দেহ শুচীর মন্ত্র –
ওঁ অপবিত্র পবিত্রোবাং সর্বাবস্থান গতহ্বপিবা।
যৎ সরেত পুন্ডরিকাক্ষং স বাহ্য অভ্যান্তরে শুচি।।
পাপোহং পাপ কর্মাহং পাপাত্মা পাপ সম্ভাবান্।
ত্রাহি মাং পুন্ডরীকাক্ষং সর্ব পাপো হরো হরি।।
তিলক ধারনের বিধি বা নিয়মাবলী
জল শোধন মন্ত্রঃ-
গঙ্গে চ যমুনে চৈব গোদাবরী সরস্বতী নমর্দে সিন্ধো কাবেরি জলেহস্মিন সন্নিধিং কুরু।।
♥ অনুবাদঃ হে গঙ্গা, যমুনা, গোদাবরী, সরস্বতী, নমৃদা, সিন্ধু ও কাবেরী; আপনারা এই জলে সন্নিবিষ্ট হোন।
♥ দেহের যে সব স্থানে তিলক করতে হবেঃ-
► ললাটেঃ ওঁ কেশবায় নমঃ।
► উদরেঃ ওঁ নারায়ণায় নমঃ।
► বক্ষস্থলেঃ ওঁ মাধবায় নমঃ।
► কণ্ঠেঃ ওঁ গোবিন্দায় নমঃ।
► দক্ষিণ পার্শেঃ ওঁ বিষ্ণুবে নমঃ।
► দক্ষিণ বাহুতেঃ ওঁ মধুসূধনায় নমঃ।
► দক্ষিণ স্কন্ধেঃ ওঁ ত্রিবিক্রমায় নমঃ।
► বাম পার্শেঃ ওঁ বামনায় নমঃ।
► বাম বাহুতেঃ ওঁ শ্রীধরায় নমঃ।
► বাম স্কন্ধেঃ ওঁ হৃষীকেশায় নমঃ।
► পৃষ্ঠেঃ ওঁ পদ্মনাভায় নমঃ।
► কটিতেঃ ওঁ দামোদরায় নমঃ।
►► বাম হাতের অবশিষ্ট তিলক ধুয়ে ঐ জল ‘ ওঁ
বাসুদেবায় নমঃ ‘ বলে মাথায় দেবেন।
♥ আচমনঃ
তিলক করবার পর আচমন অবশ্য কর্তব্য।
ওঁ কেশবায় নমঃ , ওঁ নারায়ণায় নমঃ , ওঁ
মাধবায় নমঃ – এই তিনটি মন্ত্রে তিনবার
আচমন করবেন।
আচমন শেষে পাঠ করবেনঃ
“ ওঁ তদবিষ্ণোঃ পরমং পদং সদা পশ্যন্তি সুরয়ো দিবীব চক্ষুরাততম।
পুষ্প চয়নে করণীয়:
হে পুষ্পবৃক্ষ, আমাকে ভগবানের শ্রীচরণ সেবার জন্য পুষ্প চয়ন করতে আজ্ঞা দাও।
দুর্বা চয়নে করণীয়:
হে দুর্বাবৃক্ষ, আমাকে ভগবানের শ্রীচরণ সেবার জন্য দুর্বা চয়ন করতে আজ্ঞা দাও।
বেলপাতা চয়নে করণীয়:
হে বিল্ববৃক্ষ, আমাকে ভগবানের শ্রীচরণ সেবার জন্য পাতা চয়ন করতে আজ্ঞা দাও।
পুষ্প শুদ্ধি:
পুষ্পে পুষ্পে মহা পুষ্পে সুপুষ্পে পুস্পসম্ভবে
পুষ্পোহী চায়াব কীর্ণে চ হুং ফট স্বাহা।।
ভগবানকে
কোন নৈবদ্য বা ভোগ নিবেদন করার সময় তাতে তুলসি দিয়ে ভক্তিসহকারে বলতে হয়-
হে কৃষ্ণ কৃপা করে এই নৈবদ্য বা ভোগ গ্রহণ করুণ.....পুষ্প নিবেদনের নিয়ম:
ইদং পুষ্পং শ্রীকৃষ্ণায় নমঃ
পিতৃ প্রনাম মন্ত্র –
পিতাস্বর্গঃ পিতা ধর্মঃ পিতাহিপরমংতপঃ
পিতরি প্রীতিমাপন্নে প্রীয়ন্তে সর্বদেবতা।
নমঃ পিতৃ চরনেভ্য নমঃ।।
মাতৃ প্রনাম মন্ত্র –
ভূমেগরীয়সী মাতা স্বাগাৎ উচ্চতর পিতা
জননী জন্মভূমিশ্চ স্বগাদগি গরিয়সী।
গর্ভ ধারণ্যং পোষ্যভাং পিতুমাতা বিশ্বস্তে।
সর্বদেব সরুপায় স্তন্মৈমাএ নমঃ নমঃ।
গুরু প্রনামঃ
ওঁ অখণ্ডমণ্ডালাকারং ব্যাপ্তং যেন চরাচরম্।
তৎপদং দশি‘তং যেন তস্মৈ শ্রীগুরুবে নমঃ।।১
অঞ্জানতিমিরান্ধস্য ঞ্জানাঞ্জন শলাকায়া।
চক্ষু রুল্মীলিতং যেন তস্মৈ শ্রীগুরুবে নমঃ।।২.
