্লোক—
অহো বকী ষং স্তনকালকুটং জিঘাংসয়াপায়য়দপ্যসাধ্বী।
লেভে গতিং ধাক্রাচিতাং ততোহন্যং কং বা দয়ালুং শরণং ব্রজেম৷
শ্লোক শুনিয়া বিস্ময়াবিষ্ট হইলেন শ্রীশুকদেব। এই মন্ত্রের দ্রষ্টা কে, অনুসন্ধানে জানিয়া, আসিলেন পুনঃ পিতার তপোবনে। আকুল আগ্রহ জানাইলেন ভাগবতীর তত্ত্বরসের আস্বাদনের জন্য। প্রবল লালসা দেখিয়া ব্যাসদেব পুত্রকে ভাগবত দিলেন। তীব্র লালসাই এই বস্তু প্রাপ্তির মূল্য—একান্ত আগ্রহ-মূল্যে শুকদেব ভাগবতধন পাইলেন পিতার নিকট। "তত্র লৌল্যমপি মূল্যমেকলম্"।
ভাগবত পাইয়া শ্ৰীশুকদেব হইলেন ভাগবতপুরুষ, জীবন্ত ভাগবত, চলন্ত ভাগবত। চলিতে চলিতে আসিলেন তিনি হরিদ্বারে ব্রহ্মকুণ্ডের তীরে। সেখানে বিরাট জনসভা। মধ্যস্থলে মহারাজ পরীক্ষিৎ। সাত দিন অনশন সংকল্পে উপবিষ্ট।
এইবার সেই কাহিনী বলি। পরীক্ষিৎ অর্জুনের পৌত্র, অভিমন্যুর পুত্র। তিনি তৎকালে ভারতের সম্রাট্। তাঁহার রাজত্বকালে কলির আগমন হয়। পরীক্ষিৎ রাজা কলিকে স্থান দিতে রাজী হন না। কলি পরীক্ষিতের দেহে পাপের রন্ধ্র খুঁজিতে থাকে।
পরীক্ষিত ও শুক-সংবাদ
"প্রাচীং সরস্বতীম্।" পূর্ববাহিনী সরস্বতী। তীর ধরিয়া চলিয়াছেন মহারাজ পরীক্ষিৎ। দেখিলেন এক অদ্ভুত দৃশ্য। একটি শুভ্র বৃষ। একটি কৃশা গাভী। একজন দণ্ডহস্ত ধূর্ত ব্যক্তি। বৃষটি একপদে দণ্ডায়মান, ভয়ে কম্পমান (বেপমানং পদৈকেন)। গাভীটি মৃতবৎসার ন্যায় রোরুদ্যমানা (বিবৎসামশ্রুবদনাং)। ধূর্তব্যক্তিটি রাজচিহ্নধারী (নৃপলাঞ্ছনম্), লগুড় দ্বারা পুনঃ পুনঃ আঘাত করিতেছে গোমিথুনের গাত্রে।
দূর্বলের উপর অত্যাচার। পরীক্ষিৎ মহারাজ অগ্নিমূর্তি। অমনি ধনুকে বাণ যোজনা করিয়া (সমারোপিতকার্শ্বকঃ) গম্ভীর স্বরে কহিলেন—"দুঃখিতের দুঃখ দূর করাই রাজধর্ম (আৰ্ত্তানামাত্তি নিগ্রহঃ)। আমি অর্জুনের পৌত্র, শ্রীকৃষ্ণের দাস। তুমি রাজবেশী পরপীড়ক। বধ করিব তোমাকে এখনই।" ধূর্ত ব্যক্তি ভয়ে জড়সড় হইল।
আপনারা কে? পরিচয় চাহিলেন উত্তরানন্দন। বৃষ কহিলেন, আমি ধর্ম। সত্যযুগে চারি পা ছিল। "তপঃ শৌচং দয়া সত্যং।" এখন কোন প্রকারে এক পায়ে চলি। তাহাও ভাঙিয়া দিতে চাহিতেছে এই হীন কলি ধূর্ততার আঘাতে। ইনি ধরণী দেবী। ইনি হইয়াছেন কৃষ্ণহারা, তদুপরি কলির প্রহারে লক্ষ্মীছাড়া। অনন্যোপায়া হইয়া রোদনপরা।'
করজোড়ে কলি কহিল, "যদি জীবন দান করিলেন মহারাজ, একটু স্থান দান করুন মাথা গুঁজিবার।" পরীক্ষিৎ কহিলেন, যাও, সেইখানে বাস কর গিয়া, যেখানে "দ্যূতং পানং স্ট্রিয়ঃ সূনাঃ" এই চারি অধর্ম। জুয়াখেলা, মদ্যপান, ব্যভিচার ও প্রাণিহিংসা। কাতর কণ্ঠে কলি কহিল, "মহারাজ, আপনার রাজত্বে ত এই সকল নাই।"
"তবে দূর হও" উত্তর দিলেন পাণ্ডব-বংশতিলক। নিগৃহীত কলি মিনতি করিতে রাজা আরও স্থান দিলেন, সুবর্ণ (ধন)। তৎসঙ্গে আসিবে পাঁচটি অনর্থ — মিথ্যা, মদ, কাম, হিংসা ও শত্রুতা। রাজাদেশে রাজ্যের নরনারী সতর্ক — কোন ফাঁকে কলি না প্রবেশ করে।
একদিন পরীক্ষিৎ গিয়াছেন মৃগয়ায়। মৃগের পশ্চাতে ধাবন করিবার ফলে হইয়াছেন "মৃগাননুগতঃ শ্ৰান্তঃ ক্ষুধিতস্তৃষিতো ভৃশম্", ক্লান্ত ক্ষুধার্ত তৃষাযুক্ত। প্রবেশ করিলেন এক আশ্রমপদ দেখিয়া। দেখিলেন, "শান্তং মীলিতনোচনম্" শমীক ঋষিকে। শুষ্ক কণ্ঠে জল চাহিলেন। উত্তর না পাইয়া হইলেন ক্রুদ্ধ। এরূপ ক্রোধ হয় নাই তাঁহার জীবনেও।
