শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছেন সর্ব কারণের পরম কারণ এবং লীলা পুরুষােত্তম স্বয়ং ভগবান ।
গীতায় বিভিন্ন শ্লোকে শ্রীকৃষ্ণ যে পরম পুরষ ভগবান তার উল্লেখ পাওয়া যায়, যেমন
মত্তঃ পরতরং নান্যৎ কিঞ্চিদস্তি ধনঞ্জয় (৭/৭)
অহং সর্বস্য প্রভবাে মত্তঃ সর্বং প্রবর্ততে (১০/৮)
পরং ব্রহ্ম পরং ধাম পবিত্রং পরমং ভবান্ (১০/১২)
আমরা দেখতে পাই অষ্টাদশ অধ্যায় যুক্ত ভগবদগীতার বিভিন্ন উপদেশের মাধমে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাঁর পরম ভক্ত ও সখা অর্জুনের মােহ মুক্ত করার জন্য বহুভাবে চেষ্টা করেছেন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ প্রথমে অর্জুনকে যুদ্ধ করতে বললেন, অর্থাৎ তাঁর শরণাগত হতে বললেন। কিন্তু অর্জুনের তাতে সংশয় দেখা দিল। তিনি বুঝতে পারছিলেন না তাঁর প্রকৃতপক্ষে কি করা উচিত। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তা বুঝতে পেরে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের মাঝখানে অর্জুনকে আত্মতত্ত-বিজ্ঞান প্রদান করলেন, যাতে অর্জুন মােহ থেকে মুক্ত হয়ে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নির্দেশ পালন করেন। প্রকৃতপক্ষে অর্জুন ছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সখা অর্থাৎ নিত্য পার্ষদ, তাই অর্জুনের মায়ার দ্বারা আচ্ছাদিত হওয়ার কোন প্রশ্নই থাকতে পারে না। সমগ্র মায়াবদ্ধ জীবদের মায়া থেকে মুক্তির জন্য ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাঁর নিত্যসখা অর্জনকে নিমিত্ত করে এই ভগবদগীতার জ্ঞান প্রদান করেছিলেন। তিনি সর্বপ্রথমে অর্জনের নিকট কর্মের ব্যাখ্যা করলেন কর্ম, বিকর্ম ও অকর্ম। তিনি 'অকর্ম অর্থাৎ নিষ্কাম কর্মের উপর গুরুত্ব আরােপ করলেন।তারপর তিনি জ্ঞানযােগের কথা বললেন। অর্থাৎ, ভগবৎ-তত্তবিজ্ঞান লাভের মাধ্যমে জড় ইন্দ্রিয়গুলিকে সংযত করে কিভাবে ব্রহ্মের ধ্যান করা যায়। তারপর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে অষ্টাঙ্গ যােগের ব্যাখ্যা করলেন - কিভাবে একজন যােগী যম নিয়ম, আসন, প্রাণায়াম এবং অন্তিমে সমাধির স্তরে উপনীত হয়ে হৃদয়ে অবস্থিত অন্তর্যামী
পরমাত্মার দর্শন লাভ করতে পারেন। |সর্বপরিশেষে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জনকে কি উপদেশ দান করলেন? ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বললেন
সর্বধর্মান পরিত্যজ্য মামেকং শরণং ব্রজ।
অহং ত্বাং সর্বপাপেভ্যো মােক্ষয়িষ্যামি মা শুচঃ \
"সমস্ত রকমের ধর্ম পরিত্যাগ করে একমাত্র আমার শরণাগত হও। আমি তােমাকে সমস্ত রকম পাপকর্মের ফল থেকে মুক্ত করে উদ্ধার করব। তুমি তার জন্য চিন্তা করাে ন।" (গীতা ১৮/৬৬)
এই শ্লোকে ভগবান কৃষ্ণ অর্জুনকে। |সম্পূর্ণরূপে তাঁর শরণাগত হতে বললেন। সর্বধর্মান পরিত্যজ্য বলতে কর্মফল প্রদানকারী কর্মকাণ্ডায় কমই কেবল ত্যাগ নয়, এমন কি মুমুক্ষুদের জ্ঞানযােগ এবং সিদ্ধিকামীদের অষ্টাঙ্গযােগকেও ত্যাগ করতে বলেছেন। কারণ, । কর্মকাণ্ডের প্রতি আসক্ত হলে স্বর্গসুখের বাসনা, জ্ঞানের প্রতি আসক্ত হলে ব্রহ্মে লীন হয়ে যাওয়ার বাসনা এবং। অষ্টাঙ্গযােগের প্রতি আসক্ত হলে অনিমা, লঘিমা, ঈশিতা, বশিতা, প্রাপ্তি আদি জড়-জাগতিক সিদ্ধি লাভের প্রতি। বাসনা জাগ্রত হয়, ফলে মানব জীবনের পরম প্রাপ্তি যে কৃষ্ণপ্রেম তা থেকে বঞ্চিত হতে হয়। সেই সম্বন্ধে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাঁর অন্তরঙ্গ ভক্ত উদ্ধবকে বলেছেনন সাধয়তি মাং যােগাে ন সাংখ্যং ধর্ম উদ্ধব। ন স্বাধ্যায়ন্তপ্যাগাে যথা ভক্তিৰ্মমাের্জিতা। "হে প্রিয় উদ্ধবা! অষ্টাঙ্গযােগ, সাংখ্যযােগ, বেদ অধ্যয়ন, তপশ্চর্যা অথবা ত্যাগের মাধ্যমে আমাকে লাভ করা যায়। না, একমাত্র আমার প্রতি শুদ্ধ ভক্তি অর্জন করে আমার ভক্ত অতি সহজেই আমাকে লাভ করতে পারে।" সুতরাং কর্ম, জ্ঞান ও অষ্টাঙ্গ-যােগের দ্বারা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পাদপদ্মে শরণাগতি হয় না, তাই ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সব। | রকমের ধর্ম পরিত্যাগ করে সম্পূর্ণরূপে তাঁর শরণাগত হতে বলেছেন। অর্থাৎ, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে । | ভক্তিযােগের মাধ্যমে তাঁর শরণাগত হতে বলেছেন। লীলা পুরুষােত্তম ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পাদপদ্মে কিভাবে।