গুরু ব্রক্ষা গুরু বিষ্ণু গুরুদেবো মহেশ্বরঃ।
গুরুঃ সাক্ষাৎ পরং ব্রক্ষ তস্মৈ শ্রীগুরুবে নমঃ।।৩
শ্রী বৈষ্ণব প্রণামঃ
বাঞ্ছা কল্পতরুভ্যশ্চ কৃপাসিন্ধুর্ভ এব চ।
পতিতানাং পাবনেভ্য বৈষ্ণবেভ্য নমো নমঃ।।
অনুবাদঃ
সমস্ত বৈষ্ণব ভক্তবৃন্দ, যাঁরা বাঞ্ছাকল্পতরুর মতো সকলের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ
করতে পারেন, যাঁরা কৃপার সাগর এবং পতিত পাবন, তাদের চরণ কমলে আমি আমার
সশ্রদ্ধ প্রণতি নিবেদন করি।
শ্রীগৌরাঙ্গ প্রণামঃ
নমো মহাবদান্যায় কৃষ্ণপ্রেমপ্রদায় তে।
কৃষ্ণায় কৃষ্ণচৈতন্যনাম্নে গৌরত্বিষে নমঃ।।
অনুবাদঃ
আমি পরমেশ্বর ভগবান শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুকে সশ্রদ্ধ প্রণাম জানাই, যিনি
স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ এবং অন্যান্য অবতার অপেক্ষা উদার, তিনি অত্যন্ত দুর্লভ
কৃষ্ণপ্রেম প্রদান করেছেন, তাঁকে আমার সশ্রদ্ধ প্রণতি জানাই।
শ্রী শ্রী পঞ্চতত্ত্ব প্রণামঃ
পঞ্চতত্ত্বাত্মকং কৃষ্ণং ভক্তরূপস্বরূপকম্।
ভক্তাবতারং ভক্তাখ্যং নমামি ভক্তশক্তিকম্।।
অনুবাদঃ ভক্তরূপ, ভক্তস্বরূপ, ভক্ত অবতার, ভক্ত এবং ভক্ত শক্তি এই পঞ্চতত্ত্বাত্মক শ্রীকৃষ্ণের শ্রীচরণ কমলে প্রণতি নিবেদন করি।
(ভক্তরূপ-শ্রীচৈতন্য
মহাপ্রভু, ভক্তস্বরূপ-নিত্যানন্দ প্রভু, ভক্তাবতার-অদ্বৈত আচার্য প্রভু,
ভক্ত-শ্রীবাস ঠাকুর, ভক্তশক্তি-শ্রীগদাধর পন্ডিত)
শ্রীকৃষ্ণের প্রণামঃ
হে কৃষ্ণ করুণাসিন্ধো দীনবন্ধো জগৎপতে।
গোপেশ গোপীকাকান্ত রাধাকান্তায় নমোহস্তুতে।
।অনুবাদঃ
হে আমার প্রিয় কৃষ্ণ, তুমি করুণার সিন্ধু, তুমি দীনের বন্ধু, তুমি সমস্ত
জগতের পতি, তুমি গোপিকাদের ঈশ্বর এবং শ্রীমতি রাধারাণীর প্রেমাষ্পন্দ, আমি
তোমার শ্রীপাদ্পদ্মে সশ্রদ্ধ প্রণতি নিবেদন করি।
শ্রী রাধারাণীর প্রণামঃ
তপ্তকাঞ্চন গৌরাঙ্গীরাধে বৃন্দাবনেশ্বরী।
বৃষভানুসূতে দেবী ত্বং নমামি কৃষ্ণপ্রিয়ে।।
অনুবাদঃ
শ্রীমতি রাধারাণী, যার অঙ্গকান্তি তপ্ত কাঞ্চনের মতো এবং যিনি বৃন্দাবনের
ঈশ্বরী, যিনি মহারাজ বৃষভানুর দুহিতা এবং ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রেয়সী, তাঁর
চরণকমলে আমি আমার সশ্রদ্ধ প্রণতি জানাই।
শ্রী শ্রী তুলসীদেবীর প্রণামঃ
