এই জগতে প্রকৃত জ্ঞানী,কে এই জগতে প্রকৃত সুখী,আর কে-ই বা প্রকৃত দুঃখী ?
সন্ত তুলসী দাসজী এই জগতের সকল জীবকে প্রকৃত সুখের সন্ধান দিয়ে অতি সুন্দরভাবে বলিলেন -
" নির্ধন কহে ধনবান সুখী,
ধনবান কহে রাজা কো সুখ ভারী;
রাজা কহে মহারাজা সুখী,
মহারাজা কহে ইন্দ্র কো সুখ ভারী;
ইন্দ্র কহে ব্রহ্মা সুখী,
ব্রহ্মা কহে বিষ্ণু কো সুখ ভারী ;
তুলসীদাস কহে মন মে বিচারি,
হরিভজন বিনা সব জগ দুখারী "
- শ্রী রামচরিতমানস।
যিনি শ্রীহরি ভজনে মতিমান,যিনি প্রভুর শ্রীচরনে নিজেকে সমর্পন করেছেন এ জগতে তিনিই সত্যিকারের সুখী,
বাকি...
.... সবাই দুঃখী।তাই তো বাস্তবে দেখা যায় সাধু সন্তগনের মুখে সদাই এক অম্লান দীপ্তি,পরম সন্তুষ্টি তাদের হৃদয়ে -"সন্তুষ্ট সততং যোগী.."- গীতা।
আর অপরদিকে লাখ কোটি টাকার উপর বসে থাকলেও,সংসারের বড়ো বড়ো উচ্চ পদে বিরাজমান হয়েও সংসারী লোকের হৃদয়ে শান্তি নাই -চরম এক অতৃপ্তি তাদের হৃদয়ে সর্বদা বিরাজ করে,তাই তারা অন্তরে কেবল দুঃখী।
জাগতিক সুখ জীবকে প্রকৃত সুখী করতে পারে না কারণ -এই জগৎ টাই "অনিত্য অসুখকরং দুঃখালয়ম্" - গীতা।আর অপরপক্ষে হরিভজনে "আনন্দাম্বুধী বর্ধনম্..."- শিক্ষাষ্টকম।
তাইতো ভক্ত ঠাকুর কলির বদ্ধ জীব সম্পর্কে বলিলেন "সাধু সঙ্গ করি হরি ভজে যদি তবে তো হয় অন্তক্লেশ"।
আমাদের প্রকৃত সুখের ঠিকানা গোবিন্দ পাদপদ্ম বা শ্রীরামজীর অভয়পদ।আর এটাই সত্য যে - যিনি সেই পরম সুখের সন্ধানকারী ব্যক্তি তিনিই এই জগতে প্রকৃত জ্ঞানী।
মীরাবাঈ,নরসীদেব,রূপ,সনাতন, নরোত্তম,তুলসীদাস,রুইদাস - এই সমস্ত অসংখ্য দিব্য ব্যক্তিগণের জীবন চরিত থেকে আমাদের সত্যিকারের সুখী হবার প্রকৃত শিক্ষা তথা জ্ঞান নিয়ে আমাদের দূর্লভ মানবজন্ম সার্থক করা উচিত।
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।।।।।।
" নির্ধন কহে ধনবান সুখী,
ধনবান কহে রাজা কো সুখ ভারী;
রাজা কহে মহারাজা সুখী,
মহারাজা কহে ইন্দ্র কো সুখ ভারী;
ইন্দ্র কহে ব্রহ্মা সুখী,
ব্রহ্মা কহে বিষ্ণু কো সুখ ভারী ;
তুলসীদাস কহে মন মে বিচারি,
হরিভজন বিনা সব জগ দুখারী "
- শ্রী রামচরিতমানস।
যিনি শ্রীহরি ভজনে মতিমান,যিনি প্রভুর শ্রীচরনে নিজেকে সমর্পন করেছেন এ জগতে তিনিই সত্যিকারের সুখী,
বাকি...