শরণাগত হতে হবে, সেটিই হচ্ছে ভগবদগীতায় অর্জনের প্রতি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের গুহ্যতম উপদেশ এবং তা। হচ্ছেN | মন্মনা ভব মঙুক্তো মদ্যামী মাং নমষ্ণুরু। | মামেবৈষ্যসি সত্যং তে প্রতিজানে প্রিয়ােহসি মে।।
"সর্বদাই আমার স্মরণ কর, আমার ভক্ত হও, আমাকে পূজা কর এবং আমাকে প্রণাম কর। যদি তুমি তা কর, তবে। | নিঃসন্দেহে তুমি আমার কাছে ফিরে আসবে। আমি তােমার কাছে প্রতিজ্ঞা করছি, কেন না তুমি আমার প্রিয় । | সখা।" (গীতা ১৮/৬৫) সমগ্র মানব সমাজের একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের এই গুহ্যতম বাণী । | যথাযথভাবে পালন করা। অর্থাৎ ভক্তিযােগের আশ্রয় গ্রহণ করে চিন্ময় কৃষ্ণলােকে লীলা পুরুষােত্তম শ্রীকৃষ্ণের
কাছে ফিরে যাওয়া৷ একবার কেউ সনাতন চিন্ময় ভগবৎ ধামে ফিরে গেলে, তাকে আর জন্ম-মৃত্যুময় ভৌতিক। | জগতে ফিরে আসতে হয় না। প্রথমে অর্জুনও ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নির্দেশ পালন করতে অস্বীকৃত হয়েছিলেন। পরিশেষে শ্রীকৃষ্ণের কৃপায় অর্জুন। সংশয় ও মােহ থেকে মুক্ত হয়েছিলেন এবং তিনি সম্পূর্ণরূপেশ্রীকৃষ্ণের প্রতি শরণাগত হয়েছিলেন। তখন অর্জুন। বলেছিলেন। | নষ্টো মােহ স্মৃতির্লব্ধ ত্বৎপ্ৰসাদান্ময়াচ্যুত। | স্থিতােহস্মি গতসন্দেহঃ করিষ্যে বচনং তব। "হে প্রিয় কৃষ্ণ! হে অচ্যুত| আমার মােহ দূরীভূত হয়েছে। তােমার কৃপায় আমার স্মৃতিশক্তি আমি পুনরায় ফিরে। পেয়েছি। আমি এখন সম্পূর্ণরূপে সংশয় থেকে মুক্ত এবং তােমার উপদেশ মতাে কাজ করতে আমি প্রস্তুত। (গীতা ১৮/৭৩) শেষ পর্যন্ত অর্জন ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নির্দেশে যুদ্ধ করেছিলেন। বহু অধার্মিক রাজাদের ধ্বংস করে। | ধর্মরাজ্য স্থাপনে শ্রীকৃষ্ণের ইচ্ছাকে পূর্ণ করেছিলেন। শ্রীকৃষ্ণের কৃপার ফলে অর্জুন পৃথিবীর মধ্যে শ্রেষ্ঠ যােদ্ধা ও । | শ্রীকৃষ্ণের পরম ভক্তরূপে খ্যাতি লাভ করেছিলেন। যিনি অর্জুনের পদাঙ্ক অনুসরণ করবেন, তিনি এই জীবনে । | পরম সৌভাগ্যশালী তাে হবেনই এবং পরবর্তী জীবনে চিত-জগতে কৃষ্ণলােকে ফিরে গিয়ে নিত্যকাল শ্রীকৃষ্ণের। সঙ্গলাভ করবেন তাতে কোনও সন্দেহ নেই। দ্বাপর যুগ শেষ হয়ে এখন কলিযুগ চলছে। কলির প্রভাবে মানুষ ক্রমশ অধিক থেকে অধিকতর অধঃপতনের । দিকে এগিয়ে চলেছে। নেশা, মাংসাহার, জুয়া ও অবৈধ স্ত্রীসঙ্গের প্রতি মানুষের আসক্তি বৃদ্ধির ফলে ধর্মের তিনটি।
অঙ্গতিপস্যা, শৌচ ও দয়া একেবারেই বিনষ্ট হয়ে যায়, অর্থাৎ একমাত্র সত্যের অস্তিত্ব রয়েছে। ভয়ংকর কলির। | দ্বারা এভাবেই দ্রুত করালগ্রস্ত হওয়ার দরুন মানুষ আর কেউই ধর্মের অনুশাসন গ্রহণ করতে চায় না। ভগবান । | শ্রীকৃষ্ণের চরম গুহ্যতম নির্দেশ-"আমার শরণাগত হও' মায়ামােহাচ্ছন্ন হয়ে সকলেই তা ভুলতে বসেছে। কলির ।
শ্রীকৃষ্ণের চরম গুহ্যতম নির্দেশ-'আমার শরণাগত হও' মায়ামােহাচ্ছন্ন হয়ে সকলেই তা ভুলতে বসেছে। কলির। ভয়ংকর তাণ্ডব নৃত্যের প্রভাবে অল্প-বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ পারমার্থিক জ্ঞানশূন্য হয়ে মানব-জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্য। সম্পূর্ণরূপে ভুলে গেছে। মানুষ আহার, নিদ্রা ও স্ত্রীসঙ্গে আসক্ত হয়ে তাদের শাশ্বত, চিন্ময় স্বরূপকে ভুলে গিয়ে। অনিত্য, নশ্বর জড় শরীরকেই তাদের স্বরূপ বলে মনে করতে থাকে। এই নিদারুণ শৌচনীয় অবস্থা থেকে উদ্ধারের। পথ তাদের কে দেখাবে? যার তার কথা তাে মানুষ শুনবে না। সুহৃদং সর্বভূতানামভগবান শ্রীকৃষ্ণই হচ্ছেন সমগ্র। জীবকুলের একমাত্র পরম উপকারী বন্ধু। যদি ভগবান শ্রীকৃষ্ণ আবার এই কলিযুগে অবতীর্ণ হয়ে তাঁর পাদপদ্মে । শরণাগত হবার পন্থা প্রদর্শন করেন, তবেই মায়াবদ্ধ জীবেরা ভক্তিমার্গের পন্থা গ্রহণ করবে, নচেৎ আশা নেই।। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের থেকেও তাঁর একান্ত শরণাগত শুদ্ধ ভক্ত অধিকতর পরদুঃখে দুঃখী। তাই ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ঠিক। করলেন, ভগবৎ-ভক্তির পন্থা আচরণের মাধ্যমে শিক্ষা দেওয়ার জন্য তিনি ভক্তশ্রেষ্ঠ শ্রীমতী রাধিকার ভাব ও কান্তি।