ওঁ বৃন্দায়ৈ তুলসীদেব্যৈ প্রিয়ায়ৈ কেশবস্য চ।
কৃষ্ণভক্তি প্রদে দেবী! সত্যবত্যৈ নমো নমঃ।।
অনুবাদঃ কেশবপ্রিয় বৃন্দাদেবী যিনি কৃষ্ণ-ভক্তি প্রদান করেন, সেই সত্যবতী তুলসী দেবীকে আমি বার বার প্রণাম নিবেদন করি।
তুলসী জলদান মন্ত্র
গোবিন্দ বল্লভাং দেবী ভক্ত চৈতন্য কারিনী।
স্নাপযামি জগদ্ধাত্রীং কৃষ্ণভক্তি প্রদায়িনী॥
তুলসী-প্রদক্ষিণ মন্ত্র
যানি কানি চ পাপানি ব্রহ্মাহত্যাদিকানি চ ।
তানি তানি প্রনশ্যন্তি প্রদক্ষিণ পদে পদে ।।
তুলসী পত্র চয়ন মন্ত্র
ওঁ তুলস্যমৃতজন্মাসি সদা ত্বং কেশবপ্রিয়া।
কেশবার্থে চিনোমি ত্বাং বরদা ভব শোভনে॥
তুলসীদেবীর কাছে ক্ষমা প্রর্থনা মন্ত্র
চয়নোদ্ভবদুঃখং চ যদ্ হৃদি তব বর্ততে।
তত্ ক্ষমস্ব জগন্মাতঃ বৃন্দাদেবী নমোহস্ততে॥
নিষেধ...দ্বাদশী, পুর্নিমা ,অমাবস্যা, সন্ধ্যাবেলা, রাত্রে, সংক্রান্তিতে তুলসী চয়ন, তুলসী গাছের ডাল ভাঙা নিষিদ্ধ।
অপরাধ-শোধন-মন্ত্র
মন্ত্রহীনং ক্রিয়াহীনং ভক্তিহীনং জনার্দন।
যৎ পূজিতং ময়া দেব পরিপূরণং তদস্তু মে।।
শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা পাঠ অন্তে শ্রীকৃষ্ণের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা
ওঁ যদক্ষরং পরিভ্রষ্টং মাত্রাহীনঞ্চ যদ্ ভবেৎ।
পূর্ণং ভবতু ত্বৎ সর্বং ত্বৎ প্রসাদাৎ জনার্দ্দন।।
‡mevciv‡ai ÿgv cÖv_©bv gš¿t
মন্ত্র হীনং ক্রিয়া হীনং ভক্তিহীনং জনার্দ্দন।
যৎ পূজিতং ময়া দেব পরিপূর্ণং তদস্স্তূমে।।
চরণামৃত-গ্রহণমন্ত্র
অকালমৃত্যু-হরণং সর্বব্যাধি-বিনাশনং।
বিষ্ণুপাদোদকং পীত্বা শিরসা ধারয়াম্যহং।।
একাদশী পারনা মন্ত্র
একাদশ্যাং নিরাহারো ব্রতেনানেন কেশব।
প্রসীদ সুমুখ নাথ জ্ঞানদৃষ্টিপ্রদো ভব।।”
প্রসাদ সেবন মন্ত্র
"মহাপ্রসাদে গোবিন্দে নাম-ব্রহ্মেণি বৈষ্ণবে।
স্বল্প-পুণ্য বতাং রাজন্ বিশ্বাস নৈব জায়তে॥
শরীর অবিদ্যা-জাল, জড়েন্দ্রিয় তাহে কাল,
জীবে ফেলে বিষয়-সাগরে।
তা'র মধ্য জিহ্বা অতি, লোভময় সুদুর্মতি,
তা'কে জেতা কঠিন সংসারে॥
কৃষ্ণ বড় দয়াময়, করিবারে জিহ্বা জয়,
স্বপ্রসাদ-অন্ন দিলা ভাই।
সেই অন্নামৃত খাও, রাধাকৃষ্ণ গুণ গাও,
প্রেমে ডাক চৈতন্য-নিতাই ৷৷
শ্রীশ্রী যুগল প্রণাম মন্ত্রঃ
বন্দে বৃন্দাবন-গুরু কৃষ্ণং কমল-লচনং।
