১৮৩৬ সালে একটি সাধারণ বাঙালি গ্রামীণ পরিবারে জন্মগ্রহণকারী রামকৃষ্ণ ছিলেন একজন সাধারণ যোগসাধক, দার্শনিক ও ধর্মগুরু। তিনি উনিশ শতকের এমন এক ব্যক্তিত্ব যিনি বাঙালি নবজাগরণে এক পঞ্চমুখ ভূমিকা রেখেছিলেন। একটি শিশু উজ্জীবিত, তার গর্ভে থাকাকালীন তার বাবা-মা আধ্যাত্মিক দৃষ্টিভঙ্গি অনুভব করেছিলেন এবং যেমনটি প্রত্যাশা করা হয়েছিল, তিনি শৈশবকালেই তিনি রহস্যময় ও অলৌকিক শক্তির অভিজ্ঞতা অর্জন শুরু করেছিলেন। তিনি বাংলায় হিন্দু ধর্মের পুনর্জাগরণের ক্ষেত্রে প্রধান ব্যক্তি ছিলেন।
রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের জীবনীঃ
রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের প্রাথমিক জীবনঃ
১৮৩৬ সালে ১৮ই ফেব্রুয়ারি রামকৃষ্ণ পরমহংস পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার কামারপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায় এবং মা চন্দ্রমণি দেবী। রামকৃষ্ণের গদাধর চট্টোপাধ্যায় হিসাবে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
যখন থেকে চন্দ্রমণি তাকে ধারণ করেছিলেন, তখন থেকেই তিনি এবং তার স্বামী উভয়ই অলৌকিক ও রহস্যময় অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিলেন যা তাদের নিশ্চিত করেছে যে গদাধর কোনও সাধারণ শিশু হবে না।
তরুণ গদাধর পড়তে ও লিখতে গ্রামের স্কুলে ভর্তি হয়েছিল তবে সে পড়াশুনো থেকে খেলতে পছন্দ করত। তিনি হিন্দু দেবদেবীদের মাটির প্রতিমা আঁকতে এবং বানাতে পছন্দ করতেন।
তিনি তার মায়ের কাছ থেকে শুনে আসা লোক ও পৌরাণিক কাহিনী দ্বারা আকৃষ্ট হয়েছিলেন। তিনি ধীরে ধীরে রামায়ণ, মহাভারত, পুরাণ এবং অন্যান্য পবিত্র সাহিত্য পাঠ করেন। তরুণ গদাধর প্রকৃতিকে এতটাই পছন্দ করতেন যে তিনি তাঁর বেশিরভাগ সময় উদ্যান এবং নদীর তীরে কাটাতেন।
১৮৪৩ সালে গদাধরের পিতার মৃত্যুর পরে, পরিবারের দায়িত্ব পড়ে তার বড় ভাই রামকুমারের উপর। পরিবারের উপার্জনের জন্য রামকুমার কলকাতায় ফিরে বাড়ি ছেড়ে চলে যান।
গদাধর তাঁর পরিবারের যত্ন নেওয়া এবং গ্রামে দেবতার নিয়মিত উপাসনা শুরু করেন, যা আগে তাঁর ভাই পরিচালিত করেছিলেন। তিনি গভীরভাবে ধর্মীয় এবং উপাসনা করেছিলেন। ইতিমধ্যে তিনি কলকাতায় সংস্কৃত পড়ানোর জন্য একটি স্কুল খোলেন এবং বিভিন্ন সামাজিক-ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পুরোহিত হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
তিন বছর পরে, তিনি রামকুমারের একজন সহকারী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন এবং দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দিরে পুরোহিত হয়েছিলেন। রামকুমারের মৃত্যুর পরে তিনি কালী ধর্মীয় মন্দিরে পুরোহিতের পদ গ্রহণ করেন।
পাশের গ্রামে পাঁচ বছর বয়সী সারদামনি সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন যখন তিনি তেইশ বছর বয়সে ছিলেন। সারদামনি আঠার বছর বয়সে দক্ষিণেশ্বরে স্বামীর সাথে যোগ দেন। রামকৃষ্ণ সারদা মাকে দিব্য মাতৃকাজ্ঞানে পূজা নিবেদন করেছিলেন। তাকে দেবী কালীর আসনে মায়ের রূপে পূজা করেছিলেন। রামকৃষ্ণ দেব বলতেন নারীমাত্রেই জগজ্জননীর রূপ, তাই তার স্ত্রী মায়ের এক রূপ। সারদা দেবী তার স্বামীর আদেশ মেনে খুব সহজেই শিষ্যদের কাছে মায়ের ভূমিকা পালন করেছিলেন।
