কেন প্রসাদভোজী হবেন? সমস্ত বৈদিক শাস্ত্র (বেদ,সংহিতা, মহাভারত, গীতা,ভাগবত,পুরাণ,উপনিষদ) থেকে প্রমান দেওয়া হলো...

কেন প্রসাদভোজী হবেন?

 

কেন প্রসাদভোজী হবেন? সমস্ত বৈদিক শাস্ত্র (বেদ,সংহিতা, মহাভারত, গীতা,ভাগবত,পুরাণ,উপনিষদ) থেকে প্রমান দেওয়া হলো...

বিষ্ণুপুরাণ-

শ্রীবিষ্ণুপুরাণে (২য় খণ্ডে ৬ষ্ঠ অধ‍্যায়ে) নরকের বর্ণনা―
শ্লোক : ৭ : ভ্রুণহত‍্যাকারী, গোবধকারী শ্বাসরুদ্ধকর রোধ নরকে যায়।
২০-২১ : পশুপাখি পলন ও ভক্ষণ করে জীবনধারণকারী, মাংস বিক্রেতা পূয়বহ নরকে মলভক্ষণ করে।
২২: ধীবর বা জেলেরা রুধিরান্ধ নরকে যায়।
২৬ : মেষ (ভেড়া )পালন ও ভক্ষণকারী, পশুপাখি শিকারীরা বহ্নিজাল নরকে অগ্নিদগ্ধ হয়।
ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণ-
যে জ্ঞান-দুর্বল ব্রাহ্মণ ইচ্ছাপূর্বক মৎস্য ভক্ষণ করে, সে অশুচি হয় এবং তাহার পূর্বকৃত পুণ্যবল নষ্ট হয়ে যায়।
(ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণ, শ্রীকৃষ্ণজন্মখন্ড, ৭৫/৫০)
 
এখন প্রশ্ন- পূর্ব হতে মাছ মাংস ভক্ষণকারী যদি অনুতাপীত হয়ে মাছ মাংস ভক্ষণ হতে বিরত হয়, তবে তার পাপ কি খন্ডন যোগ্য?
উত্তরঃ
শাস্ত্র সে সকল ব্যক্তিদের নির্দেশ দিয়েছে- তারা যদি মাছ-মাংস ভক্ষণ হতে বিরত থেকে কেবল বিষ্ণুপ্রসাদই ভক্ষণ করে তবে তারা ধীরে ধীরে অশ্বমেধ যজ্ঞের ফল লাভ করবে, যার পুন্য প্রভাবে তাদের নরকগামী হতে হবে না।
যে ব্যক্তি মৎস্য মাংস ভোজনে বিরত হইয়া কেবল বিষ্ণুপ্রসাদ ভোজন করে, পদে পদে তাহার অশ্বমেধ যজ্ঞের ফল হয়।
(ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণ, শ্রীকৃষ্ণজন্মখন্ড, ৭৫/৫১)
নারদীয় পুরাণঃ
নারদ বলেছেন, যে পরের মাংস খেয়ে নিজের পেশী বৃদ্ধি করেন সে অশেষ কষ্ট ভোগ করে।
মাংসাশী লোক যদি মাংসাহার ত্যাগ করে তবে সে যে ফল পায় বেদ অধ্যয়ন ও সকল যজ্ঞের অনুষ্ঠান করেও কেউ সেই ফল পায়না।মাংসভোজনে আসক্তি জন্মালে তা ত্যাগ করা অতীব কঠিন।মাংসবর্জনব্রত পালন করলে সকল প্রানী অভয় লাভ করে।যে পরমাংস দ্বারা নিজ মাংস(পেশী) বৃদ্ধি করতে চায় তার চেয়ে ক্ষুদ্র আর নৃশংস কেউ নেই।।।