বল্লবী-বল্লভং দেবং রাধালিঙ্গিত-বিগ্রহং।।
ভগবান বিষ্ণুর প্রণাম মন্ত্র
ওঁ নমো ব্রাহ্মণ্যদেবায় গো- ব্রাহ্মণ্যহিতায় চ।
জগদ্ধিতায় কৃষ্ণায় গোবিন্দায় নমো নমঃ।।
পাপোহহং পাপকর্মাহং পাপাত্মা পাপসম্ভবঃ।
ত্রাহি মাং পুন্ডরীকাক্ষং সর্বপাপহরো হরি।।
বেদ মাতা গায়ত্রী
ওঁ ভুর ভুবস্য
তৎ সবিতুর বরেনং
ভর্গ দেবস্য ধীমহি
ধীয়ো য়ো ন প্রচোদয়াত৷৷
শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের প্রণাম মন্ত্রঃ
নীলাচলনিবাসায় নিত্যায় পরমাত্মনে।
বলভদ্র সুভদ্রাভ্যাং জগন্নাথায় তে নমঃ। ।
অনুবাদঃ
পরমাত্মা স্বরুপ যাঁরা নিত্যকাল নীলাচলে বসবাস করেন, সেই বলদেব, সুভদ্রাও জগন্নাথদেবকে প্রণতি নিবেদন করি
শ্রী শ্রী সীতা রাম প্রনাম মন্ত্রঃ
রামায় রাম-ভদ্রায় রামচন্দ্রায় মেধষে ।
রঘুনাথায় নাথায় সীতায়ৈ পতয়ে নমঃ ॥
ভগবান নৃসিংহদেবের প্রণাম মন্ত্র।
ওঁ উসং বীরং মহাবিষ্ণুং জলন্তং সর্বতঃ মুখম।
নৃসিংহং ভীষনং ভদ্রং মৃত্যুঃ মৃত্যং নমোম্যহ্যম।।
সূর্য প্রণাম মন্ত্র -
ওঁ জবাকুসুমসঙ্কাশং কাশ্যপেয়ং মহাদ্যুতিম্।
ধ্বান্তারিং সর্বপাপঘ্নং প্রণতোহষ্মি দিবাকরম্।।
শ্রী শ্রী গৌর নিত্যানন্দ প্রণাম মন্ত্রঃ
বন্দে শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য-নিত্যানন্দৌ সহোদিতৌ ।
গৌড়োদয়ে পুস্পবন্তৌ চিত্রৌ শন্দৌ তমোনুদৌ ॥
আজানুলম্বিত-ভুজৌ কনকাবদাতৌ
সঙ্কীর্ত্তনৈক-পিতরৌ কমলায়তাক্ষৌ ।
বিশ্বম্ভরৌ দ্বিজবরৌ যুগধর্ম-পালৌ
বন্দে জগৎ-প্রিয়করৌ করুণাবতারৌ ॥
শ্রী শ্রীবাস প্রণাম মন্ত্রঃ
শ্রীবাস-পণ্ডিতং নৌমি গৌরাঙ্গ-প্রিয়পার্ষদং।
যস্য কৃপা-লবেনাপি গৌরাঙ্গে জায়তে রতিঃ।।
শ্রী শ্রী গদাধর প্রণাম মন্ত্রঃ
গদাধরমহং বন্দে মাধবাচার্য্য-নন্দনং।
মহাভাব-স্বরূপং শ্রীচৈতন্যাভিন্ন-রূপিণং।।
শ্রী শ্রী গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু প্রণাম মন্ত্র-
আনন্দ-লীলাময়-বিগ্রহায়
হেমাভ-দিব্যচ্ছবি-সুন্দরায়।
তস্মৈ মহাপ্রেমরস-প্রদায়
চৈতন্যচন্দ্রায় নমো নমস্তে।।
শ্রী শ্রী নিত্যানন্দপ্রভু প্রণাম মন্ত্রঃ
নিত্যানন্দ! নমস্তুভ্যং প্রেমানন্দ-প্রদায়িনে।
কলৌ কল্মষঃ-নাশায় জাহ্নবা-পতয়ে নমঃ।।
শ্রী শ্রী অদ্বৈতপ্রভু প্রণাম মন্ত্রঃ
শ্রীঅদ্বৈত! নমস্তুভ্যং কলিজন-কৃপানিধে!