বুঝি বা ক্ষুব্ধ কলি অসতর্ক ক্ষণের সুযোগ খুঁজিতেছে। ক্রোধের অভিব্যক্তি হইল—ধ্যানস্থ ঋষির গলদেশে এক মৃতসর্প জড়াইয়া দিলেন পরীক্ষিৎ তাঁহার ধনুকের অগ্রভাগ দ্বারা। মহদবমাননা এক মহাব্যভিচার। কলি পাইল প্রশস্ত পথ প্রবেশ করিবার।
অভিসম্পাতে কৃপাসম্পাত
শমীক ঋষির আত্মজ শৃঙ্গী। খেলার সাথীদের মুখে শুনিলেন ধ্যানস্থ পিতার অমর্য্যাদার কথা। ক্রোধে আরক্তলোচন ঋষিকুমার কৌশিকী নদীর জলে আচমন করিয়া অভিসম্পাত দিলেন বজ্রতুল্য "বাঞ্চজ্রং বিসসৰ্জ্জ হ।" মর্য্যাদালঙ্ঘনকারী কুলাঙ্গারকে অদ্য হইতে সপ্তম দিবসে দংশন করিবে বিষধর তক্ষক। "ইতি লঙ্ঘিত-মৰ্য্যাদাং তক্ষকঃ সপ্তমেহহনি, দঙ্ক্ষ্যতি স্ম কুলাঙ্গারম্" শাপ দিয়া ঋষিকুমার করস্থ জল ভুমিতে নিক্ষেপ করিলেন। পৃথিবী কম্পিতা হইয়া উঠিলেন।
ঋষির ধ্যান ভাঙ্গিল। শুনিলেন সকল কথা। দুঃখে মুহ্যমান হইলেন। হায় হায় করিতে করিতে পুত্রকে কহিলেন—লঘু পাপে (অল্পীয়সি দ্রোহে) গুরুদণ্ড (উরুদমঃ) অতীব বিগর্হিত কাৰ্য্য। পরীক্ষিৎ পৃথিবীর রত্ন। যাহাকে বক্ষে দোলাইতে হয়, তাঁহাকে পদদলিত করিয়াছ। শ্রীকৃষ্ণ তোমাকে ক্ষমা করুন।
ব্যথাহত ঋষিবর গৌরমুখ নামে এক শিষ্যকে পাঠাইয়া দিলেন রাজভবনে, রাজাকে এই মর্মান্তিক সংবাদটা জানাইয়া দিতে। পরীক্ষিৎ মহারাজও গৃহে ফিরিয়া দগ্ধীভূত হইতেছেন তীব্র অনুপাতের জ্বালায়। "অহো ময়া নীচমনার্য্যবৎ কৃতং" "অহো! আমি নরাধম, কী হীনকার্য্যই করিলাম।" কলির আক্রোশেই বা এমন হইয়া থাকিবে। পাত্র, অমাত্য, মন্ত্রী, জননী উত্তরা সবাইকে ডাকিয়া ডাকিয়া আৰ্ত কণ্ঠে কহিতে লাগিলেন — "আমার কী গতি হইবে?"
এমন সময় আসিলেন গৌরমুখ মুনি। জানাইলেন অভিশাপের কথা। অতি প্রশান্ত মনে গ্রহণ করিলেন মহারাজ পরীক্ষিৎ তাঁহার বাক্য। তক্ষকের বিষাগ্নিকে তিনি মনে করিলেন হিতসাধনকারী, "স সাধু মেনে তক্ষকানলম্"। ভাবিলেন, বিস্ফোটকে অস্ত্রোপচার হইয়া গেল। ইহাতে অপরাধ যাইবে। বিষয়াসক্তিও দূর হইবে।
এখন কী কর্তব্য? ভক্ত-শিরোমণি কর্তব্য স্থির করিলেন মুহূর্ত মধ্যে। পুত্র জনমেজয়ের উপরে প্রজাপালন-ভার অর্পণ করতঃ (স্বসুতন্যস্তভারঃ) গঙ্গাতীরে প্রায়োপবেশনে শ্রীকৃষ্ণপাদপদ্ম সেবাই এখন একমাত্র করণীয়। তাহাই করিলেন। উপাবিশৎ প্রায়মমৰ্ত্তনদ্যাম্। ১।১৯।৫ ভাগ,
কৃষ্ণাঙ্ঘি-সেবামধিমন্যমান সকল ভক্তগণের হৃদয়তন্ত্র একসুরে বাঁধা। একস্থানে আঘাত পড়িলে ঝঙ্কার উঠে সর্বত্র। মহারাজ পরীক্ষিৎ গঙ্গাতীরে প্রায়োপবেশন করিয়াছেন। অমনি নিখিল সাধু-হৃদয়ে সাড়া পড়িল। আসিতে লাগিলেন দিব্যমূর্তি ঋষি মুনিগণ।
অত্রি, বশিষ্ঠ, চাবন, শরদ্বান্, অরিষ্টনেমি, ভৃগু, অঙ্গিরা, পরাশর, বিশ্বামিত্র, পরশুরাম, উতথ্য, ইন্দ্রপ্রমদ, সুবাহু, মেধাতিথি, দেবল, ভরদ্বাজ, গৌতম, পিপ্পলাদ, মৈত্রেয়, ঔব্য, কবর, অগস্ত্য, বৎসদেব, নারদ—আর কত নাম বলিব। যত দেবর্ষি, মহর্ষি, ব্রহ্মর্ষি, রাজর্ষি, যোগী, মুনি, তপস্বী সকলেই আসিলেন।
তাঁহারা স্থির করিলেন, সাতদিনই তাঁহারা মহারাজের সন্নিধানে গঙ্গাতটে থাকিবেন। আনন্দোৎফুল্ল পরীক্ষিৎ মহারাজ! কী মহাভাগ্য সমুপস্থিত! ভাবিলেন, কই এতকাল রাজধানীতে তো এত মহতের পদধূলি একই সময় লাভ করিবার ভাগ্য হয় নাই। আহা!