অবলম্বন করে ভক্তরূপে এই কলিযুগে শচীগৰ্ভসিন্ধু থেকে অবতীর্ণ হবেন। তিনি হচ্ছেন কলিযুগের মহাবদান্য। | অবতার শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু, যিনি পাঁচশাে কুড়ি বছর পূর্বে কলিযুগের যুগধর্ম হরিনাম সংকীর্তন প্রবর্তন করবার।
জন্য এই শ্রীধাম মায়াপুরে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। সেই সম্বন্ধে বলা হয়েছে। মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য রাধাকৃষ্ণ নহে অন্য, রূপানুগজনের জীবন।
শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু যে স্বয়ং রাধা-কৃষ্ণের মিলিত প্রকাশ, সেই সম্বন্ধে শ্রীল স্বরূপ গােস্বামীর কড়চায় বর্ণিত হয়েছেরাধা কৃষ্ণপ্রণয়বিকৃতির্মুদিনীশক্তিরদেকানাবপিভুবি পুরা দেহভেদং গতৌ তৌ। চৈতন্যাখ্যাং প্রকটমধুনা তদ্বয়ং চৈক্যমাপ্ত রাধাভাবদ্যুতিসুবলিতং নৌমি কৃষ্ণস্বরূপ। "শ্রীরাধিকা শ্রীকৃষ্ণের প্রণয়ের বিকার-স্বরূপা; সুতরাং শ্রীমতী রাধারানী শ্রীকৃষ্ণের স্লাদিনী শক্তি। এই জন্য তাঁরা। (শ্রীমতি রাধারানী ও শ্রীকৃষ্ণ) একাত্মা; কিন্তু একাত্ম হলেও তাঁরা অনাদিকাল থেকে গােলােকে পৃথক দেহ ধারণ। করে আছেন। এখন (কলিযুগে) সেই দুই দেহ পূনরায় একত্রে যুক্ত হয়ে শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য নামে প্রকট হয়েছেন।। শ্ৰীমতী রাধারানীর এই ভাব ও কান্তিযুক্ত শ্রীকৃষ্ণস্বরূপশ্রীকৃষ্ণচৈতন্যকে আমি আমার প্রণতি নিবেদন করি।" (চৈঃ। চঃ আদি ১/৫)। ভগবান শ্রীকৃষ্ণচন্দ্রের শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুরূপে অবতরণের কারণ প্রসঙ্গে বিদগ্ধমাধবে (প্রথমাঙ্কে দ্বিতীয় শ্লোক)। শ্রীল রূপ গােস্বামী উল্লেখ করেছেন।
অর্পিতচরীং চিরাৎ করুণাবতীর্ণঃ কলৌ সমপয়িতুমুন্নতােজ্জ্বলরসাং স্বভক্তিশ্রিয়। হরিঃ পুরটসুন্দরদ্যুতিকদম্বসন্দীপিতঃ সদা হৃদয়কন্দরে স্ফুরতু বঃ শচীনন্দনঃ।। "পূর্বে যা অর্পিত হয়নি, সেই উন্নত ও উজ্জ্বল রসময়ী নিজের ভক্তিসম্পদ দান করার জন্য যিনি করুণাবশত কলিযুগে অবতীর্ণ হয়েছেন, স্বর্ণ থেকেও সুন্দর দ্যুতিসমূহ দ্বারা সমুদ্ভাসিত সেই শচীনন্দন শ্রীহরি সর্বদা তােমাদের। হৃদয়-কন্দরে স্ফুরিত হােন।" লীলা পুরুষােত্তম ভগবান কলিযুগের যুগধর্ম হরিনাম সংকীর্তন প্রবর্তন ও প্রচারের। জন্য এই কলিযুগে যে অবতীর্ণ হবেন, তা শ্রীমদ্ভাগবত, পুরাণ, উপনিষদ আদি বিভিন্ন ধর্মশাস্ত্রে পরিদৃষ্ট হয়। পূর্বের। কোনও প্রকার যােগ্যতা ছাড়া অকাতরে, নির্বিচারে, সকলকে দুর্লভ কৃষ্ণপ্রেম প্রদানের জন্যই শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু। এই ধরাধামে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। তাই শ্রীল রূপ গােস্বামীপাদ শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুকে'মহাবদান্য অবতার' বলে। উল্লেখ করেছিলেন। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু শ্রীধাম মায়াপুরে অবতীর্ণ হয়েছিলেন ফাল্গুনী পূর্ণিমায় চন্দ্রগ্রহণচ্ছলে হরিনাম সংকীর্তনের। মধ্য দিয়ে। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু এই শ্রীধাম মায়াপুরে যে-মুহূর্তে আবির্ভূত হয়েছিলেন, ঠিক সে সময়ে চন্দ্রগ্রহণের। পরিসমাপ্তি হওয়াতে লক্ষ লক্ষ বৈদিক ব্রাহ্মণ ও হিন্দুরা উচ্চস্বরে বৈদিক মন্ত্র পাঠ ও সংকীর্তন করে সকলে। গঙ্গাস্নান করছিল। আর সেই হরিনামের চিন্ময় শব্দতরঙ্গে দশদিক আকাশ বাতাস মুখরিত হচ্ছিল। এভাবেই মহাপ্রভু অত্যন্ত সুকৌশলে কলিযুগের যুগধর্ম সংকীর্তনের সূচনা করেন। শিশুকালে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু ক্রন্দনের। ছলে হরিনাম কীর্তন করাতেন। শিশুকালে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু মাঝে মধ্যে হঠাৎ কেঁদে উঠতেন। তখন পাড়া-। প্রতিবেশীরা বিনিভাবে তাঁর ক্রন্দন থামাবার চেষ্টা করতেন, কিন্তু তিনি তাতে আরও বেশি কান্না করতেন। কিন্তু। যেমাত্ৰ হাত তালি দিয়ে সকলে মিলে উচ্চস্বরেহরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে। হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে। এই মহামন্ত্র কীর্তন করত, তৎক্ষণাৎ শিশু নিমাই তাঁর কান্না বন্ধ করে দিয়ে হাসতে হাসতে সকলের মুখের দিকে। তাকাতেন। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু যখন দিব্যলীলা-বিলাস করছিলেন, তখন নবদ্বীপের সকলে তাঁকে নিমাই পণ্ডিত বলেই জানত।
রাধারানীর ভাব অঙ্গীকার করে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। একদিন তিনি কৃষ্ণপ্রেমে উন্মত্ত হয়ে গােপী গােপী' এই নাম।
| জপ করছিলেন। হঠাৎ তাঁর পড়-য়া ছাত্রগণ মহাপ্রভুর নিকটবর্তী হয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, কেন তিনি।
কৃষ্ণনাম উচ্চারণ না করে গােপীনাম উচ্চারণ করছেন? মহাপ্রভু আবেশে রাগ প্রকাশ করে ঠেঙ্গা নিয়ে তাদের । | পিছনে তাড়া করলেন। পরিশেষে ছাত্ররা দলবদ্ধ হয়ে মহাপ্রভুকে আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। অন্তর্যামী ভগবান শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু তা জানতে পারলেন। তিনি তখন ভাবতে লাগলেন, যদি এই সব ছাত্র তাঁর পাদপদ্মে। অপরাধ করে, তবে কোনও দিনই তারা কৃষ্ণপ্রেম লাভ করতে পারবে না। অথচ শ্রীকৃষ্ণই মহাপ্রভুরূপে এসেছেন। নির্বিচারে কৃষ্ণপ্রেম প্রদান করার জন্য। সকলেই যাতে তাঁকে শ্রদ্ধাভক্তি করে ব্রহ্মার দুর্লভ কৃষ্ণপ্রেম লাভ করতে। পারে, তাই তিনি ঠিক করলেন গৃহস্থ-আশ্রম পরিত্যাগ করে সন্ন্যাস-আশ্রম গ্রহণ করবেন। কারণ সন্ন্যাসীকে। সকলেই শ্রদ্ধাভক্তি করে। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু কাটোয়ায় কেশব ভারতীর কাছ থেকে সন্ন্যাস-ধর্ম গ্রহণ করে, শান্তিপুরে অদ্বৈত আচার্যের গৃহে। শােকসন্তপ্তা ও বিরহবিধূরা শচীমাতা ও আপন প্রি য় ভক্তদের সান্ত্বনা দানের পর শচীমায়ের অনুমােদন নিয়ে যখন জগন্নাথ পুরীতে জগন্নাথ মন্দিরে এসে প্রেমে। বিহল হয়ে শ্রীজগন্নাথদেবকে আলিঙ্গন করবার জন্য বিগ্রহের দিকে ছুটে যাচ্ছিলেন, তখন গভীর ভাবের। আবেগে মেঝেতে পতিত হয়ে মূৰ্ছাপ্রাপ্ত হলেন। নিকটেই বেদান্ত-দর্শনের ভারত বিখ্যাত দার্শনিক পণ্ডিত সার্বভৌম। ভট্টাচার্য দাঁড়িয়ে ছিলেন। তিনি মহাপ্রভুর সর্বাঙ্গে এই প্রকার অলৌকিক সাত্তিক বিকার দর্শন করে আশ্চর্যান্বিত । হলেন এবং চিন্তা করলেন, মনুষ্য-শরীরে এই প্রকার সাত্তিক প্রেমের বিকার কিভাবে প্রকাশ হতে পারে। শ্রীচৈতন্য। | মহাপ্রভুর শরীরে কোন প্রকার স্পন্দন দেখতে না পাওয়ায় সার্বভৌম ভট্টাচার্য মহাপ্রভুকে তাঁর নিজের গৃহে এনে। | রেখেছিলেন। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর অন্তরঙ্গ পার্ষদ শ্রীল গােপীনাথ আচার্য সার্বভৌম ভট্টাচার্যকে বুঝাতে চেষ্টা করলেন যে, মহাপ্রভু হচ্ছেন স্বয়ং ঈশ্বর। কিন্তু সার্বভৌম ভট্টাচার্য তা অস্বীকার করে গােপীনাথ আচার্যকে বললেন। | যে, তিনি কিসের ভিত্তিতে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুকে ঈশ্বর বলে স্বীকার করছেন, তা ছাড়া কলিযুগে ভগবানের কোনও। | অবতার নেই। তখন গােপীনাথ আচার্য ঈশ্বরের অন্তর ও বহির লক্ষণ ব্যাখ্যা করে শাস্ত্রে যে কলিযুগে ভগবানের।
অবতার আছে, তা মহাভারত (দানধর্ম বিষ্ণুসহস্রনাম-ভাের) থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে শােনালেন । সুবৰ্ণবর্ণো হেমাঙ্গো বরাঙ্গশ্চন্দনাঙ্গদী। সন্ন্যাসকৃচ্ছমঃ শান্তো নিষ্ঠাশান্তিপরায়ণঃ \ "ভগবান তপ্ত কাঞ্চনের মতাে অঙ্গকান্তি ধারণ করে (গৌরসুন্দর রূপে) অবতীর্ণ হবেন। তাঁর সুন্দর রূপতপ্ত।