 বিষ্ণুসংহিতায় উল্লেখ আছে,
পাখি হত্যা,জলচর হত্যা, মৎস্যাদি জলজ প্রাণীহত্যা, কৃমিহত্যা ও কীটহত্যা এবং মদ্যানুগত ভোজন, এই সমস্ত মহাপাপ।(বিষ্ণুসংহিতা ৪১/১-৪)
গীতায় বলা হয়েছে,
যামিমাং পুষ্পিতাং বাচং প্রবদন্ত্যবিপশ্চিতঃ ।
বেদবাদরতাঃ পার্থ নান্যদস্তীতি বাদিনঃ ॥গীতা ২/৪২॥
অর্থ:- বিবেকবর্জিত লোকেরাই বেদের পুষ্পিত বাক্যে আসক্ত হয়ে স্বর্গসুখ ভোগ, উচ্চকুলে জন্ম, ক্ষমতা লাভ আদি সকাম কর্মকেই জীবনের চরম উদ্দেশ্য বলে মনে করে। ইন্দ্রিয়সুখ ভোগ ও ঐশ্বর্যের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে তারা বলে যে, তার ঊর্ধ্বে আর কিছুই নেই।
ভোগৈশ্বর্যপ্রশক্তানাং তয়াপহৃতচেতসাম্।
ব্যবসায়াত্মিকা বুদ্ধিঃ সমাধৌ ন বিধীয়তে ॥গীতা ২/৪৪॥
অর্থ:- যারা ভোগ ও ঐশ্বর্যসুখে একান্ত আসক্ত, সেই সমস্ত বিবেকবর্জিত মূঢ় ব্যক্তিদের বুদ্ধি সমাধি অর্থাৎ ভগবানে একনিষ্ঠতা লাভ হয় না।
দেবদ্বিজগুরুপ্রাজ্ঞপূনং শৌচমার্জবম্।
ব্রহ্মচর্যমহিংসা চ শারীরং তপ উচ্যতে।।গীতা ১৭/১৪।।
অনুবাদঃ পরমেশ্বর ভগবান, ব্রাক্ষণ, গুরু ও প্রাজ্ঞগণের পূজা এবং শৌচ, সরলতা, ব্রহ্মচর্য ও #অহিংসা-এগুলিকে কায়িক তপস্যা বলা হয়।
অদ্ধেষ্টা সর্বভূতানাম্ মৈত্র করণঃ এব চ ।
নির্মম্ নিরহঙ্কারঃ সম্ দুঃখ সুখ ক্ষমী ।।
সন্তুষ্টঃ সততম্ যোগী যতাত্মা দৃঢ়নিশ্চয় ।
ময়ি অর্পিত মনঃ বুদ্ধিঃ যঃ মত্ভক্তঃ স মে প্রিয়ঃ ।।গীতা১২/১৩,১৪||
অনুবাদঃ যিনি সমস্ত #জীবের প্রতি #দ্বেষ_শুন্য, বন্ধুভাবাপন্য, দয়ালু, মমতাবুদ্ধিশুন্য, নিরহঙ্কার, সুখ দঃুখ্য সমভাবাপন্য সর্বদা সন্তুষ্ট সবসময় ভক্তিযোগে যুক্ত, সংযত স্বভাব, তত্তবিষয় দৃঢ় নিশ্চয় এবং যার মন ও বুদ্ধি সর্বদা আমাতে অর্পিত তিনি আমার প্রিয় ভক্ত।
শ্লোক:৫/১৮:
বিদ্যাবিনয়সম্পন্নে ব্রাহ্মণে গবি হস্তিনি ।
শুনি চৈব শ্বপাকে চ পণ্ডিতাঃ সমদর্শিনঃ ॥গীতা ৫/১৮॥
অর্থ:- জ্ঞানবান পণ্ডিতেরা বিদ্যা-বিনয়সম্পন্ন ব্রাহ্মণ, গাভী, হস্তী, কুকুর ও চণ্ডাল সকলের প্রতি সমদর্শী হন।শ্লোক:৫/১৯:
ইহৈব তৈর্জিতঃ সর্গো যেষাং সাম্যে স্থিতং মনঃ ।
নির্দোষং হি সমং ব্রহ্ম তস্মাদ্ ব্রহ্মণি তে স্থিতাঃ ॥৫/১৯॥
অর্থ:- যাঁদের মন সাম্যে(সমস্ত জীবের প্রতি সমদর্শী) অবস্থিত হয়েছে, তাঁরা ইহলোকেই জন্ম ও মৃত্যুর সংসার জয় করেছেন। তাঁরা ব্রহ্মের মতো নির্দোষ। তাই তাঁরা ব্রহ্মেই অবস্থিত হয়ে আছেন।
শ্লোক:৬/29:
সর্বভূতস্থমাত্মানং সর্বভূতানি চাত্মনি ৷
ঈক্ষতে যোগযুক্তাত্মা সর্বত্র সমদর্শনঃ ॥২৯॥
অর্থ:- প্রকৃত যোগী সর্বভূতে আমাকে দর্শন করেন এবং আমাতে সব কিছু দর্শন করেন ৷ যোগযুক্ত আত্মা সর্বত্রই আমাকে দর্শন করেন ।
গীতা শ্লোক:৬/31:
সর্বভূতস্থিতং যো মাং ভজত্যেকত্বমাস্থিতঃ ৷
সর্বথা বর্তমানোহপি স যোগী ময়ি বর্ততে ॥
অর্থ:- যে যোগী সর্বভূতে স্থিত পরমাত্মা রূপে আমাকে জেনে আমার ভজনা করেন, তিনি সর্ব অবস্থাতেই আমাতে অবস্থান করেন
সর্বভূতেষু যেনৈকং ভাবমব্যয়মীক্ষতে ।
অবিভক্তং বিভক্তেষু তজ্ জ্ঞানং বিদ্ধি সাত্ত্বিকম্ ॥গীতা১৮/২০॥
অর্থ:- যে জ্ঞানের দ্বারা সমস্ত প্রাণীতে এক অবিভক্ত চিন্ময় ভাব দর্শন হয়, অনেক জীব পরস্পর ভিন্ন হলেও চিন্ময় সত্তায় তারা এক, সেই জ্ঞানকে সাত্ত্বিক বলে জানবে।
মৎকর্মকৃন্মৎপরমো মদ্ভক্তঃ সঙ্গবর্জিতঃ ।
নির্বৈরঃ সর্বভূতেষু যঃ স মামেতি পাণ্ডব ॥॥১১/৫৫॥
অর্থ:- হে অর্জুন ! যিনি আমার অকৈতব সেবা করেন, আমার প্রতি নিষ্ঠাপরায়ণ, আমার ভক্ত, জড় বিষয়ে আসক্তি রহিত এবং #সমস্ত_প্রাণীর_প্রতি_শত্রুভাব_রহিত, তিনিই আমাকে লাভ করেন।
ঊর্ধ্বং গচ্ছন্তি সত্ত্বস্থা মধ্যে তিষ্ঠন্তি রাজসাঃ।
জঘন্যগুণবৃত্তিস্থা অধো গচ্ছন্তি তামসাঃ।।গীতা ১৪/১৮।।
অনুবাদঃ #সত্ত্বগুণ-সম্পন্ন ব্যক্তিগণ ঊর্ধ্বে #উচ্চতর লোকে গমন করে, রজোগুণ-সম্পন্ন ব্যক্তিগণ মধ্যে নরলোকে অবস্থান করে এবং জঘন্য গুণসম্পন্ন তামসিক ব্যক্তিগণ অধঃপতিত হয়ে গমন করে।
 