গৌরপ্রেম-প্রদানায় শ্রীসীতাপতয়ে নমঃ!
শ্রী শ্রী গঙ্গা প্রণাম মন্ত্র
সদ্যঃ পাতক-সংহন্ত্রী সদ্যো দুঃখ-বিনাশিনী।
সুখদা মোক্ষদা গঙ্গা গঙ্গৈব পরমা গতিঃ।।
শ্রী শ্রী বৃন্দাবনধাম প্রণাম মন্ত্রঃ
আনন্দ-বৃন্দ-পরিতুন্দিলমিন্দিরায়া
আনন্দ-বৃন্দ-পরিনন্দিত-নন্দপুত্রং।
গোবিন্দ-সুন্দর-বধূ-পরিনন্দিতং তদ্-
বৃন্দাবনং মধুর-মূর্ত্তমহং নমামি।।
শ্রী শ্রী গোবর্ধন প্রণাম মন্ত্রঃ
সপ্তাহমেবাচ্যুত-হস্ত-পঙ্কজে
ভৃঙ্গায়মানং ফলমূল-কন্দরৈঃ।
সংসেব্যমানং হরিমাত্মবৃন্দকৈ-
র্গোবর্ধনাদ্রিং শিরসা নমামি।।
নমস্তে গিরিরাজায় শ্রীগোবর্দ্ধন নামিনে।
অশেষ ক্লেষ নাশায় পরমানন্দ দায়ীনে।।
শ্রী শ্রী যমুনা প্রণাম মন্ত্রঃ
গঙ্গাদি-তীর্থ-পরিষেবিত-পাদপদ্মাং
গোলোক-সখ্যরস-পূরমহিং মহিম্না।
আপ্লাবিতাখিল-সুসাধু-জলাং সুখাব্ধৌ
রাধা-মুকুন্দ-মুদিতাং যমুনাং নমামি।।
শ্রী শ্রী বলরাম প্রণাম মন্ত্রঃ
নমস্তে তু হলগ্রাম! নমস্তে মুষলায়ুধ!
নমস্তে রেবতীকান্ত! নমস্তে ভক্ত-বৎসল!
নমস্তে বলিনাং শ্রেষ্ঠ! নমস্তে ধরণিধর!
প্রলম্বারে! নমস্তে তু ত্রাহি মাং কৃষ্ণ-পূর্বজ।।
শ্রী শ্রী অষ্টসখী প্রণাম মন্ত্রঃ
ললিতা চ বিশাখা চ চিত্রা চম্পকবল্লীকা।
রঙ্গদেবী সুদেবী চ তুঙ্গবিদ্যেন্দুরেখিকা।।
এতাভ্যোহষ্টসখীভ্যশ্চ সততষ্ণ নমো নমঃ।
তথাপি মম সর্বস্বা ললিতা সর্ববন্দিতা।।
শ্রী শ্রী নবদ্বীপধাম প্রণাম মন্ত্রঃ
নবীন-শ্রীভক্তিং নব-কনক-গৌরাকৃ্তি-পতিং
নবারণ্য-শ্রেণী-নব-সুরসরিদবাত-বলিতং।
নবীন-শ্রীরাধাহরি-রসময়োৎকীর্ত্তন-বিধিং
নবদ্বীপং বন্দে নব-করুণ-মাদ্যন্নব-রুচিং।।
শ্রীল প্রভুপাদ প্রণতি
নমো ওঁবিষ্ণুপাদায় কৃষ্ণপ্রেষ্ঠায় ভূতলে।
শ্রীমতে ভক্তিবেদান্ত স্বামীনিতি নামিনে।।
নমস্তে সারস্বতে দেবে গৌরবাণী প্রচারিণে।
নির্বিশেষ-শূন্যবাদী পাশ্চাত্যদেশ তারিণে।।
শ্রীমদ্ভাগবত-বন্দনা
তমাদিদেবং করুণানিধানং তমালবর্ণং সুহিতাবতারম্।
অপার সংসার-সমুদ্র-সেতুং ভজামহে ভাগবত
স্বরূপম্।।
মন্ত্রটি ঈশোপনিষদের শান্তিপাঠ...