কাঞ্চনের মতাে এবং চন্দনে চৰ্চিত। তিনি সন্ন্যাস-আশ্রম অবলম্বন করে কঠোরভাবে আত্মসংযমী হবেন এবং | মায়াবাদী সন্ন্যাসীদের মতাে নির্বিশেষবাদী না হয়ে তিনি ভগবৎ-ভক্তিতে নিষ্ঠাপরায়ণ হবেন এবং সংকীর্তন।
আন্দোলনের সূচনা করবেন।" পরে সার্বভৌম ভট্টাচার্য মহাপ্রভুকে সাতদিন ধরে বেদান্ত-দর্শন শ্রবণ করিয়েছিলেন। মহাপ্রভু তার ভ্রান্ত। নির্বিশেষপর মায়াবাদী ব্যাখ্যা খণ্ডন করে বেদান্তের নির্ভুল সবিশেষ-তত্ত। ব্যাখ্যা করলেন এবং পরিশেষে তাঁকে। ষড়ভুজরূপে দর্শন দান করে এক মহান ভক্তরূপে পরিণত করলেন। সার্বভৌম ভট্টাচার্য মহাপ্রভুর কৃপা প্রাপ্ত হয়ে । তাঁকে একশাে শ্লোকদ্বারা বন্দনা করেছিলেন। সার্বভৌম ভট্টাচার্যের মতাে অনেকেই শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুই যে স্বয়ং। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তা জানতে পারেননি। কারণ ভগবানের কৃপা ছাড়া ভগবানকে জানা যায় না। শ্রীকৃষ্ণচন্দ্র যে। শচীসূতরূপে অবতীর্ণ হবেন তা ভবিষ্যৎ পুরাণেও উল্লেখ আছে। অজায়ধ্বমজায়ধ্বজয়ধ্বং ন সংশয়ঃ ।। কলৌ সংকীর্তনারম্ভে ভবিষ্যামি শচীসুতঃ। "কলিযুগে সংকীর্তন আরম্ভে আমি শচীসূতরূপে জন্মগ্রহণ করব, জন্মগ্রহণ করব, জন্মগ্রহণ করব, সেই বিষয়ে। কোনও সন্দেহ নেই।" শ্রীচৈতন্যচরিতামৃতে (আদি ৩/৪০) উল্লেখ আছে। কলিযুগে যুগধর্মমনামের প্রচার। তথি লাগি পীতবর্ণ চৈতন্যাবতার। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু যখনই অবতীর্ণ হন, তখনই তিনি নবদ্বীপের অন্তদ্বীপে অন্তর্গত এই শ্রীধাম মায়াপুরে। শচীমায়ের গর্ভে অবতীর্ণ হন। তবে শ্রীকৃষ্ণের মতাে তিনিও প্রতি কলিযুগে অবতীর্ণ হন না। তিনি ব্রহ্মার দিবসে। অর্থাৎ এক হাজার চতুর্যুগের মধ্যে একবার মাত্র অবতীর্ণ হন। সেই সম্বন্ধে শ্রীচৈতন্যচরিতামৃতে (আদি ৩/১০)। উল্লেখ করা হয়েছেঅষ্টাবিংশ চতুর্যগে দ্বাপরের শেষে। ব্রজের সহিত হয় কৃষ্ণের প্রকাশে \ "বৈবস্বত মন্বন্তরের অষ্টাবিংশ চতুর্যগের দ্বাপরের শেষভাগে কৃষ্ণ নিজে ব্ৰজতত্তের সমস্ত উপকরণ সহ প্রকাশ। পান।" সেই প্রকার শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুও দ্বাপরের পরেই কলিতেই অবতীর্ণ হন। তিনি এসে কি করেন? অনপিত। বস্তু প্রদান করেন, যা ভগবানের অন্য কোন অবতার ইতিপূর্বে প্রদান করেননি। তা হচ্ছে কৃষ্ণপ্রেম, বিশেষ করে। | ব্রজের পরকীয়া মাধুর্য প্রেম, যাকে উন্নতাজ্জ্বল রস বলা হয়েছে।।
পারমার্থিক জ্ঞান হিন্দুদের
কেন গো মাংস খাওয়া উচিত না? গো মাতা কেন সনাতন ধর্মে পূজনীয় ? উত্তর:-
আমরা হিন্দুরা নানান জায়গায় মানুষের কাছ থেকে এই প্রশ্নের সম্মুখীন …
আরও পড়ুন » পূজা-পার্বনের তাৎপর্য ও মহিমা অম্বুবাচী
(আম্ববর্তী) কি? কেন অম্বুবাচী পালন করা হয়? প্রবাদে রয়েছে 'কিসের বার
কিসের তিথি, আষাঢ়ের সাত তারিখ অম্বুবাচী।' এদিন থেকেই হয় অম্…
আরও পড়ুন » পারমার্থিক জ্ঞান আমার
মতো ছেলেরা মনে করে, একটা মেয়ে হয়তো তাঁকে হ্যাপী করবে বা রাখতে পারে।
তদ্রুপ, একটা মেয়েও ভাবছে কোন ছেলে হয়তো তাঁর দুঃখ নিবারণ করবে। তবে
আমাদের…
আরও পড়ুন » পারমার্থিক জ্ঞান শ্রীকৃষ্ণ
হচ্ছেন সর্ব কারণের পরম কারণ এবং লীলা পুরুষােত্তম স্বয়ং ভগবান । গীতায়
বিভিন্ন শ্লোকে শ্রীকৃষ্ণ যে পরম পুরষ ভগবান তার উল্লেখ পাওয়া যায়, য…
আরও পড়ুন » পূজা-পার্বনের তাৎপর্য ও মহিমা মা
লক্ষ্মীর কৃপালাভের কিছু মন্ত্র ও আচার-অনুষ্ঠান ! মা লক্ষ্মীর চারটি হাত।
ধর্ম, কর্ম, অর্থ ও মোক্ষ— হিন্দুশাস্ত্রে এই চার হাতের তাৎপর্য ব্যাখ্য…
আরও পড়ুন » পারমার্থিক জ্ঞান ছাত্র-ছাত্রীদের
আট প্রকার প্রবণতা বিদ্যা অর্জনে বিশেষ বাধা-স্বরূপ: কাম ক্রোধ তথা লোভং
স্বাদ শৃঙ্গার কৌতুকে । অতি নিদ্রাহতি সেবে চ বিদ্যার্থী হৃষ্ট …
আরও পড়ুন » মহাপ্রসাদ
কিভাবে পৃথিবীতে আসলো? নারদ মুনির একবার বাসনা হলো যে তিনি ভগবান নারায়নের
প্রসাদ পেতে চান। কিন্তু যা ছিল অসম্ভব। কারন নারায়নের প্রসাদ কেবল …
আরও পড়ুন » বৈদিক গ্রন্থ সনাতন
ধর্মের মূল গ্রন্থসমূহ: বেদ ৪ টি-মন্ত্র সংখ্যা-২০,৪৩৪ ১.ঋগবেদ.