মনুসংহিতায় কি বলেছে দেখুনঃ
মাংসভোজীরা মৃত্যুর পর যাদৃশ্য দুঃখসহ দুঃখরাশি ভোগ করে।(মনু সংহিতা ৫/৩৪)
যে ব্যক্তি হিংসাদিশূণ্য হরিণ এবং হরিণের ন্যায় হিংসাশূণ্য অন্যান্য পশুকে আপন সুখের জন্য হত্যা করে সে কি জীবিত অবস্থায়, কি পরলোকে উভয়েই সুখ পায় না।(মনুসংহিতা ৫/৪৫)
ইহলোকে আমি যার মাংস ভক্ষন করিতেছি,পরলোকে সে আমাকে ভক্ষন করবে।পন্ডিতেরা মাংস (মাং-আমায়,সঃ-ভক্ষন করিবে) শব্দের এইরূপ ব্যাখা করেছেন।(মনুসংহিতা ৫/৫৫)
যিনি পশুবধ করতে অনুমতি দেন, যিনি অস্ত্রাদির দ্বারা পশুর অঙ্গপ্রতঙ্গ খন্ড খন্ড করেন, যিনি পশু বধ করেন, যিনি সেই প্রাণীর মাংস ক্রয় করে, যিনি তা বিক্রয় করেন, যিনি মাংস পাক করেন, যিনি পরিবেশন করেন এবং যিনি মাংস ভক্ষণ করেন তারা সকলেই সেই পশুর ঘাতক রূপে অভিহিত হন ৷ (মনুসংহিতা ৫/৫১)
প্রাণি হিংসা না করিলে মাংস উতপন্ন হয় ,প্রাণিবধও নরকের কারণ,অতএব মাংস ভক্ষন করবে না(মনুসংহিতা ৫/৪৮)
শুক্রশোশিত দ্বারা মাংসের উতপত্তি।অতএব ইহা ঘৃণিত; বধ ও বন্ধন নিষ্ঠুর হৃদয়ের কর্ম;ইহা নিশ্চিত করিয়া সাধুরা বিহিত মাংস ভক্ষনেও হইতেও নিবৃত্ত হয়;অবৈধ মাংস ভক্ষনের কথা আর কিই বা বলিব?(মনু ৫/৪৯)অতএব মাংস ভক্ষন করবে না(৫/৪৮)।
 
শ্রীমদ্ভাগবতে বলা হয়েছে-
🌸যে ত্বনেবং বিদোহসন্তঃ স্তব্ধাঃ সদাভিমানিনঃ।
পশূন্ দ্রুহ্যন্তি বিশ্রব্ধাঃ প্রেত্য খাদন্তি তে চ তান্।।শ্রীমদ্ভাগবদ(১১/৫/১৪)
অর্থাৎ ধর্মতত্ত্বে অনভিজ্ঞ, গর্বিত, সদা অভিমানী যে সব অসাধু নিঃশঙ্ক চিত্তে পশুদের হত্যা করে, সেই পশু পরকালে তাদেরকেও ভক্ষণ করে থাকে।
🌸শ্রীমদ্ভাগবতে ৪/১৮/২১ বলা হয়েছে, যক্ষ রাক্ষাংসি ভূতানি পশচাঃ পিশিতাশনাঃ।
অর্থাৎ, যক্ষ, রাক্ষস, ভূত ও পিশাচেরা মাংস আহারে অভ্যস্ত।...
🌸এমনকি শ্রাদ্ধেও আমিষ না দিতে বলেছে, সে সমন্ধ্যে ভাগবত বলছে -
ন দদ্যাদামিষং শ্রাদ্ধে ন চাদ্যাদ ধর্মতত্ত্ববিৎ।
মনান্নৈ মৎপরা প্রীতির্যথা ন পশুহিংসয়া।।
নৈতাদৃশঃ পরো ধর্ম নৃণাৎ সদ্ধর্মমিচ্ছতাম্।
ন্যাসো দন্ডস্য ভূতেষু মনো বাক্কায়জস্য।।
(ভাগবত ৭।১৫।৭-৮)
--- ধর্মতত্বজ্ঞ ব্যক্তি পুরুষ শ্রাদ্ধকর্মে আমিষ(মাছ-মাংস) অর্পন করবেন না। এবং নিজেও ভোজন করবেন না। কারন পিতৃগণ মুনি ঋষিদের যোগ্য হবিষান্ন দ্বারা যেরুপ প্রসন্ন লাভ করেন, সেরূপ পশু হত্যার দ্বারা নয়। সৎ ধর্মপালনে অভিলাষী ব্যক্তির কাছে কোন জীবকে কায়মনোবাক্যে কোনরূপ কষ্ট না দেওয়ার মতো ধর্ম আর নেই।....
 
পৃথিবীতে প্রাণিহিংসা করলে নরকের কোন কুন্ডে কিভাবে তাকে শাস্তি ভোগ করতে হয় দেখুনঃ
শ্রীকৃষ্ণদৈপায়ন ব্যাসদেবের পূত্র শ্রীল শুকদেব গোস্বামী শ্রীপরীক্ষিৎ মহারাজের কাছে নরককুণ্ডের বর্ণনা করেছেন,যা শ্রীমদ্ভাগবতে (৫/২৬/৫-৩৬) বর্ণিত হয়েছে!!
তার মধ্যে কয়েকটি নরক কুন্ডের বর্ননা দেখুন--
রৌরব নরকঃ  প্রাণী হত্যাকারীরা এই বিভাগে পতিত হয়। এখানে হিংসিত জীবেরা অর্থাৎ পাপী যাদেরকে হত্যা করেছিলো তারাইব্রুরু নামে এক ভয়ংকর জন্তু রূপে জন্ম নিয়ে পাপীকে পীড়া দিতে থাকে।
কুম্ভীপাক নরকঃ  যে ব্যাক্তি পশুপাখি রান্না করেছিলো, তাকে এখানে ফুটন্ত তেলের মধ্যে যমদূতেরা ভাজতে থাকে ।
শূলপ্রোত নরকঃ যে ব্যাক্তি পশুপাখিকে আশ্রয় দেয়, যত্ন করে,আবার পপশুপাখিকে বিদ্ধ করে খেলা করে এবং যন্ত্রণা দিয়ে মারে, তাকে এই নরকে আসতে হয়।এই নরকে ক্ষুদা-তৃষ্ণায় পীড়িত সেই পাপীকে বক-শকুনেরা ছিড়ে ছিড়ে খেতে থাকে ।
অন্ধকূপ নরকঃ  যে ব্যাক্তি কীটপতঙ্গকে হত্যা করে তাকে এখানে আসতে হয়। কুয়োর মধ্যে তাকে অসংখ্য কীট দংশন করতে থাকে। জ্বালায় অস্থির হয়ে পাপী অস্থির হয়ে থাকে
শ্রীশ্রী ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণঃ

মাছ মাংস আহার করা এবং ক্রয় বিক্রয় করার শাস্তি কি
লোভবশে রোষবশে যেই দুষ্টজন।
জীবের জীবন ধন করে বিনাশন।।
মহাপাপী সেইজন অবনী ভিতরে।
লক্ষবর্ষ মজ্জাকুন্ডে নিবসতী করে।।
শশক হইয়া জন্মে ভূমে সাতবার।
মৎস্য রূপী সপ্তজন্ম হৈবে পুনর্বার।।
আপন তনয়া ধনে যেই অভাজন।
বাল্যাবধি রক্ষা করে করিয়া যতন।।
অবশেষে অর্থলোভী হইয়া অন্তরে।
মনোমত ধন লৈয়া তারে বিক্রি করে।।
মাংস কুন্ড নরকেতে পড়ি সেই জন।
কত যে যাতনা পায় কে করে বর্ণন।।
এখানে আরো আছে যা ভোগ করতে হবে।
জীবের দেহে যত রোম ধরে তত বছর অত্যাচার চলবে নরকে,,ষাট হাজার বর্ষ নরকে থাকা,সপ্ত জন্ম ব্যাধরুপে, অবশেষে তিন জন্ম শূকর হয়ে,সপ্ত জন্ম মূর্খ হয়ে, তার পরে পাপের ক্ষয়।

 