ঋষির অভিসম্পাতের মধ্য দিয়াও কত কৃপাসম্পাত, নিশ্চয়ই স্বয়ং ব্রহ্মণ্যদেব ব্রহ্মশাপরূপে আমাকে কৃতার্থ করিয়াছেন। জনে জন দণ্ডবৎ করিয়া সকলের পদধুলি মাথায় তুলিয়া, হর্ষে কহিলেন রাজর্ষি পরীক্ষিৎ—ঋষি-মুনিগণ, "গায়ত বিষ্ণুগাথাঃ" আপনারা গোবিন্দ নাম কীর্তন করুন। আমি তক্ষকদংশনের ভাবনা আর ভাবি না।
আমি এখন শ্রীগোবিন্দ চরণাশ্রিত। আপনারা ও সুরধুনী আমাকে শ্রীচরণে স্থান দিন। মরিতে আর ভয় নাই। শুধু একটি প্রার্থনা, যেখানেই জন্মিনা কেন, যেন শ্রীকৃষ্ণে রতি থাকে (অনন্তে রতিঃ), তাঁহার ভক্তে প্রীতি থাকে (মহৎত্সু প্রসঙ্গঃ), আর থাকে সর্বজীবে সখ্যভাব (মৈত্রং তু সর্বত্র)। মহারাজের অন্তরের সাধকে মনে হয় কবি বিদ্যাপতি ভাষা দিয়াছেন,
কিয়ে মানুষ, পশু পাখী জনমিয়ে, অথবা কীট পতঙ্গে। করম বিপাকে, গতাগতি পুনঃ পুনঃ, মতি রহু তুয়া পরসঙ্গে ৷৷ সাতদিনই কৃষ্ণকথায় কাটাইবেন ইহা মহারাজের অন্তরের অভিলাষ। আহার নিদ্রা ত্যাগ করিয়া কৃষ্ণকথা শুনিবেন। একাসনেই শুনিবেন। কিন্তু বলিবেন কে? সাতদিন অবিশ্রাম কৃষ্ণকথা শুনাইবেন কার আছে এমন যোগ্যতা, এমন মহাভক্তি সম্পদ। কৃষ্ণকথা যদি মূর্তি ধরিয়া আসেন তবে হয়ত ইহা সম্ভব!
তখন শ্রীশুকদেবের আগমন ঘঠিল, তিনি পরিক্ষিৎ মহারাজকে সাত দিবস শ্রীমদ্ভাগবত কথা শ্রবণ করিয়াছিলেন।
সনাতন ধর্ম সম্পর্কে জানতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন-
আরো জানুনঃ
কেন প্রসাদভোজী হবেন? সমস্ত বৈদিক শাস্ত্র (বেদ,সংহিতা, মহাভারত, গীতা,ভাগবত,পুরাণ,উপনিষদ) থেকে প্রমান দেওয়া হলো...
চার যুগ-সত্য,ত্রেতা,দ্বাপর ও কলির সময় পরিমাণ ও বৈশিষ্ট্যসমূহঃ
শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর কিছু অমৃত বাণী
মহাভারতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কিছু বাণী ও উপদেশ
মনুষ্য দেহের কথা আলোচনা
আপনি কি অনেক হতাশায় ভুগছেন? সকল সমস্যাগুলোর সমাধান খুজে পান!!!!!!!!!!
ভগবান বিষ্ণুর গাত্র বর্ণ নীল কেন?
এই জগতে প্রকৃত জ্ঞানী,কে এই জগতে প্রকৃত সুখী,আর কে-ই বা প্রকৃত দুঃখী ?
অনাচার কাকে বলে ও কয় প্রকার?
কলিযুগের মানুষদের ভগবানের নামে রুচি নেই কেন ?
ঘট কিসের প্রতীক?
সনাতন ধর্মের বৈদিক শাস্ত্রে জন্ম ও মৃত্যুযোগ অশৌচ কি?