মন্ত্রসংখ্যা-১০,৫৮৯ ২.সামবেদ. মন্ত্রসংখ্যা-১,৮৯৩ ৩.যজু:বেদ. মন্ত্র
সংখ্যা-১,৯…
আরও পড়ুন » শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা গীতার ১৮ টি নামের মাহাত্ব্যঃ- ০১) গঙ্গা - এর অর্থ হল, গঙ্গায় ডুব দিলে কোন ব্যাক্তি তার সকল পাপ নাশ করতে পারে ।তাই সবার প্র…
আরও পড়ুন » পারমার্থিক জ্ঞান বেদ
শাস্ত্রে বলা হয়েছেঃ ------------------------------- আহার শুদ্ধৌ সত্ত্ব
শুদ্ধি সত্ত্ব শুদ্ধৌ। ধ্রুবাস্মৃতি স্মৃতিলম্ভে সর্বগ্রন্থিনাং
বিপ্রমোক্ষ…
আরও পড়ুন » পূজা-পার্বনের তাৎপর্য ও মহিমা অক্ষয়
তৃতীয়া হল চান্দ্র বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথি। অক্ষয় তৃতীয়া
বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ তিথি। অক্ষয় শব্দের অর্থ হল যা ক্ষয়প্রাপ্ত হয় ন…
আরও পড়ুন » পূজা-পার্বনের তাৎপর্য ও মহিমা রামায়
রাম-ভদ্রায় রামচন্দ্রায় মেধসে, রঘুনাথায় নাথায় সিতায় পাতায় নমঃ
শ্রীরাম নবমী তাৎপর্য ও মহিমাঃ শ্রীরামের নবমী তিথি লক্ষ লক্ষ সূর্যগ্রহ…
আরও পড়ুন » পূজা-পার্বনের তাৎপর্য ও মহিমা মা
মনসার ধ্যান মন্ত্র অনুসারে ------ . ওঁ দেবীমম্বামহীনাং শশধরবদনাং
চারুকান্তিং বদন্যাম্ । হংসারূঢ়মুদারামস সুললিতবসনাং সর্বদাং সর্বদৈব ।।
স্মেরাস্য…
আরও পড়ুন » সনাতন ধর্মের বিভ্রান্তি নিরসন রাশি
বা লগ্ন অনুসারে জেনে নিন আপনার বৈশিষ্ঠ্য........... রাশি বা লগ্ন, এই
দুইয়েরই বিচার করে বলে দেওয়া যায় একজন মানুষের ব্যক্তিত্ব। ১২টি লগ্ন
রয…
আরও পড়ুন » পূজা-পার্বনের তাৎপর্য ও মহিমা মহা
বারুণী স্নান মাহাত্ম্যঃ গঙ্গা হল পুণ্যদায়িনী। এটা আমরা সকলেই জানি। তাই
আমরা সকলেই গঙ্গা স্নান করে থাকি পুণ্য লাভের আশায়। আবার সমস্ত পূজোতে
গঙ…
আরও পড়ুন » পূজা-পার্বনের তাৎপর্য ও মহিমা আর
মাত্র হাতে গোনা কয়েক দিন তারপরই আসছে নববর্ষ। পুরনো বছরকে বিদায়
জানিয়ে নতুন বছরকে আগমন জানাবার সময় আর এই নতুন বছরের আগমনের আগেই আসবে
চৈত্র সং…
আরও পড়ুন » পূজা-পার্বনের তাৎপর্য ও মহিমা বাসন্তী
পূজা দূর্গাপূজা বা দূর্গোৎসব, সনাতনী হিন্দু সম্প্রদায়ের দেবী দূর্গাকে
কেন্দ্র করে প্রচলিত এক বৃহৎ উৎসব। এই দূর্গাপূজা সমগ্র হিন্দু সমাজেরই…
আরও পড়ুন » পূজা-পার্বনের তাৎপর্য ও মহিমা আসুন
সকলে জেনে নিই দোল পূর্ণিমা বা হোলি কি ? হিন্দু ধর্ম অনুসারে চারটি
যুগ-সত্যযুগ, ত্রেতাযুগ, দ্বাপরযুগ এবং কলিযুগ। বর্তমানে চলছে কলিযুগ। এর
আগের …
আরও পড়ুন » সাধু-গুরু-বৈষ্ণব ১৮৩৬
সালে একটি সাধারণ বাঙালি গ্রামীণ পরিবারে জন্মগ্রহণকারী রামকৃষ্ণ ছিলেন
একজন সাধারণ যোগসাধক, দার্শনিক ও ধর্মগুরু। তিনি উনিশ শতকের এমন এক
ব্যক্তি…
আরও পড়ুন » পূজা-পার্বনের তাৎপর্য ও মহিমা শিবের
প্রনাম মন্ত্রঃ নমঃ শিবায় শান্তায় কারণত্রয় হে তবে। নিবেদয়ামি
চাত্মানং ত্বং গতি পরমেশ্বর। দেবাদিদেব মহাদেব শিব চতুর্দশী ব্রত মাহাত্ম্য
…
আরও পড়ুন » পারমার্থিক জ্ঞান শ্রীমদ্ভগবদগীতা
কি? কেন গীতা পড়বেন? বর্তমান সময়ে প্রতিটি মানুষ অজ্ঞানতার অন্ধকারে
আবদ্ধ। ভগবদ গীতার আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে মনুষ্য সমাজকে সেই অন্ধকা…
আরও পড়ুন » পূজা-পার্বনের তাৎপর্য ও মহিমা অশ্বিনীকুমার
ব্রত মাহাত্ম্য আশ্বিনে রাধেঁ , কার্ত্তিকে খাঁয়, যে বর মাগে সেই বর পাই।।
অশ্বিনী (অশ্ব রূপিণী সূর্যপত্নী সংজ্ঞা) এবং তাঁর কুমার (পুত…
আরও পড়ুন » পূজা-পার্বনের তাৎপর্য ও মহিমা দামোদর
মাস ও ব্রত...মাহাত্ম্য গৌরাব্দ মাসের একটি মাসের নাম দামোদর মাস। এই
দামোদর মাসে মা যশোদা দড়ি দিয়ে শ্রীকৃষ্ণের উদরে বেধেঁছিলেন। এই মাসটি শ্র…
আরও পড়ুন » পূজা-পার্বনের তাৎপর্য ও মহিমা দুর্গাপূজার
তাৎপর্য, মহিমা ও বিভিন্ন তিথির আনুষ্ঠানিকতা এবং সময় নির্ঘণ্টঃ
শ্রীশ্রীচণ্ডী, শ্রীমদ্ভাগবত ও শ্রীমদ্ভগবদগীতা সনাতনী মানুষের নিত্যপাঠ্…
আরও পড়ুন » পূজা-পার্বনের তাৎপর্য ও মহিমা পিতৃপক্ষ
এবং দেবীপক্ষ বিশেষ তাত্পর্য্য পিতৃপক্ষ আর দেবীপক্ষের সন্ধীক্ষণ হচ্ছে
মহালয়া। ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষে শুরু হয়ে পরর্বতী অমাবস্যা র্পযন্ত…