মহাভারতে কি বলেছে দেখুনঃ
ভীষ্ম যুধিষ্ঠির মহারাজকে কহিলেন--
🌸মদ্য ও মাংস বর্জন ব্রহ্মচর্য অপেক্ষা শ্রেষ্ঠতর ব্রত ও ধম্ম।
(মহাভারত,অনুশাসন মহাপর্ব,অধ্যায় ২৩,শ্লোক ২৫)
🌸গঙ্গাপুত্র শ্রীভীষ্মদেব শ্রীযুধিরষ্ঠির মহারাজকে বলেছেন,
"যে ব্যাক্তি মোহগ্রস্ত হয়ে পুত্রমাংস-তুল্য অন্য প্রাণীর মাংস ভক্ষন করে, সে অত্যন্ত নিম্নজাত বলে পরিগণিত হয়। তাকে বহুবিধ পাপযোনিতে জন্ম নিতে হবে। পরের শরীরের মাংস ভক্ষণ করে আপন শরীরের মাংস পুষ্ট করতে যে ইচ্ছা করে, তাকে প্রত্যেক জন্মেই উদ্ধিগ্ন চিত্তে কাল যাপন করতে হয়। তাই আত্মকল্যাণকারীর পক্ষে অবশ্যই মাছ-মাংসাদি ভক্ষণে বিরত হওয়াই শ্রেয়।" (মহাভারত-১১৪-১১৫ অঃ)
"দেবগনকে পুষ্প,যক্ষ ও রাক্ষসগনকে রক্ত মাংস, নাগগনকে সুরা, পদ্ন এবং ভূপগনকে গুড়তিল সমন্বিত বলি তথা উৎসর্গ করতে হয়"।(মহাভারত-অনুশাসন পর্ব-৯৮ অধ্যায়)
🌸মহাভারতের শান্তিপর্বের ১৮ নং অধ্যয়ে পিতামহ ভীষ্ম শরশয্যায় শায়িত অবস্থায় যুধিষ্ঠিরকে জিজ্ঞেস উপদেশ দিয়েছিলেন-
" যারা সৌন্দর্য, সাস্থ্য,বল,আয়ু,বুদ্ধি,স্মরনশক্তি চান তাঁরা মাংসাহার ত্যাগ করেন।
মহাভারতে, বেদে-সমস্ত শাস্ত্রে যজ্ঞেও পশু হত্যা নিষেধ।
🌸সুরা মৎসা মধু মাংসমাসবং কৃসরোদনম্।
ধুর্তেঃ প্রবর্তিতং হোতন্নৈবদ্ বেদেষু কল্পিতম।।
(মহাঃ শান্তি পর্বঃ ২৬৫,শ্লোক ৯)
—সুরা, মৎস, মধু, মাংস, তালরস, স্বাগু এইসব বস্তুকে ধুর্তেরাই যজ্ঞে প্রচলিত করেছে। বেদে এসব উপযোগের বিধান নেই।
🌸অব্যবস্থিতমর্যদৈবিমূঢর্নাস্তিকৈর্তবৈ।
সংশয়াত্মাভিরব্যক্তৈহিংসা সমনুবর্তিত।।
(মহাঃ শান্তি পর্বঃ অঃ ২৬৫, শ্লোক ৪)
— যে ধর্মের মর্যাদা থেকে ভ্রষ্ট হয়েছে মূর্খ, নাস্তিক তথা যার আত্মা সংশয়যুক্ত এবং যার কোন প্রসিদ্ধি নেই এইরূপ লোকই হিংসাকে সমর্থন করে।
🌸মানান্মোহাচ্চ লোভাচ্চ লৌল্যমেত্যপ্রকল্পিতম্।।
(মহাঃ শান্তি পর্ব, অঃ ২৬৫, শ্লোক ১০)
— সেই ধূর্তেরা অভিমান, মোহ এবং লোভের বশীভূত হয়ে সেই সব বস্তুর প্রতি লোলুপতা প্রকট করে থাকে।
যজ্ঞের মহিমা বর্ণনার জন্য পিতামহ ভীষ্ম যুধিষ্ঠির কে এক উপ্যাখান শোনান। উপাখ্যান টি মহাভারতের শান্তি পর্বের ২৭২ নং অধ্যায়ে এসেছে। সেই উপখ্যানে এক ব্রাহ্মণ যিনি কি না যজ্ঞে পশু বলি দেবার কথা চিন্তা মাত্রেই তার সমস্ত তপস্যা নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো।
🌸তস্য তেনামুভাবনো মৃগহিংমমসাত্মনস্তদা।
তপো মহৎসমুচ্ছিন্নং তস্মাদ্হিংসান যজ্ঞিয়া।।
(মহাঃ শান্তি পর্ব, অঃ২৭২, শ্লোক ১৮)
—-আমি সেই পশু কে বধ করে স্বর্গলোক প্রাপ্ত করবো। এই ভেবে মৃগকে হিংসা করার জন্য উদ্যত সেই ব্রাহ্মণের মহান তপস্যা তৎক্ষণাৎ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এই জন্য হিংসা যজ্ঞের জন্য হিতকর নয়।
এই জন্য বেদ আমাদের সর্বদা হিংসারহিত কর্ম করার নির্দেশ দিয়েছেন। এবং আমাদের শরীর এবং দন্তের উপযোগী খাবার হিসেবে ভাত, ডাল,যব ইত্যাদি এসব খাবারের অনুমোদন দিয়েছে।পশুবলি নিষিদ্ধ এর বিস্তারিত জানুন এই লিংকে -
 সমস্ত বেদ থেকে রেফারেন্স দেখুন
🌸১।মহর্ষি মনু বলেছেন-যে পশুবধ করতে অনুমতি দেয়,যে পশুবধ করে,যে পশুমাংস কাটে,যে পশুমাংস বিক্রয় করে,যে পশুমাংস ক্রয় করে,যে তা রান্না করে,যে পরিবেশন করে আর যে ভক্ষন করে, এরা সকলেই খুনি".
🌸২।"পাষন্ড তারা যারা প্রানি-মাংস ভোজন করে।তারা যেন প্রকারান্তরে বিষপান করে। ঈশ্বর তাদের যেন উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করেন"।
ঋগ্বেদ ১০.৮৭.১৬-১৯
🌸৩।"মানুষ তখনই কলুষিত হয় তখন যখন সে মাংস ভক্ষন, সুরাপান ও জুয়া খেলায় লিপ্ত হয়"।
অথর্ববেদ ৬.৭০.১
🌸৪।অনাগোহত্যা বৈ ভীমা কৃত্য মা নো গামশ্বং পুরুশং বধীঃ।
অথর্ববেদ ১০.১.২৯
অনুবাদ- নিরীহের হত্যা অতি নৃশংস এক অপরাধ,কখনো মানুষ কিংবা পশুপাখি কে হত্যা করোনা।
🌸৫।অঘ্ন্যা যজামানস্য পশুন্ পাহি
যজুর্বেদ ১.১
অর্থাৎ পশুসমূহ অঘ্ন্যা(হত্যার যোগ্য নয়)
🌸৬।পশুংস্ত্রাযেথাং
যজুর্বেদ ৬.১১
অর্থাৎ পশুসমূহকে রক্ষা কর।
🌸৭| মনু বলেছেন, যিনি মাংসাহার ও পশুহত্যা করেননা তিনি সর্বজীবের মিত্র ও বিশ্বাসের পাত্র।
🌸৮| পশুস্ত্রাঁয়েথাঙ (যজুর্বেদ ৭/৬/১১) অর্থাৎ পশুদের রক্ষা করো এবং তাদের বর্ধিত করো।কারন বেদ সর্বদাই কল্যাণময়।
🌸৯| যৌ ব্যাঘ্রাববরূঢৌ জিঘত্সতঃ পিতরং মাতরং চ।
তৌ দন্ত ব্রহ্মণস্পতে শিবৌ কৃণু জাতবেদঃ।।
(অথর্ববেদ ৬।১৪০।১)
— যে দন্ত ব্যাঘ্রের ন্যায় পিতা ও মাতাকে খাওয়ার জন্য চেষ্টা করে সেই দাঁত কে হে সর্বব্যাপক জ্ঞানের পরিপালক কল্যাণকারী করো।
🌸১০| ব্রীহিমন্নং যবমত্তমথো মাষমথো তিলম ।
এষ বাং ভাগো নিহিতো রত্নেধেয়ায় দন্তৌ মা হিংসিষ্ট পিতরং মাতরং চ।।
(অথর্ববেদ ৬।১৪০।২)
— হে দন্ত! অন্ন খাও যব খাও মাষ কালাই এবং তিল খাও তোমার এই ভাগ উত্তম পদার্থ ধারনের জন্য স্থাপন করা হয়েছে হে দন্ত! পিতা ও মাতাকে হিংসিত করো না [মাংসাহার থেকে দূরে থাকো]
এবং বেদ মন্ত্রে সেই পরমেশ্বরের কাছে প্রার্থনা করা হচ্ছে যে, আমাদের দন্ত যেন ব্যাঘের ন্যায় না হয়। কারন বাঘের দন্ত সর্বদা মাংসাহার করে থাকে। সে জন্য আমাদের দন্ত কে ব্যাঘের ন্যায় না করে কল্যাণকারী করো।
🌸১১| যঃ পৌরষেযেণ ক্রবিষাং সমঙ্কতে
যো অশ্বয়েন পশুনাং যতুধান।
যো অঘ্ন্যায় ভরতি ক্ষীরমগ্নে
তেষাং শীর্ষাণি হরসাপি বৃশ্চ।।
সরলার্থ : যে দুঃখদায়ী জীব পুরুষ বধ দ্বারা প্রাপ্ত মাংস, ঘোড়ার মাংস এবং পশুর মাংস দ্বারা নিজেকে পুষ্ট করে এবং যে গাভীর দুধকে নষ্ট করে হে অগ্নি তাহার শিরকে নিজের বল দ্বারা ছিন্ন করো। (অথর্ববেদ ৮/৩/১৫)
🌸১২| সর্বভূতের কল্যাণের জন্য নিজের মনস্থির করো। (যজুর্বেদ ৩৪/১)
 