ওঁ পূর্ণমদঃ পূর্ণমিদং পূর্ণাৎ পূর্ণমুদচ্যতে।
পূর্ণস্য পূর্ণমাদায় পূর্ণমেবাবশিষ্যতে।।
ওঁ শান্তিঃ , ওঁ শান্তিঃ , ওঁ শান্তিঃ।।
শ্রী শ্রী সরস্বতীর প্রণাম মন্ত্রঃ
জয় জয় দেবী চরাচরসারে কুচযুগশোভিত মুক্তাহারে।
বীণাপুস্তক রঞ্জিত হস্তে ভগবতি ভারতী দেবীনমস্তে।।
সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যে কমললোচনে ।
বিশ্বরূপে বিশালাক্ষি বিদ্যাং দেহি নমোহস্ত্ত তে ॥
শ্রী শ্রী লক্ষ্মী দেবীর প্রনাম মন্ত্রঃ
বিশ্বরূপস্য ভার্যাসি পদ্মে পদ্মালয়ে শুভে।
সর্বতঃ পাহি মাং দেবি মহালক্ষ্মী নমঽস্তু তে।।
শিবের প্রনাম মন্ত্রঃ
নমঃ শিবায় শান্তায় কারণত্রয় হে তবে।
নিবেদয়ামি চাত্মানং ত্বং গতি পরমেশ্বর।
মা দুর্গার প্রণাম মন্ত্রঃ
সর্বমঙ্গল-মঙ্গল্যে শিবে সর্বথসাধিকে।
শরণ্যে ত্র্যম্বকে গৌরী নারায়ণী নমোহস্তুতে॥
ব্রহ্মা প্রনাম মন্ত্র
নমোঽস্তু বিশ্বেশ্বর বিশ্বধাম
জগৎসবিত্রে ভগবন্নমস্তে৷
সপ্তার্চিলোকায় চ ভূতলেশ
সর্বান্তরস্থায় নমো নমস্তে৷৷
বিশ্বকর্মা প্রণাম মন্ত্রঃ
দেবশিল্পিন্ মহাভাগ দেবানাং কার্যসাধক। বিশ্বকর্মন্নমস্তুভ্যং সর্বাভীষ্টফলপ্রদায়ক।।
বিদ্যাদেবীর পুস্পাঞ্জলি মন্ত্র
ওঁ জয় জয় দেবী চরাচর সারে, কুচযুগ-শোভিত
মুক্তাহারে।
বীণাঞ্জিত পুস্তক হস্তে, ভগবতি ভারতি দেবী নমোহস্তুতে।
নমঃ ভদ্রকালৈ নমো নিত্যং সরস্বত্যৈ নমো নমঃ।
বেদে-বেদাঙ্গ-বেদান্ত -বিদ্যাস্থানেভ্য এব চ!!
এচ সচন্দন পুস্পবিল্ব- পত্রাঞ্জলি সবস্বতৈ নমঃ!!