আরও পড়ুন » একাদশি ব্রত পালনের তাৎপর্য মাহাত্ম্য ও নিয়মাবলিঃ একাদশী
ব্রত পালনের তাৎপর্য ও নিয়মাবলিঃ একসময় জৈমিনি ঋষি তার গুরুদেব মহর্ষি
ব্যাসদেবকে জিজ্ঞাসা করলেন, হে গুরুদেব! একাদশী কী? একাদশীতে কেন উপবা…
আরও পড়ুন » একাদশি ব্রত পালনের তাৎপর্য মাহাত্ম্য ও নিয়মাবলিঃ শয়ন
একাদশী মাহাত্ম্য মহারাজ যুধিষ্ঠির বললেন-'হে কৃষ্ণ! আষাঢ় মাসের
শুক্লপক্ষের একাদশীর নাম কি? এর মহিমাই বা কি? তা আমাকে কৃপা করে
বলুন।'শ্র…
আরও পড়ুন » একাদশি ব্রত পালনের তাৎপর্য মাহাত্ম্য ও নিয়মাবলিঃ আমলকী
একাদশী মাহাত্ম্য যুধিষ্ঠির বললেন-হে কৃষ্ণ! মহাফলদাতা বিজয়া একাদশীর কথা
শুনলাম।এখন ফাল্গুন মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী যে নামে বিখ্যাত তা বর্ণ…
আরও পড়ুন » একাদশি ব্রত পালনের তাৎপর্য মাহাত্ম্য ও নিয়মাবলিঃ পবিত্রারোপণী
একাদশী মাহাত্ম্য একদিন মহারাজ যুধিষ্ঠির ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণকে জিজ্ঞাসা
করলেন হে প্ৰভু ! শ্ৰাবণ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশীর নাম কি তা কৃপা …
আরও পড়ুন » একাদশি ব্রত পালনের তাৎপর্য মাহাত্ম্য ও নিয়মাবলিঃ অন্নদা
একাদশী মাহাত্ম্যঃ এই ভাদ্রবতী কৃষ্ণপক্ষীয়া অন্নদা একাদশীর মাহাত্ম্য
ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে বর্ণনা করা হয়েছে। মহারাজ যুধিষ্ঠির বললেন--হে কৃষ…
আরও পড়ুন » একাদশি ব্রত পালনের তাৎপর্য মাহাত্ম্য ও নিয়মাবলিঃ পার্শ্ব
একাদশী এর মাহাত্ম্য পার্শ্ব একাদশী মাহাত্ম্য: ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে
যুধিষ্ঠির শ্রীকৃষ্ণ সংবাদে বর্ণিত আছে। একদা যুধিষ্ঠির মহারাজ-ভগবান শ্র…
আরও পড়ুন » একাদশি ব্রত পালনের তাৎপর্য মাহাত্ম্য ও নিয়মাবলিঃ ইন্দিরা
একাদশী মাহাত্ম্য মহারাজ যুধিষ্ঠির বললেন- হে মধুসূদন!! আশ্বিন মাসের
কৃষ্ণপক্ষীয়া একাদশীর নাম কি তা কৃপা করে আমাকে বলুন। শ্রীকৃষ্ণ বললেন-…
আরও পড়ুন » একাদশি ব্রত পালনের তাৎপর্য মাহাত্ম্য ও নিয়মাবলিঃ সফলা
একাদশী মাহাত্ম্য পৌষ মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশীর নাম "সফলা"। ব্রহ্মাণ্ড
পুরাণে যুধিষ্ঠির শ্রীকৃষ্ণ সংবাদে এই তিথির মাহাত্ম্য বর্ণিত…
আরও পড়ুন » একাদশি ব্রত পালনের তাৎপর্য মাহাত্ম্য ও নিয়মাবলিঃ পুত্রদা
একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য যুধিষ্ঠি বললেন-হে কৃষ্ণ!! পৌষ মাসের শুক্লপক্ষের
একাদশীর নাম কি? বিধিই বা কি,কোন দেবতা ঐ দিনে পূজিত হন এবং আপনি ক…
আরও পড়ুন » একাদশি ব্রত পালনের তাৎপর্য মাহাত্ম্য ও নিয়মাবলিঃ ষটতিলা
একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য মাঘ মাসের কৃষ্ণপক্ষের 'ষটতিলা' একাদশীর মাহাত্ম্য
ভবিষ্যোত্তরপুরাণে বর্ণিত আছে। যুধিষ্ঠির মহারাজ বললেন-হে জগন…
আরও পড়ুন » একাদশি ব্রত পালনের তাৎপর্য মাহাত্ম্য ও নিয়মাবলিঃ পাপমোচনী
একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য যুধিষ্ঠির শ্রীকৃষ্ণকে বললেন- হে জনার্দন! চৈত্র
মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশীর নাম ও মাহাত্ম্য কৃপা করে আমাকে বলুন। শ্র…
আরও পড়ুন » শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা প্রথম
অধ্যায় অর্জুন বিষাদ-যোগ ধৃতরাষ্ট্র উবাচ ধর্মক্ষেত্রে কুরুক্ষেত্রে
সমবেতা যুযুৎসবঃ। মামকাঃ পান্ডবাশ্চৈব কিমকুর্বত সঞ্জয়।।১।। অনুবাদঃ…
আরও পড়ুন » শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা দ্বিতীয়
অধ্যায় সাংখ্য-যোগ সঞ্জয় উবাচ তং তথা
কৃপয়াবিষ্টমশ্রুপূর্ণাকুলেক্ষণম্। বিষীদন্তমিদং বাক্যমুবাচ মধুসূদনঃ।।১।।
অনুবাদঃ সঞ্জয় বললেন-…
আরও পড়ুন » শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা তৃতীয়
অধ্যায় কর্মযোগ অর্জুন উবাচ জ্যায়সী চেৎ কর্মণস্তে মতা
বুদ্ধির্জনার্দন। তৎ কিং কর্মণি ঘোরে মাং নিয়োজয়সি কেশব।।১।। অনুবাদঃ
অর্জুন বলল…
আরও পড়ুন » শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা একাদশ-অধ্যায়