✅ গীতার কোথাও নিরামিষ খাদ্য গ্রহনের কথা বলা নেই। কেননা আমিষ ও নিরামিষ খাবার উভয়ের মাধ্যমেই জীবহত্যা হয় এবং জীবহত্যা মহাপাপ।
তবে আমাদের জীবন ধারনের জন্য খাদ্য গ্রহন করা আবশ্যক। সে কথাই বেদে বলা হয়েছে- ''জীবস্য জীবস্মৃতম''। অর্থাৎ জীবন ধারনের জন্য এক জীব অন্য জীবকে আহার করবে খাদ্যরূপে।
আবার বেদেই বলা হয়েছে-
🌸''মাং হিংস্যাত্ সর্বানি ভূতানি'' অর্থাৎ কাউকে হত্যা করা উচিত নয়।
বেদের উভয় বাক্যই আপাত দৃষ্টিতে স্ববিরোধী ও একে অপরের জন্য সাংঘর্ষিক।
✅কিন্তু গীতায় এ সমস্যার সমাধান দিয়েছেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ নিজেই।
🌸ভগবান শ্রীকৃষ্ণ গীতার ৩/১৩ বলেছেন-
''যজ্ঞাশিষ্টাশিনঃ সন্তো মুচ্যন্তে সর্বকিল্বিষৈঃ,
ভুঞ্জতে তে ত্বঘং পাপা যে পচন্ত্যাত্মকারণাত্''।।
''অর্থাৎ ভগবদ্ভক্তেরা সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হন, কারন তায়া যজ্ঞাবশিষ্ট অন্নাদি গ্রহন করেন। যারা কেবল স্বার্থপর হয়ে নিজেদের ইন্দ্রিয়ের তৃপ্তির জন্য অন্নাদি পাক করে তারা কেবল পাপই ভোজন করে। এবং যে সমস্ত লোকেরা তাদের আত্ম তৃপ্তির জন্য নানা প্রকার উপাদেয় খাদ্য খায়, শাস্ত্রে তাদের চোর বলে গণ্য করা হয়েছে।
🌸ছান্দোগ্য উপনিষদে এ ও বলা আছে-
'' আহারশুদ্ধৌ সত্ত্বশুদ্ধিঃ, সত্ত্বশুদ্ধৌ ধ্রূবা স্মৃতিঃ
স্মৃতিলম্ভে সর্বগ্রন্থীনাং ব্রিপমোক্ষঃ''।।
''অর্থাৎ যজ্ঞ অনুষ্ঠান করার ফলে খাদ্যসামগ্রী শুদ্ধ হয় এবং তা আহার করার ফলে জীবের সত্তা শুদ্ধ হয়। সত্তা শুদ্ধ হবার ফলে স্মৃতি শুদ্ধ হয় এবং তখন সে মোক্ষ লাভের পথ খুজে পায়''।
অর্থাৎ আমরা যদি পাপ করতে না চাই, আমরা যদি চোর হতে না চাই তবে
আমাদের ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে নিবেদন করে খাদ্যদ্রব্য গ্রহন করতে হবে। ভগবানকে কোন বস্তু নিবেদন বা অর্পণ করলে ঐ জীব হত্যার পাপ দুর হয় ভগবান সমস্ত পাপ হরণ করে নেন।
এভাবে আমরা সমস্ত পাপ হতে মুক্ত হতে পারব। কিন্তু প্রশ্ন থাকে আমরা ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে কোন খাদ্য অর্পন করবো এবং কিভাবে অর্পন করবো।
✅সে সম্মন্ধ্যে গীতায় আরও বলেছে -
🌸গীতার শ্লোকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন-
''পত্রং পুষ্পং ফলং তোয়ং যো মে ভক্ত্যা প্রযচ্ছতি,
তদহং ভক্ত্যুপহ্বতমশ্নামি প্রযতাত্মনঃ''॥ ৯/২৬
''অর্থাৎ যে বিশুদ্ধচিত্ত নিষ্কাম ভক্ত ভক্তি সহকারে আমাকে পত্র, পুষ্প ফল জল অর্পণ করেন, আমি তাঁর সেই ভক্তিপ্লুত উপহার প্রীতি সহকারে গ্রহণ করি''।
যদি কেউ মনে করে মাছ মাংস ডিম আদি যোকোন দ্রব্য ভগবানকে নিবেদন বা অর্পণ করা যেতে পারে, তা হবে সম্পুর্ন ভুল ।
✅পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ গীতায় এই ধরনের স্বেচ্ছাচারিতা নিষেধ করেছেন উক্ত ৯/২৬ নং শ্লোক দ্বারা।
আহার বা খাদ্য দ্রব্য ত্রিগুণাত্মিকা যেমন,
রজগুনের আহার বা খাদ্যসামগ্রী হল মাছ, মাংস পিয়াজ ডিম রসুন ইত্যাদি।
তমোগুনের হল পঁচা বাসীদুর্গন্ধযুক্ত খাবার শুটকি মদ গাজা চা পান ইত্যাদি।
সত্বগুনের হল নিরামিষ, শাকসবজি, ফলমুল, শস্যাদি , দুধ বা দুগ্ধজাতীয় খাবার ইত্যাদি
এই ত্রিগুণাত্মিকা খাদ্যের উর্ধ্বে হল গুনাতীত আহার। আর গুনাতীত আহার হল ভগবানে নিবেদিত ভোগ, যা ভগবানের শুদ্বভক্তের প্রিয় ''মহাপ্রসাদ''।
🌸এইজন্য ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে বলেছেন ,
''হে অর্জুন তুমি এই ত্রিগুনের উর্ধ্বে উঠ, গুনাতীত হও''।
🌸"যৎকরোষি যদশ্নাসি যজুহােষি দদাসি যৎ ।
যত্তপস্যসি কৌন্তেয় তৎকুরুষ মদর্পণম্" ॥গীতা ৯/২৭ ॥
অনুবাদ : হে কৌন্তেয় ! তুমি যা অনুষ্ঠান কর , যা আহার কর , যা হােম কর , যা দান কর এবং যে তপস্যা কর , সেই সমস্তই আমাকে সমর্পণ কর ।
শ্রীকৃষ্ণ এখানে আদেশ দিয়েছেন , সমস্ত কর্ম যেন কেবল তার জন্যই করা হয় । জীবন ধারণের জন্য সকলকেই কিছু আহার করতে হয় ; অতএব সমস্ত খাদ্যদ্রব্য শ্রীকৃষ্ণকে নিবেদন করে তার প্রসাদ গ্রহণ করা উচিত।
এবার বিচার করুন আপনি কি আহার করবেন ?
গীতায় কি ভগবান নিরামিষ খেতে বলেছেন || আমিষ নিরামিষ কি || নিরামিষ খেলেও পাপ হয় || 
আমিষ ? নিরামিষ ? প্রসাদ?
🌸কিছু কথাঃ 🌸
নিরামিষ আহার করলেই যে পাপ থেকে মুক্ত হবেন তা নয় কিন্তু। নিরামিষ খেলে পাপ কিছু কম হবে আমিষভোজীর তুলনায়। তাই সেই নিরামিষ খাদ্যকেই ভগবানকে অর্পন করে সম্পূর্ণভাবে পাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করুন। পাপমুক্ত না হলে আপনি ভক্তিতে রুচি পাবেন না। থাকতো শুদ্ধ ভক্তি! গীতা, ভাগবৎ,বেদ,পুরাণ সহ সমস্ত শাস্ত্রে ভগবানের নির্দেশ সাত্ত্বিক আহার এবং তা অবশ্যই ভগবানকে নিবেদন করে আহার করা- তবেই ভগবান প্রীত হন। আর এইভাবে ভক্তি করতে করতে একসময় ভগবৎধামে ফিরে যেতে পারবেন। আপনি যদি ভগবৎধাম পাওয়ার জন্য এই জড়জগৎ থেকে মুক্তিলাভ করতে চান তাহলে অবশ্যই নিরামিষ তথা প্রসাদ আহার করতে হবে!!
হরে কৃষ্ণ