মহাভারত পড়ার সময় না থাকলেও এর মূল সূত্রগুলি আমাদের জীবনে কার্যকর প্রমাণ করতে পারে-----------------------
মহাভারতের কিছু বাণী
শ্রীমদভগবদগীতায় উচ্চারিত ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সকল নামের অর্থ ও মাহাত্ম্য
প্রকৃত ভালোবাসার খোঁজে..........
রাধাকৃষ্ণের প্রেম-কাহিনীর প্রকৃত রহস্য
ভক্তি কি ?
মায়া কি? মায়া থেকে পরিত্রাণের উপায় কি?
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কেন মাথায় ময়ূরপালক/পুচ্ছ পরিধান করতেন?
রাজা পুরঞ্জনের কেন পরবর্তী জন্মে নারী হয়ে জন্ম হয়েছিল ?
হিন্দুদের কেন গো মাংস খাওয়া উচিত না? গো মাতা কেন সনাতন ধর্মে পূজনীয় ? Why Hindus should not eat beef? Why is Go Mata revered in traditional religion?
হিন্দুদের কেন গো মাংস খাওয়া উচিত না? গো মাতা কেন সনাতন ধর্মে পূজনীয় ? উত্তর:- আমরা হিন্দুরা নানান জায়গায় মানুষের কাছ থেকে এই প্রশ্নের সম্মুখীন …
আরও পড়ুন »অম্বুবাচী (আম্ববর্তী) কি? কেন অম্বুবাচী পালন করা হয়? What is Ambubachi? Why is Ambubachi celebrated?
অম্বুবাচী (আম্ববর্তী) কি? কেন অম্বুবাচী পালন করা হয়? প্রবাদে রয়েছে 'কিসের বার কিসের তিথি, আষাঢ়ের সাত তারিখ অম্বুবাচী।' এদিন থেকেই হয় অম্…
আরও পড়ুন »একজন বুদ্ধিমান ব্যক্তির নতুন বছরের প্রতিজ্ঞাগুলো ঠিক এরকমই হওয়া উচিত--That's the decent thing to do, and it should end there.
আমার মতো ছেলেরা মনে করে, একটা মেয়ে হয়তো তাঁকে হ্যাপী করবে বা রাখতে পারে। তদ্রুপ, একটা মেয়েও ভাবছে কোন ছেলে হয়তো তাঁর দুঃখ নিবারণ করবে। তবে আমাদের…
আরও পড়ুন »শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছেন সর্ব কারণের পরম কারণ এবং লীলা পুরুষােত্তম স্বয়ং ভগবান । Lord Krishna is the ultimate cause of all causes and Leela is the best man himself.
শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছেন সর্ব কারণের পরম কারণ এবং লীলা পুরুষােত্তম স্বয়ং ভগবান । গীতায় বিভিন্ন শ্লোকে শ্রীকৃষ্ণ যে পরম পুরষ ভগবান তার উল্লেখ পাওয়া যায়, য…
আরও পড়ুন »মা লক্ষ্মীর কৃপালাভের কিছু মন্ত্র ও আচার-অনুষ্ঠান ! Some mantras and rituals of mother Lakshmi's grace!
মা লক্ষ্মীর কৃপালাভের কিছু মন্ত্র ও আচার-অনুষ্ঠান ! মা লক্ষ্মীর চারটি হাত। ধর্ম, কর্ম, অর্থ ও মোক্ষ— হিন্দুশাস্ত্রে এই চার হাতের তাৎপর্য ব্যাখ্য…
আরও পড়ুন »ছাত্র-ছাত্রীদের আট প্রকার প্রবণতা বিদ্যা অর্জনে বিশেষ বাধা-স্বরূপ: The eight types of tendency of students to acquire knowledge are special obstacles:
ছাত্র-ছাত্রীদের আট প্রকার প্রবণতা বিদ্যা অর্জনে বিশেষ বাধা-স্বরূপ: কাম ক্রোধ তথা লোভং স্বাদ শৃঙ্গার কৌতুকে । অতি নিদ্রাহতি সেবে চ বিদ্যার্থী হৃষ্ট …
আরও পড়ুন »মহাপ্রসাদ কিভাবে পৃথিবীতে আসলো? How did Mahaprasad come to earth?
মহাপ্রসাদ কিভাবে পৃথিবীতে আসলো? নারদ মুনির একবার বাসনা হলো যে তিনি ভগবান নারায়নের প্রসাদ পেতে চান। কিন্তু যা ছিল অসম্ভব। কারন নারায়নের প্রসাদ কেবল …
আরও পড়ুন »সনাতন ধর্মের মূল গ্রন্থসমূহ:Original texts of traditional religion:
সনাতন ধর্মের মূল গ্রন্থসমূহ: বেদ ৪ টি-মন্ত্র সংখ্যা-২০,৪৩৪ ১.ঋগবেদ. মন্ত্রসংখ্যা-১০,৫৮৯ ২.সামবেদ. মন্ত্রসংখ্যা-১,৮৯৩ ৩.যজু:বেদ. মন্ত্র সংখ্যা-১,৯…
আরও পড়ুন »গীতার ১৮ টি নামের মাহাত্ব্যঃ Greatness of 18 names of Gita:
গীতার ১৮ টি নামের মাহাত্ব্যঃ- ০১) গঙ্গা - এর অর্থ হল, গঙ্গায় ডুব দিলে কোন ব্যাক্তি তার সকল পাপ নাশ করতে পারে ।তাই সবার প্র…
আরও পড়ুন »কেনো মহাপ্রসাদ আহার করা উচিত?Why should Mahaprasad be eaten?