.... সবাই দুঃখী।তাই তো বাস্তবে দেখা যায় সাধু সন্তগনের মুখে সদাই এক অম্লান দীপ্তি,পরম সন্তুষ্টি তাদের হৃদয়ে -"সন্তুষ্ট সততং যোগী.."- গীতা।
আর অপরদিকে লাখ কোটি টাকার উপর বসে থাকলেও,সংসারের বড়ো বড়ো উচ্চ পদে বিরাজমান হয়েও সংসারী লোকের হৃদয়ে শান্তি নাই -চরম এক অতৃপ্তি তাদের হৃদয়ে সর্বদা বিরাজ করে,তাই তারা অন্তরে কেবল দুঃখী।
জাগতিক সুখ জীবকে প্রকৃত সুখী করতে পারে না কারণ -এই জগৎ টাই "অনিত্য অসুখকরং দুঃখালয়ম্" - গীতা।আর অপরপক্ষে হরিভজনে "আনন্দাম্বুধী বর্ধনম্..."- শিক্ষাষ্টকম।
তাইতো ভক্ত ঠাকুর কলির বদ্ধ জীব সম্পর্কে বলিলেন "সাধু সঙ্গ করি হরি ভজে যদি তবে তো হয় অন্তক্লেশ"।
আমাদের প্রকৃত সুখের ঠিকানা গোবিন্দ পাদপদ্ম বা শ্রীরামজীর অভয়পদ।আর এটাই সত্য যে - যিনি সেই পরম সুখের সন্ধানকারী ব্যক্তি তিনিই এই জগতে প্রকৃত জ্ঞানী।
মীরাবাঈ,নরসীদেব,রূপ,সনাতন, নরোত্তম,তুলসীদাস,রুইদাস - এই সমস্ত অসংখ্য দিব্য ব্যক্তিগণের জীবন চরিত থেকে আমাদের সত্যিকারের সুখী হবার প্রকৃত শিক্ষা তথা জ্ঞান নিয়ে আমাদের দূর্লভ মানবজন্ম সার্থক করা উচিত।
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।।।।।।
সনাতন ধর্ম সম্পর্কে জানতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন-
আরো জানুনঃ
কেন প্রসাদভোজী হবেন? সমস্ত বৈদিক শাস্ত্র (বেদ,সংহিতা, মহাভারত, গীতা,ভাগবত,পুরাণ,উপনিষদ) থেকে প্রমান দেওয়া হলো...
চার যুগ-সত্য,ত্রেতা,দ্বাপর ও কলির সময় পরিমাণ ও বৈশিষ্ট্যসমূহঃ
শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর কিছু অমৃত বাণী
মহাভারতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কিছু বাণী ও উপদেশ
মনুষ্য দেহের কথা আলোচনা
আপনি কি অনেক হতাশায় ভুগছেন? সকল সমস্যাগুলোর সমাধান খুজে পান!!!!!!!!!!
ভগবান বিষ্ণুর গাত্র বর্ণ নীল কেন?
এই জগতে প্রকৃত জ্ঞানী,কে এই জগতে প্রকৃত সুখী,আর কে-ই বা প্রকৃত দুঃখী ?
অনাচার কাকে বলে ও কয় প্রকার?
কলিযুগের মানুষদের ভগবানের নামে রুচি নেই কেন ?
ঘট কিসের প্রতীক?
সনাতন ধর্মের বৈদিক শাস্ত্রে জন্ম ও মৃত্যুযোগ অশৌচ কি?
মহাভারত পড়ার সময় না থাকলেও এর মূল সূত্রগুলি আমাদের জীবনে কার্যকর প্রমাণ করতে পারে-----------------------
মহাভারতের কিছু বাণী
শ্রীমদভগবদগীতায় উচ্চারিত ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সকল নামের অর্থ ও মাহাত্ম্য
প্রকৃত ভালোবাসার খোঁজে..........
রাধাকৃষ্ণের প্রেম-কাহিনীর প্রকৃত রহস্য
ভক্তি কি ?
মায়া কি? মায়া থেকে পরিত্রাণের উপায় কি?
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কেন মাথায় ময়ূরপালক/পুচ্ছ পরিধান করতেন?
রাজা পুরঞ্জনের কেন পরবর্তী জন্মে নারী হয়ে জন্ম হয়েছিল ?
আরো পড়ুন.....
0 মন্তব্যসমূহ