বিশ্বরূপ-দর্শন-যোগ অর্জুন উবাচ মদনুগ্রহায় পরমং
গুহ্যমধ্যাত্মসংজ্ঞিতম্। যত্ত্বয়োত্তং বচস্তেন মোহোহয়ং বিগতো মম।।১।।
অনুবাদঃ অর্…
আরও পড়ুন » শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা দ্বাদশ-অধ্যায়
ভক্তিযোগ অর্জুন উবাচ এবং সততযুক্তা যে ভক্তাস্ত্বাং পর্যুপাসতে। যে
চাপ্যক্ষরমব্যক্তং তেষাং কে যোগবিত্তমাঃ।।১।। অনুবাদঃ অর্জুন জিজ…
আরও পড়ুন » শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা প্রকৃতি-পুরুষ
বিবেকযোগ অর্জুন উবাচ প্রকৃতিং পুরুষং চৈব ক্ষেত্রং ক্ষেত্রজ্ঞমেব চ। এতদ্
বেদিকুমিচ্ছামি জ্ঞানং জ্ঞেয়ং চ কেশব।।১।। অনুবাদঃ অর্জুন …
আরও পড়ুন » গুরু তত্ত্ব শিব
কল্প তরু শ্রী শ্রীমৎ স্বামী অদ্বৈতানন্দ পুরী মহারাজ শিব কল্প তরু শ্রী
শ্রীমৎ স্বামী অদ্বৈতানন্দ পুরী মহারাজ মানব কল্যাণ কামী ও সংসারত্যাগী
একজন…
আরও পড়ুন » গুরু তত্ত্ব শ্রী
অদ্বৈত আচার্য শ্রী অদ্বৈত আচার্য(১৪৩৪-১৫৫৮) বৈষ্ণব দার্শনিক। শ্রীহট্ট
(বর্তমান সিলেট) জেলার নবগ্রাম-লাউড় গ্রামে এক বারেন্দ্র ব্রাহ্মণ পরিব…
আরও পড়ুন » গুরু তত্ত্ব শ্রীগদাধর
পণ্ডিত : মহাপ্রভুর ছায়া শ্রীগদাধর পণ্ডিত শিশু কাল থেকেই মহাপ্রভুর
সঙ্গেই থাকতেন । তাঁর পিতার নাম ছিল মাধব মিশ্র আর মাতার নাম ছিল
রত্নাবলীদে…
আরও পড়ুন » সনাতন ধর্মের বিভ্রান্তি নিরসন সংঘাত
নিরসনের পন্থা আধ্যাত্মিক
ভিত্তি গঠন ভগবানের অবিচ্ছেদ্য অংশ হওয়ায়, আত্মা সমস্ত জড় উপাধি থেকে
মুক্…
আরও পড়ুন » পারমার্থিক জ্ঞান হরি
নামের মহিমা একদিন একজন অধার্মিক লোক একজন ধার্মিক লোককে বলছে, আচ্ছা!
হরিনাম করলেও মানুষের মৃত্যু হয়, না করলেও মৃত্যু হয়। তাহলে করার চেয়ে না
কর…
আরও পড়ুন » পারমার্থিক জ্ঞান কামকে
কিভাবে জয় করবেন ? প্রতিটি মানুষের অন্তরে রয়েছে শুদ্ধ কৃষ্ণ - প্রেম ।
কিন্তু এই প্রেম, ভক্তি ও শুদ্ধ চেতনা বিকৃত কামের দ্বারা আবৃত হয়ে আছে…
আরও পড়ুন » পারমার্থিক জ্ঞান ভগবান
শ্রীকৃষ্ণের প্রিয় হতে চান এই গুনগুলোর চর্চা করুনঃ এগুলোর সবগুলো অথবা
কয়েকটি গুন চর্চা করুন গুনগুলো আয়ত্ত্বে আনার জন্য চেষ্টা করুন। আর শ্রীকৃ…
আরও পড়ুন »
পারমার্থিক জ্ঞানমহাভারত
পড়ার সময় না থাকলেও এর মূল সূত্রগুলি আমাদের জীবনে কার্যকর প্রমাণ করতে
পারে----------------------- ১== যদি আপনি সময়মতো বাচ্চাদের ভুল দাব…
আরও পড়ুন » পারমার্থিক জ্ঞান বৈদিক
শাস্ত্রে জন্ম ও মৃত্যুযোগ অশৌচ সনাতন ধর্মের বৈদিক শাস্ত্রে জন্ম ও
মৃত্যুযোগ অশৌচ কি? অশৌচ দুই প্রকার যেমনঃ— ১৷ জননাশৌচঃ — পরিবারে কেউ
জন্মগ্র…
আরও পড়ুন » পারমার্থিক জ্ঞান পূজাতে
ঘট লাগে কেন? যে কোন পূজায় ঘট কেন অপরিহার্য? ঘট আমাদের দেহের
প্রতিরূপ।পূজার সময় পঞ্চগুড়ি দিয়ে পিঠ তৈরী করা হয়।এই
পঞ্চগুড়ি,পঞ্চমহাভূত …
আরও পড়ুন » পারমার্থিক জ্ঞান কলিযুগের
মানুষদের ভগবানের নামে রুচি নেই কেন ? এক সাধুবাবা সকলকে সৎপথে উপাৰ্জন
করার পরামৰ্শ দিতেন । তার কাছে এক রাজা প্রায়ই আসা - যাওয়া করতেন । একদ…
আরও পড়ুন »
পারমার্থিক জ্ঞান মহাভারতে
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কিছু বাণী ও উপদেশঃ ১.যখন সংসারে দেখার মত কিছুই থাকে
না, তখন মানুষ ঈশ্বর এর দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে। -(ভগবান শ্রীকৃষ্ণ)…
আরও পড়ুন » পারমার্থিক জ্ঞান শ্রীচৈতন্য
মহাপ্রভুর কিছু অমৃত বাণী কলির জীবের কল্যাণ আর উদ্ধারের জন্য
সচ্চিদানন্দঘন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এই ধরায় আবির্ভূত হন নিমাই রুপে।সময়ের …
আরও পড়ুন » পারমার্থিক জ্ঞান চার
যুগ-সত্য,ত্রেতা,দ্বাপর ও কলির সময় পরিমাণ ও বৈশিষ্ট্যসমূহঃ চার যুগের
সময় পরিমাণ ও বৈশিষ্ট্যসমূহ:- ★ ১.সত্য যুগ হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী সত্য
যুগ …
আরও পড়ুন » অডিও ভিডিও ভজন ও নামকীর্তন সনাতন
অডিও ভিডিও ভজন-আরতি-নামকীর্তন শুনুন এবং ডাউনলোড করুন নিচের লিংকে ক্লিক
করে... বি:দ্র:- আপলোডের কাজ চলমান রয়েছে ..কৃপা করে অপেক্ষা করুন …
আরও পড়ুন »
0 মন্তব্যসমূহ