বেদ শাস্ত্রে বলা হয়েছেঃ ------------------------------- আহার শুদ্ধৌ সত্ত্ব শুদ্ধি সত্ত্ব শুদ্ধৌ। ধ্রুবাস্মৃতি স্মৃতিলম্ভে সর্বগ্রন্থিনাং বিপ্রমোক্ষ…
আরও পড়ুন »অক্ষয় তৃতীয়া মাহাত্ম্যঃ Akshay titiya Mahatmyah
অক্ষয় তৃতীয়া হল চান্দ্র বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথি। অক্ষয় তৃতীয়া বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ তিথি। অক্ষয় শব্দের অর্থ হল যা ক্ষয়প্রাপ্ত হয় ন…
আরও পড়ুন »শ্রীরাম নবমী তাৎপর্য ও মহিমাঃ Sriram-Nabami-meaning-and-glory
রামায় রাম-ভদ্রায় রামচন্দ্রায় মেধসে, রঘুনাথায় নাথায় সিতায় পাতায় নমঃ শ্রীরাম নবমী তাৎপর্য ও মহিমাঃ শ্রীরামের নবমী তিথি লক্ষ লক্ষ সূর্যগ্রহ…
আরও পড়ুন »মা মনসার ধ্যান মন্ত্র প্রণাম মন্ত্রঃ মনসা অঞ্জলি : Ma Manasa Dhyana Mantra Pranam Mantra: Manasa Anjali:
মা মনসার ধ্যান মন্ত্র অনুসারে ------ . ওঁ দেবীমম্বামহীনাং শশধরবদনাং চারুকান্তিং বদন্যাম্ । হংসারূঢ়মুদারামস সুললিতবসনাং সর্বদাং সর্বদৈব ।। স্মেরাস্য…
আরও পড়ুন »রাশি বা লগ্ন অনুসারে জেনে নিন আপনার বৈশিষ্ঠ্য...........
রাশি বা লগ্ন অনুসারে জেনে নিন আপনার বৈশিষ্ঠ্য........... রাশি বা লগ্ন, এই দুইয়েরই বিচার করে বলে দেওয়া যায় একজন মানুষের ব্যক্তিত্ব। ১২টি লগ্ন রয…
আরও পড়ুন »মহা বারুণী স্নান মাহাত্ম্য
মহা বারুণী স্নান মাহাত্ম্যঃ গঙ্গা হল পুণ্যদায়িনী। এটা আমরা সকলেই জানি। তাই আমরা সকলেই গঙ্গা স্নান করে থাকি পুণ্য লাভের আশায়। আবার সমস্ত পূজোতে গঙ…
আরও পড়ুন »চৈত্র সংক্রান্তি Chaitra Sankranti
আর মাত্র হাতে গোনা কয়েক দিন তারপরই আসছে নববর্ষ। পুরনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে আগমন জানাবার সময় আর এই নতুন বছরের আগমনের আগেই আসবে চৈত্র সং…
আরও পড়ুন »বাসন্তী পূজা
বাসন্তী পূজা দূর্গাপূজা বা দূর্গোৎসব, সনাতনী হিন্দু সম্প্রদায়ের দেবী দূর্গাকে কেন্দ্র করে প্রচলিত এক বৃহৎ উৎসব। এই দূর্গাপূজা সমগ্র হিন্দু সমাজেরই…
আরও পড়ুন »দোল পূর্ণিমা এবং ভগবান শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর আবির্ভাব তিথি -গৌর পূর্ণিমা
আসুন সকলে জেনে নিই দোল পূর্ণিমা বা হোলি কি ? হিন্দু ধর্ম অনুসারে চারটি যুগ-সত্যযুগ, ত্রেতাযুগ, দ্বাপরযুগ এবং কলিযুগ। বর্তমানে চলছে কলিযুগ। এর আগের …
আরও পড়ুন »রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের জীবনী ও শিক্ষাঃ
১৮৩৬ সালে একটি সাধারণ বাঙালি গ্রামীণ পরিবারে জন্মগ্রহণকারী রামকৃষ্ণ ছিলেন একজন সাধারণ যোগসাধক, দার্শনিক ও ধর্মগুরু। তিনি উনিশ শতকের এমন এক ব্যক্তি…
আরও পড়ুন »দেবাদিদেব মহাদেব শিব চতুর্দশী ব্রত মাহাত্ম্য এবং শিবরাত্রি পূজার সময়সূচি ও নিয়মাবলি
শিবের প্রনাম মন্ত্রঃ নমঃ শিবায় শান্তায় কারণত্রয় হে তবে। নিবেদয়ামি চাত্মানং ত্বং গতি পরমেশ্বর। দেবাদিদেব মহাদেব শিব চতুর্দশী ব্রত মাহাত্ম্য …
আরও পড়ুন »শ্রীমদ্ভগবদগীতা কি? কেন গীতা পড়বেন?