সদা সর্বদা শ্রী শ্রী রাধা ও কৃষ্ণের পাদপদ্মের কথা স্মরণ করুন, তাহলে শ্রীকৃষ্ণের দ্বারা আপনার জন্য বরাদ্দকৃত কার্য সম্পাদন করতে কোনও অসুবিধা অনুভব করতে হবে না।
জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে শ্রীকৃষ্ণের কৃপার প্রতি অগাধ বিশ্বাস ও ভরসা রাখতে হবে।
শ্রীকৃষ্ণের পবিত্র নামটিতে অসাধারণ আধ্যাত্মিক শক্তি রয়েছে কারণ শ্রীকৃষ্ণের নাম স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণের থেকে আলাদা নয় ....
ঐকান্তিক ভালবাসা এবং নিষ্ঠার সাথে এই নামগুলি জপ করুন তবেই আপনি চিণ্ময় আনন্দ অনুভব করবেন:
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে ...(১০৮ বার)
হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করুন এবং সুখী হন ...

সনাতন ধর্ম সম্পর্কে জানতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন-

আরো জানুনঃ

কেন প্রসাদভোজী হবেন? সমস্ত বৈদিক শাস্ত্র (বেদ,সংহিতা, মহাভারত, গীতা,ভাগবত,পুরাণ,উপনিষদ) থেকে প্রমান দেওয়া হলো...

চার যুগ-সত্য,ত্রেতা,দ্বাপর ও কলির সময় পরিমাণ ও বৈশিষ্ট্যসমূহঃ

শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর কিছু অমৃত বাণী

মহাভারতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কিছু বাণী ও উপদেশ

মনুষ্য দেহের কথা আলোচনা

আপনি কি অনেক হতাশায় ভুগছেন? সকল সমস্যাগুলোর সমাধান খুজে পান!!!!!!!!!!

ভগবান বিষ্ণুর গাত্র বর্ণ নীল কেন?

এই জগতে প্রকৃত জ্ঞানী,কে এই জগতে প্রকৃত সুখী,আর কে-ই বা প্রকৃত দুঃখী ?

অনাচার কাকে বলে ও কয় প্রকার?

কলিযুগের মানুষদের ভগবানের নামে রুচি নেই কেন ? 

ঘট কিসের প্রতীক? 

সনাতন ধর্মের বৈদিক শাস্ত্রে জন্ম ও মৃত্যুযোগ অশৌচ কি?

মহাভারত পড়ার সময় না থাকলেও এর মূল সূত্রগুলি আমাদের জীবনে কার্যকর প্রমাণ করতে পারে----------------------- 

মহাভারতের কিছু বাণী

শ্রীমদভগবদগীতায় উচ্চারিত ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সকল নামের অর্থ ও মাহাত্ম্য

প্রকৃত ভালোবাসার খোঁজে.......... 

