শ্রীমদ্ভগবদগীতার শিক্ষণীয় ১৫টি বিষয়ঃ
🌺১)যা ঘটছে তা অবশ্যম্ভাবী এবং অনিবার্য।
আপনাকে বিশ্বাস করতে হবে যে, যাই ঘটছে তা মানুষের মঙ্গলের জন্যই ঘটছে। এর মধ্যে হস্তক্ষেপ করার বা একে থামানোর কোন অধিকার আপনার নেই।
🌺২)ভগবৎ গীতা আপনাকে শুধু ফলের চিন্তা না করে কর্ম করে যাওয়ার অনুমতি দেয়। কর্মফলের ওপর আপনার কোন দাবী নেই।
🌺৩)আত্মা
অমর ও একে ধ্বংস করা যায় না। একজন ব্যক্তির মৃত্যুর পর আত্মা কেবল শরীর
পরিবর্তন করে। আত্মা কখনোই ভিজে না বা আগুনে পুড়ে যেতে পারে না।
🌺৪)খালি
হাতেই আপনি জন্মে ছিলেন এবং সেই অবস্থাতেই আপনি এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবেন।
মৃত্যুর পর আপনি আপনার সাথে কোন পার্থিব সম্পদ বয়ে নিয়ে পারবেন না।
🌺৫)লোভ, লালসা এবং ক্রোধ বিষ-তুল্য, এগুলি
মানুষের
প্রকৃতি ও চরিত্রকে নষ্ট করে। একটি শান্তিপূর্ণ জীবন যার পথ আপনাকে
মহিমান্বিত করতে পারে তার জন্যে গীতা আপনাকে এই তিনটি অশুভ রিপু দ্বারা
ভুগতে দেয় না।
🌺৬)আপনি সন্দেহ ত্যাগ না করলে, মানসিক শান্তি পাওয়ার কথা আশা করতেই পারবেন না।
🌺৭)প্রতিটি
ব্যক্তি নিজের ভেতর থেকেই অনুপ্রেরণা নিয়ে থাকে, কারণ সে নিজেই নিজের পরম
বন্ধু বা শত্রু। সে নিজেই নিজের চিন্তা ও ধারণা থেকে বহুল পরিমাণে প্রভাবিত
হয়ে থাকে ও সেই অনুযায়ী কর্ম করে থাকে।
🌺৮)আপনার কর্ম ঈশ্বর দ্বারা যথোপযুক্ত বিচার
করা
হবে। মৃত্যুর পর আপনার কর্মের জন্য আপনাকে দণ্ড বা পুরস্কার পেতে হবে।
বিচার কেবলমাত্র মৃত্যুর পরই সম্পন্ন হবে এবং এটিই মৃত ব্যক্তির শেষ পরিণতি
নির্ধারণ করবে।
🌺৯)অন্য কারোর কাছ থেকে সম্মান পেতে হলে, আপনাকে আগে
তাদেরকে সম্মান দিতে হবে। আপনি নিজে যাকে সম্মান করেন না তার কাছ থেকে আপনি
সম্মান পাওয়ার আশা করতে পারেন না।
🌺১০)জীবনের সম্পদ বা অসুবিধা কিছুই
আপনি নিজে বেছে নিতে পারেন না। জীবন আপনাকে যা দেবে সেটাই আপনার মেনে নেওয়া
প্রয়োজন। এই বিষয়গুলি আপনার পূর্বকৃত- কর্মফলের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে
সম্পর্কিত।
🌺১১)একই জায়গায় স্থবির হয়ে থাকা মনুষ্য জাতির উদ্দেশ্য নয়।
কর্ম দ্বারা তাদেরকে অগ্রসর ও বিকশিত হতে হবে। মানুষের কর্মের ওপর ভিত্তি
করে ঈশ্বর তাদের পথ নির্ধারণ করবেন।
🌺১২)জগত ও সৃষ্টি প্রকৃতিগতভাবে
ক্ষয়িষ্ণু, তার ফলে এক না একদিন উভয়েরই অন্ত আসবে। পূর্ব নির্ধারিত দিন বা
সময়ে পরিসমাপ্তির সাথে মিলিত হওয়া থেকে আপনি তাদের আটকাতে পারবেন না।
🌺১৩)যেহেতু,
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ জগত ও সৃষ্টির পালক, আপনাকে শুধু আপনার কর্ম ও ক্রিয়া