শ্রীমদ্ভগবদগীতা কি? কেন গীতা পড়বেন? বর্তমান সময়ে প্রতিটি মানুষ অজ্ঞানতার অন্ধকারে আবদ্ধ। ভগবদ গীতার আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে মনুষ্য সমাজকে সেই অন্ধকা…
আরও পড়ুন »অশ্বিনীকুমার ব্রত মাহাত্ম্য
অশ্বিনীকুমার ব্রত মাহাত্ম্য আশ্বিনে রাধেঁ , কার্ত্তিকে খাঁয়, যে বর মাগে সেই বর পাই।। অশ্বিনী (অশ্ব রূপিণী সূর্যপত্নী সংজ্ঞা) এবং তাঁর কুমার (পুত…
আরও পড়ুন »দামোদর মাস ও ব্রত...মাহাত্ম্য
দামোদর মাস ও ব্রত...মাহাত্ম্য গৌরাব্দ মাসের একটি মাসের নাম দামোদর মাস। এই দামোদর মাসে মা যশোদা দড়ি দিয়ে শ্রীকৃষ্ণের উদরে বেধেঁছিলেন। এই মাসটি শ্র…
আরও পড়ুন »দুর্গাপূজার তাৎপর্য, মহিমা ও বিভিন্ন তিথির আনুষ্ঠানিকতা এবং সময় নির্ঘণ্টঃ
দুর্গাপূজার তাৎপর্য, মহিমা ও বিভিন্ন তিথির আনুষ্ঠানিকতা এবং সময় নির্ঘণ্টঃ শ্রীশ্রীচণ্ডী, শ্রীমদ্ভাগবত ও শ্রীমদ্ভগবদগীতা সনাতনী মানুষের নিত্যপাঠ্…
আরও পড়ুন »পিতৃপক্ষ এবং দেবীপক্ষ বিশেষ তাত্পর্য্য
পিতৃপক্ষ এবং দেবীপক্ষ বিশেষ তাত্পর্য্য পিতৃপক্ষ আর দেবীপক্ষের সন্ধীক্ষণ হচ্ছে মহালয়া। ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষে শুরু হয়ে পরর্বতী অমাবস্যা র্পযন্ত…
আরও পড়ুন »একাদশী ব্রত পালনের তাৎপর্য ও নিয়মাবলিঃ
একাদশী ব্রত পালনের তাৎপর্য ও নিয়মাবলিঃ একসময় জৈমিনি ঋষি তার গুরুদেব মহর্ষি ব্যাসদেবকে জিজ্ঞাসা করলেন, হে গুরুদেব! একাদশী কী? একাদশীতে কেন উপবা…
আরও পড়ুন »শয়ন একাদশী মাহাত্ম্য
শয়ন একাদশী মাহাত্ম্য মহারাজ যুধিষ্ঠির বললেন-'হে কৃষ্ণ! আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের একাদশীর নাম কি? এর মহিমাই বা কি? তা আমাকে কৃপা করে বলুন।'শ্র…
আরও পড়ুন »আমলকী একাদশী মাহাত্ম্য
আমলকী একাদশী মাহাত্ম্য যুধিষ্ঠির বললেন-হে কৃষ্ণ! মহাফলদাতা বিজয়া একাদশীর কথা শুনলাম।এখন ফাল্গুন মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী যে নামে বিখ্যাত তা বর্ণ…
আরও পড়ুন »পবিত্রারোপণী একাদশী মাহাত্ম্য Pobitrarohini Ekadashi Mahatmya
পবিত্রারোপণী একাদশী মাহাত্ম্য একদিন মহারাজ যুধিষ্ঠির ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণকে জিজ্ঞাসা করলেন হে প্ৰভু ! শ্ৰাবণ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশীর নাম কি তা কৃপা …
আরও পড়ুন »অন্নদা একাদশী মাহাত্ম্য Annada Ekadashi Mahatmya
অন্নদা একাদশী মাহাত্ম্যঃ এই ভাদ্রবতী কৃষ্ণপক্ষীয়া অন্নদা একাদশীর মাহাত্ম্য ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে বর্ণনা করা হয়েছে। মহারাজ যুধিষ্ঠির বললেন--হে কৃষ…
আরও পড়ুন »পার্শ্ব একাদশী এর মাহাত্ম্য Parsha Ekadashi Mahatmya
পার্শ্ব একাদশী এর মাহাত্ম্য পার্শ্ব একাদশী মাহাত্ম্য: ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে যুধিষ্ঠির শ্রীকৃষ্ণ সংবাদে বর্ণিত আছে। একদা যুধিষ্ঠির মহারাজ-ভগবান শ্র…
আরও পড়ুন »ইন্দিরা একাদশী মাহাত্ম্য Indira Ekadashi Mahatmya
ইন্দিরা একাদশী মাহাত্ম্য মহারাজ যুধিষ্ঠির বললেন- হে মধুসূদন!! আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষীয়া একাদশীর নাম কি তা কৃপা করে আমাকে বলুন। শ্রীকৃষ্ণ বললেন-…
আরও পড়ুন »সফলা একাদশী মাহাত্ম্য Safala Ekadashi Mahatmya
সফলা একাদশী মাহাত্ম্য পৌষ মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশীর নাম "সফলা"। ব্রহ্মাণ্ড পুরাণে যুধিষ্ঠির শ্রীকৃষ্ণ সংবাদে এই তিথির মাহাত্ম্য বর্ণিত…
আরও পড়ুন »পুত্রদা একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য Putrada Ekadashi Brata Mahatmya