রাধাকৃষ্ণের প্রেম-কাহিনীর প্রকৃত রহস্য

ভক্তি কি ?

 মায়া কি? মায়া থেকে পরিত্রাণের উপায় কি? 

ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কেন মাথায় ময়ূরপালক/পুচ্ছ পরিধান করতেন?

রাজা পুরঞ্জনের কেন পরবর্তী জন্মে নারী হয়ে জন্ম হয়েছিল ?

 
আরো পড়ুন.....


 
হিন্দুদের কেন গো মাংস খাওয়া উচিত না? গো মাতা কেন সনাতন ধর্মে পূজনীয় ? Why Hindus should not eat beef? Why is Go Mata revered in traditional religion?
অম্বুবাচী (আম্ববর্তী) কি? কেন অম্বুবাচী পালন করা হয়? What is Ambubachi? Why is Ambubachi celebrated?
একজন বুদ্ধিমান ব্যক্তির নতুন বছরের প্রতিজ্ঞাগুলো ঠিক এরকমই হওয়া উচিত--That's the decent thing to do, and it should end there.
শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছেন সর্ব কারণের পরম কারণ এবং লীলা পুরুষােত্তম স্বয়ং ভগবান । Lord Krishna is the ultimate cause of all causes and Leela is the best man himself.
মা লক্ষ্মীর কৃপালাভের কিছু মন্ত্র ও আচার-অনুষ্ঠান ! Some mantras and rituals of mother Lakshmi's grace!
ছাত্র-ছাত্রীদের আট প্রকার প্রবণতা বিদ‍্যা অর্জনে বিশেষ বাধা-স্বরূপ: The eight types of tendency of students to acquire knowledge are special obstacles:
 
সনাতন  ধর্মের মূল গ্রন্থসমূহ:Original texts of traditional religion:
গীতার ১৮ টি নামের মাহাত্ব্যঃ Greatness of 18 names of Gita:
কেনো মহাপ্রসাদ আহার করা উচিত?Why should Mahaprasad be eaten?
অক্ষয় তৃতীয়া মাহাত্ম্যঃ Akshay titiya Mahatmyah
শ্রীরাম নবমী তাৎপর্য ও মহিমাঃ Sriram-Nabami-meaning-and-glory
মা মনসার ধ্যান মন্ত্র প্রণাম মন্ত্রঃ মনসা অঞ্জলি : Ma Manasa Dhyana Mantra Pranam Mantra: Manasa Anjali:
রাশি বা লগ্ন অনুসারে জেনে নিন আপনার বৈশিষ্ঠ্য...........
মহা বারুণী স্নান মাহাত্ম্য
চৈত্র সংক্রান্তি Chaitra Sankranti
 
বাসন্তী পূজা
দোল পূর্ণিমা এবং ভগবান শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর আবির্ভাব তিথি -গৌর পূর্ণিমা
রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের জীবনী ও শিক্ষাঃ
দেবাদিদেব মহাদেব শিব চতুর্দশী ব্রত মাহাত্ম্য এবং শিবরাত্রি পূজার সময়সূচি ও নিয়মাবলি
শ্রীমদ্ভগবদগীতা কি? কেন গীতা পড়বেন?
 
অশ্বিনীকুমার ব্রত মাহাত্ম্য
দামোদর মাস ও ব্রত...মাহাত্ম্য
দুর্গাপূজার তাৎপর্য, মহিমা ও  বিভিন্ন তিথির আনুষ্ঠানিকতা এবং সময় নির্ঘণ্টঃ
পিতৃপক্ষ এবং দেবীপক্ষ বিশেষ তাত্‍পর্য্য
 
একাদশী ব্রত পালনের তাৎপর্য ও নিয়মাবলিঃ
শয়ন একাদশী মাহাত্ম্য
আমলকী একাদশী মাহাত্ম্য
 
পবিত্রারোপণী একাদশী মাহাত্ম্য Pobitrarohini Ekadashi Mahatmya
অন্নদা একাদশী মাহাত্ম্য Annada Ekadashi Mahatmya
পার্শ্ব একাদশী এর মাহাত্ম্য Parsha Ekadashi Mahatmya
ইন্দিরা একাদশী মাহাত্ম্য Indira Ekadashi Mahatmya
 
সফলা একাদশী মাহাত্ম্য Safala Ekadashi Mahatmya
পুত্রদা একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য Putrada Ekadashi Brata Mahatmya
ষটতিলা একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য Shattila Ekadashi Brata Mahatmya
পাপমোচনী একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য Paapmochani Ekadashi Brata Mahatmya
 
প্রথম অধ্যায়  অর্জুন বিষাদ-যোগ
দ্বিতীয় অধ্যায়  সাংখ্য-যোগ
তৃতীয় অধ্যায়  কর্মযোগ
 
একাদশ-অধ্যায় বিশ্বরূপ-দর্শন-যোগ
দ্বাদশ-অধ্যায় ভক্তিযোগ
প্রকৃতি-পুরুষ বিবেকযোগ
 
শিব কল্প তরু শ্রী শ্রীমৎ স্বামী অদ্বৈতানন্দ পুরী মহারাজ Shiva Kalpa Taru Sri Srimat Swami Advaitananda Puri Maharaj
শ্রী অদ্বৈত আচার্য
শ্রীগদাধর পণ্ডিত : মহাপ্রভুর ছায়া
 
সংঘাত নিরসনের পন্থা
হরি নামের মহিমা
কামকে কিভাবে জয় করবেন ?
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রিয় হতে চান এই গুনগুলোর চর্চা করুনঃ If you want to be dear to Lord Krishna, practice these qualities:
 
সনাতন ধর্ম সম্পর্কে নিজে জানুন অন্যকে জানার ‍সুযোগ করে দিতে অবশ্যই সকলকে শেয়ার করুন..........................................



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