তাঁকে উৎসর্গ করতে হবে। আপনার জীবনের সাফল্য ও ব্যর্থতার সিদ্ধান্ত তাঁকেই
নিতে দিন।
🌺১৪)জগত-সংসার ভগবান শ্রীকৃষ্ণেরই সৃষ্টি এবং সবই তাঁর
ইচ্ছাশক্তিতে ঘটছে। একজন মানুষ হিসাবে, এর বাইরে কিছু নিয়ে চিন্তা করার
অধিকার আপনার নেই।
🌺১৫)ধন-সম্পদ ও কামনার দাস বা হাতের পুতুল হয়ে পড়লে,
তা আপনার প্রকৃতি ও চরিত্রে একটা নিশ্চিত অধঃপতন নিয়ে আসতে পারে।
প্রকৃতপক্ষে এর ফল, চরম ব্যর্থতা হতে পারে।
হরেকৃষ্ণ। জয় শ্রীকৃষ্ণ।
সনাতন ধর্ম সম্পর্কে জানতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন-
আরো জানুনঃ
কেন প্রসাদভোজী হবেন? সমস্ত বৈদিক শাস্ত্র (বেদ,সংহিতা, মহাভারত, গীতা,ভাগবত,পুরাণ,উপনিষদ) থেকে প্রমান দেওয়া হলো...
চার যুগ-সত্য,ত্রেতা,দ্বাপর ও কলির সময় পরিমাণ ও বৈশিষ্ট্যসমূহঃ
শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর কিছু অমৃত বাণী
মহাভারতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কিছু বাণী ও উপদেশ
মনুষ্য দেহের কথা আলোচনা
আপনি কি অনেক হতাশায় ভুগছেন? সকল সমস্যাগুলোর সমাধান খুজে পান!!!!!!!!!!
ভগবান বিষ্ণুর গাত্র বর্ণ নীল কেন?
এই জগতে প্রকৃত জ্ঞানী,কে এই জগতে প্রকৃত সুখী,আর কে-ই বা প্রকৃত দুঃখী ?
অনাচার কাকে বলে ও কয় প্রকার?
কলিযুগের মানুষদের ভগবানের নামে রুচি নেই কেন ?
ঘট কিসের প্রতীক?
সনাতন ধর্মের বৈদিক শাস্ত্রে জন্ম ও মৃত্যুযোগ অশৌচ কি?
মহাভারত পড়ার সময় না থাকলেও এর মূল সূত্রগুলি আমাদের জীবনে কার্যকর প্রমাণ করতে পারে-----------------------
মহাভারতের কিছু বাণী
শ্রীমদভগবদগীতায় উচ্চারিত ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সকল নামের অর্থ ও মাহাত্ম্য
প্রকৃত ভালোবাসার খোঁজে..........
রাধাকৃষ্ণের প্রেম-কাহিনীর প্রকৃত রহস্য
ভক্তি কি ?
মায়া কি? মায়া থেকে পরিত্রাণের উপায় কি?
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কেন মাথায় ময়ূরপালক/পুচ্ছ পরিধান করতেন?
রাজা পুরঞ্জনের কেন পরবর্তী জন্মে নারী হয়ে জন্ম হয়েছিল ?
আমাদের সমস্ত দুঃখের কারণ অজ্ঞনতা। সুতরাং জানতে হলে পড়তে হবে।
শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা পড়তে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন.......
শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার আলোকে মানব জীবনের গুরুত্বপূর্ণ তত্ত্বজিজ্ঞাসা প্রশ্ন-উত্তরে জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন.......
সনাতন পারমার্থিক জ্ঞান সম্পর্কে জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন.......
0 মন্তব্যসমূহ