পুত্রদা একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য যুধিষ্ঠি বললেন-হে কৃষ্ণ!! পৌষ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশীর নাম কি? বিধিই বা কি,কোন দেবতা ঐ দিনে পূজিত হন এবং আপনি ক…
আরও পড়ুন »ষটতিলা একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য Shattila Ekadashi Brata Mahatmya
ষটতিলা একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য মাঘ মাসের কৃষ্ণপক্ষের 'ষটতিলা' একাদশীর মাহাত্ম্য ভবিষ্যোত্তরপুরাণে বর্ণিত আছে। যুধিষ্ঠির মহারাজ বললেন-হে জগন…
আরও পড়ুন »পাপমোচনী একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য Paapmochani Ekadashi Brata Mahatmya
পাপমোচনী একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য যুধিষ্ঠির শ্রীকৃষ্ণকে বললেন- হে জনার্দন! চৈত্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশীর নাম ও মাহাত্ম্য কৃপা করে আমাকে বলুন। শ্র…
আরও পড়ুন »প্রথম অধ্যায় অর্জুন বিষাদ-যোগ
প্রথম অধ্যায় অর্জুন বিষাদ-যোগ ধৃতরাষ্ট্র উবাচ ধর্মক্ষেত্রে কুরুক্ষেত্রে সমবেতা যুযুৎসবঃ। মামকাঃ পান্ডবাশ্চৈব কিমকুর্বত সঞ্জয়।।১।। অনুবাদঃ…
আরও পড়ুন »দ্বিতীয় অধ্যায় সাংখ্য-যোগ
দ্বিতীয় অধ্যায় সাংখ্য-যোগ সঞ্জয় উবাচ তং তথা কৃপয়াবিষ্টমশ্রুপূর্ণাকুলেক্ষণম্। বিষীদন্তমিদং বাক্যমুবাচ মধুসূদনঃ।।১।। অনুবাদঃ সঞ্জয় বললেন-…
আরও পড়ুন »তৃতীয় অধ্যায় কর্মযোগ
তৃতীয় অধ্যায় কর্মযোগ অর্জুন উবাচ জ্যায়সী চেৎ কর্মণস্তে মতা বুদ্ধির্জনার্দন। তৎ কিং কর্মণি ঘোরে মাং নিয়োজয়সি কেশব।।১।। অনুবাদঃ অর্জুন বলল…
আরও পড়ুন »একাদশ-অধ্যায় বিশ্বরূপ-দর্শন-যোগ
একাদশ-অধ্যায় বিশ্বরূপ-দর্শন-যোগ অর্জুন উবাচ মদনুগ্রহায় পরমং গুহ্যমধ্যাত্মসংজ্ঞিতম্। যত্ত্বয়োত্তং বচস্তেন মোহোহয়ং বিগতো মম।।১।। অনুবাদঃ অর্…
আরও পড়ুন »দ্বাদশ-অধ্যায় ভক্তিযোগ
দ্বাদশ-অধ্যায় ভক্তিযোগ অর্জুন উবাচ এবং সততযুক্তা যে ভক্তাস্ত্বাং পর্যুপাসতে। যে চাপ্যক্ষরমব্যক্তং তেষাং কে যোগবিত্তমাঃ।।১।। অনুবাদঃ অর্জুন জিজ…
আরও পড়ুন »প্রকৃতি-পুরুষ বিবেকযোগ
প্রকৃতি-পুরুষ বিবেকযোগ অর্জুন উবাচ প্রকৃতিং পুরুষং চৈব ক্ষেত্রং ক্ষেত্রজ্ঞমেব চ। এতদ্ বেদিকুমিচ্ছামি জ্ঞানং জ্ঞেয়ং চ কেশব।।১।। অনুবাদঃ অর্জুন …
আরও পড়ুন »শিব কল্প তরু শ্রী শ্রীমৎ স্বামী অদ্বৈতানন্দ পুরী মহারাজ Shiva Kalpa Taru Sri Srimat Swami Advaitananda Puri Maharaj
শিব কল্প তরু শ্রী শ্রীমৎ স্বামী অদ্বৈতানন্দ পুরী মহারাজ শিব কল্প তরু শ্রী শ্রীমৎ স্বামী অদ্বৈতানন্দ পুরী মহারাজ মানব কল্যাণ কামী ও সংসারত্যাগী একজন…
আরও পড়ুন »শ্রী অদ্বৈত আচার্য
শ্রী অদ্বৈত আচার্য শ্রী অদ্বৈত আচার্য(১৪৩৪-১৫৫৮) বৈষ্ণব দার্শনিক। শ্রীহট্ট (বর্তমান সিলেট) জেলার নবগ্রাম-লাউড় গ্রামে এক বারেন্দ্র ব্রাহ্মণ পরিব…
আরও পড়ুন »শ্রীগদাধর পণ্ডিত : মহাপ্রভুর ছায়া
শ্রীগদাধর পণ্ডিত : মহাপ্রভুর ছায়া শ্রীগদাধর পণ্ডিত শিশু কাল থেকেই মহাপ্রভুর সঙ্গেই থাকতেন । তাঁর পিতার নাম ছিল মাধব মিশ্র আর মাতার নাম ছিল রত্নাবলীদে…
আরও পড়ুন »সংঘাত নিরসনের পন্থা
সংঘাত নিরসনের পন্থা আধ্যাত্মিক ভিত্তি গঠন ভগবানের অবিচ্ছেদ্য অংশ হওয়ায়, আত্মা সমস্ত জড় উপাধি থেকে মুক্…
আরও পড়ুন »হরি নামের মহিমা
হরি নামের মহিমা একদিন একজন অধার্মিক লোক একজন ধার্মিক লোককে বলছে, আচ্ছা! হরিনাম করলেও মানুষের মৃত্যু হয়, না করলেও মৃত্যু হয়। তাহলে করার চেয়ে না কর…
আরও পড়ুন »কামকে কিভাবে জয় করবেন ?