শ্রী শ্রী মা কালীর প্রনাম মন্ত্রঃ
জয়ন্তী মঙ্গলা কালী ভদ্রা কালী কপালিনী
দূর্গা শিবা সমাধ্যার্তী সাহা সুধা নমস্তুতে।।
শ্রী শ্রী শনি দেবের প্রণাম মন্ত্রঃ
নীলাঞ্জন দলশ্যামো ভিন্নাঞ্জন সমদ্যুতিঃ ।
শনৈশ্চরগ্রহঃ পুংসাং সদা শান্তিং প্রযচ্ছতু ।
নীলাঞ্জন চয়প্রখ্যং রবিসূনুং মহাগ্রহম্ ।
ছায়ায়া গর্ভসম্ভুতম্ বন্দে ভক্ত্যা শনৈশ্চরম্ ॥
সূর্যের প্রণামমন্ত্র
ওঁ জবাকুসুমসঙ্কাশং কাশ্যপেয়ং মহাদ্যুতিম ৷
ধ্বান্তারিং সর্বপাপঘ্নং প্রণতোহস্মি দিবাকরম৷৷
ঈশ্বরের প্রার্থনা মন্ত্র
কেশব ক্লেশহরণ নারায়ণ জনার্দন ৷
গোবিন্দ পরমানন্দ মাং সমুদ্ধর মাধব৷৷
নৃসিংহ প্রনাম মন্ত্র
জয়
নৃসিংহ শ্রীনৃসিংহ জয় জয় জয় শ্রীনৃসিংহ উগ্রং বিরং মহাবিষ্ণুং জলন্তং
সর্বতোমুখং নৃসিংহং বিষনং ভদ্রং মৃত্যুর মৃত্যো নমাম্যহং শ্রী নৃসিংহ জয়
নৃসিংহ জয় জয় নৃসিংহ প্রহ্লাদেশ জয় পদ্ম মুখো পদ্ম বৃংঙ্গম।।
সনাতন ধর্ম অনুসারে মাসের নাম :-
1. মধুসূদন
2. ত্রিবিক্রম
3. বামন
4. শ্রীধর
5. হৃষীকেশ
6. পদ্মনাভ
7. দামোদর
8. কেশব
9. নারায়ণ
10. মাধব
11. গোবিন্দ
12. বিষ্ণু
সনাতন ধর্ম সম্পর্কে জানতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন-
আরো জানুনঃ
কেন প্রসাদভোজী হবেন? সমস্ত বৈদিক শাস্ত্র (বেদ,সংহিতা, মহাভারত, গীতা,ভাগবত,পুরাণ,উপনিষদ) থেকে প্রমান দেওয়া হলো...
চার যুগ-সত্য,ত্রেতা,দ্বাপর ও কলির সময় পরিমাণ ও বৈশিষ্ট্যসমূহঃ
শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর কিছু অমৃত বাণী
মহাভারতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কিছু বাণী ও উপদেশ
মনুষ্য দেহের কথা আলোচনা
আপনি কি অনেক হতাশায় ভুগছেন? সকল সমস্যাগুলোর সমাধান খুজে পান!!!!!!!!!!
ভগবান বিষ্ণুর গাত্র বর্ণ নীল কেন?
এই জগতে প্রকৃত জ্ঞানী,কে এই জগতে প্রকৃত সুখী,আর কে-ই বা প্রকৃত দুঃখী ?
অনাচার কাকে বলে ও কয় প্রকার?
কলিযুগের মানুষদের ভগবানের নামে রুচি নেই কেন ?
ঘট কিসের প্রতীক?
সনাতন ধর্মের বৈদিক শাস্ত্রে জন্ম ও মৃত্যুযোগ অশৌচ কি?
মহাভারত পড়ার সময় না থাকলেও এর মূল সূত্রগুলি আমাদের জীবনে কার্যকর প্রমাণ করতে পারে-----------------------
মহাভারতের কিছু বাণী
শ্রীমদভগবদগীতায় উচ্চারিত ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সকল নামের অর্থ ও মাহাত্ম্য
প্রকৃত ভালোবাসার খোঁজে..........
রাধাকৃষ্ণের প্রেম-কাহিনীর প্রকৃত রহস্য
ভক্তি কি ?
মায়া কি? মায়া থেকে পরিত্রাণের উপায় কি?
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কেন মাথায় ময়ূরপালক/পুচ্ছ পরিধান করতেন?
রাজা পুরঞ্জনের কেন পরবর্তী জন্মে নারী হয়ে জন্ম হয়েছিল ?
আমাদের সমস্ত দুঃখের কারণ অজ্ঞনতা। সুতরাং জানতে হলে পড়তে হবে।
শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা পড়তে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন.......
শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার আলোকে মানব জীবনের গুরুত্বপূর্ণ তত্ত্বজিজ্ঞাসা প্রশ্ন-উত্তরে জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন.......
0 মন্তব্যসমূহ