কামকে কিভাবে জয় করবেন ? প্রতিটি মানুষের অন্তরে রয়েছে শুদ্ধ কৃষ্ণ - প্রেম । কিন্তু এই প্রেম, ভক্তি ও শুদ্ধ চেতনা বিকৃত কামের দ্বারা আবৃত হয়ে আছে…
আরও পড়ুন »ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রিয় হতে চান এই গুনগুলোর চর্চা করুনঃ If you want to be dear to Lord Krishna, practice these qualities:
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রিয় হতে চান এই গুনগুলোর চর্চা করুনঃ এগুলোর সবগুলো অথবা কয়েকটি গুন চর্চা করুন গুনগুলো আয়ত্ত্বে আনার জন্য চেষ্টা করুন। আর শ্রীকৃ…
আরও পড়ুন »মহাভারত পড়ার সময় না থাকলেও এর মূল সূত্রগুলি আমাদের জীবনে কার্যকর প্রমাণ করতে পারে----------------------- Even if there is no time to read the Mahabharata, its basic principles can prove effective in our lives
মহাভারত পড়ার সময় না থাকলেও এর মূল সূত্রগুলি আমাদের জীবনে কার্যকর প্রমাণ করতে পারে----------------------- ১== যদি আপনি সময়মতো বাচ্চাদের ভুল দাব…
আরও পড়ুন »সনাতন ধর্মের বৈদিক শাস্ত্রে জন্ম ও মৃত্যুযোগ অশৌচ কি? What is the impurity of birth and death in the Vedic scriptures of the traditional religion?
বৈদিক শাস্ত্রে জন্ম ও মৃত্যুযোগ অশৌচ সনাতন ধর্মের বৈদিক শাস্ত্রে জন্ম ও মৃত্যুযোগ অশৌচ কি? অশৌচ দুই প্রকার যেমনঃ— ১৷ জননাশৌচঃ — পরিবারে কেউ জন্মগ্র…
আরও পড়ুন »পূজাতে ঘট লাগে কেন?যে কোন পূজায় ঘট কেন অপরিহার্য? Why do you need pots in worship? Why are pots essential in any puja?
পূজাতে ঘট লাগে কেন? যে কোন পূজায় ঘট কেন অপরিহার্য? ঘট আমাদের দেহের প্রতিরূপ।পূজার সময় পঞ্চগুড়ি দিয়ে পিঠ তৈরী করা হয়।এই পঞ্চগুড়ি,পঞ্চমহাভূত …
আরও পড়ুন »কলিযুগের মানুষদের ভগবানের নামে রুচি নেই কেন ?
কলিযুগের মানুষদের ভগবানের নামে রুচি নেই কেন ? এক সাধুবাবা সকলকে সৎপথে উপাৰ্জন করার পরামৰ্শ দিতেন । তার কাছে এক রাজা প্রায়ই আসা - যাওয়া করতেন । একদ…
আরও পড়ুন »মহাভারতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কিছু বাণী ও উপদেশ Some words and advice of Lord Krishna in Mahabharata
মহাভারতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কিছু বাণী ও উপদেশঃ ১.যখন সংসারে দেখার মত কিছুই থাকে না, তখন মানুষ ঈশ্বর এর দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে। -(ভগবান শ্রীকৃষ্ণ)…
আরও পড়ুন »শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর কিছু অমৃত বাণী Some nectar words of Sri Chaitanya Mahaprabhu
শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর কিছু অমৃত বাণী কলির জীবের কল্যাণ আর উদ্ধারের জন্য সচ্চিদানন্দঘন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এই ধরায় আবির্ভূত হন নিমাই রুপে।সময়ের …
আরও পড়ুন »চার যুগ-সত্য,ত্রেতা,দ্বাপর ও কলির সময় পরিমাণ ও বৈশিষ্ট্যসমূহ: Four Yuga-Satya, Treta, Dwapar and Kali Time Time and Features:
চার যুগ-সত্য,ত্রেতা,দ্বাপর ও কলির সময় পরিমাণ ও বৈশিষ্ট্যসমূহঃ চার যুগের সময় পরিমাণ ও বৈশিষ্ট্যসমূহ:- ★ ১.সত্য যুগ হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী সত্য যুগ …
আরও পড়ুন »সনাতন ভজন-আরতি-নামকীর্তন শুনুন এবং ডাউনলোড করুন
সনাতন অডিও ভিডিও ভজন-আরতি-নামকীর্তন শুনুন এবং ডাউনলোড করুন নিচের লিংকে ক্লিক করে... বি:দ্র:- আপলোডের কাজ চলমান রয়েছে ..কৃপা করে অপেক্ষা করুন …
আরও পড়ুন »
0 মন্তব্যসমূহ