দক্ষিণেশ্বরে পৌরোহিত্যঃ
দক্ষিণেশ্বরে পৌরোহিত্যঃ
১৮৫৫ সালে দক্ষিণেশ্বরে কালী মন্দিরটি কলকাতার এক ধনী জমিদারপত্নী রানি রাসমণি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মন্দিরের পুরোহিত খুঁজতে খুব অসুবিধা হয়েছিল। তাই রানি রাসমণির জামাই মথুরবাবু কলকাতার রামকুমারে কাছে আসে এবং তাকে মন্দিরে প্রধান পুরোহিতের পদ দেন। যার পরে গদাধরও মন্দিরে চলে আসেন এবং প্রতিদিনের আচার-অনুষ্ঠানে সাহায্য করেন। তিনি মন্দিরে দেবতাকে সাজাতেন।
১৮৫৬ সালে রামকুমার মারা যাওয়ার পরে গদাধর মন্দিরে প্রধান পুরোহিতের পদ গ্রহণ শুরু করেছিলেন। এভাবে গদাধরের পুরোহিত হিসাবে যাত্রা শুরু হয়। বলা হয় গদাধরের পবিত্রতা এবং অলৌকিক ঘটনার সাক্ষী। মথুরবাবু তরুণ গদাধরের নাম রামকৃষ্ণ রেখেছিলেন।
বিশ্বাসের মূল্যঃ
ধর্মে যারা মানে তারা ঐশ্বরিক শক্তিতে বিশ্বাসী।আর যারা নাস্তিক,শুধু বিজ্ঞান মানে তারা আবার সেই শক্তিকে প্রকৃতি নামে বিশ্বাস করে। আর যারা আমার মতো মধ্যপন্থী তারা মনে মনে ভেবে নেয় যে ওই উপরে কেউ একজন আছেন যিনি সর্বশক্তিমান। কিন্তু বিশ্বাসটা খাঁটি হতে হবে।অর্থাৎ বিশ্বাস খাঁটি হলে অনেক সময় মিথ্যাও সত্যি হয়ে মানুষের উপকার করে।কথায় আছে না বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহু দূর।এ ব্যাপারে রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের মুখঃনিশ্রিত একটি শিক্ষামূলক গল্প আজ পরিবেশন করছি।
অনেকদিন আগে,গঙ্গাতীরে এক গোয়ালা তার মেয়েকে নিয়ে বাস করতো। মেয়েটির নাম কমলা।কমলার বয়স তের। তাদের কয়েকটা গোরু আছে। গোরুগুলো প্রচুর দুধ দেয়। রোজ কমলা খুব ভোরে ওঠে। তার বাবার দুধ দোয়া হলে সে বাড়ি বাড়ি দুধ বিক্রি করে আসে। বাড়ি ফিরে ঘর পরিষ্কার করা, রান্নাবান্না করা ইত্যাদি সব কাজ করে। কঠোর পরিশ্রম করলেও কমলার বেশ আনন্দে দিন কাটে। কাজ করার সময় মনের আনন্দে হরিনাম করে।আর তার বাবা বলে : কমলা যখন হরিনাম করে তখন যেন শ্রীহরি তাদের কুটিরে বিরাজ করেন।তাদের বাড়ির কাছেই গঙ্গার ধারেই এক মাঝিও বাস করে। কেউ নদীর এপারে যেতে চাইলে মাঝি পার করে দেয়। প্রতিদিন মাঝি বহুবার নদী পারাপার করে। প্রায়ই কমলা ও তার বাবার কাছে ওপারের গল্প করে। একদিন মাঝি বলল : নদীর ওপারে একজন পণ্ডিত থাকেন। রোজ তাঁর একটু দুধ লাগে। তাঁকে বলেছি এ-ব্যাপারে আপনার সঙ্গে কথা বলব।
কমলার বাবা বললে : আমি দুধ দিতে পারি। কিন্তু রোজ কি করে কমলা পণ্ডিতের বাড়ি যাবে ? তাকে নদী পার হতে হবে ?
মাঝি বলল : কোন অসুবিধা হবে না। রোজ সকালে নৌকায় করে আমি পার করে দেব। পরের দিন সকালে কমলা দুধ নিয়ে পণ্ডিতের বাড়ি রওনা দিল। মাঝি পার করে দিল।
পণ্ডিত খুব খুশি। তিনি বললেন : রোজ সকালে এই সময় আমার জন্য দুধ নিয়ে আসতে পারবি তো ?
কমলা বলল : আজ্ঞে হ্যাঁ, ঠাকুরমশায়। আমি রোজ এই সময় দিয়ে যাব।
- দেখিস, ঠিক সময়ে আসিস। নইলে আমার সারাটা সকাল নষ্ট হবে।
- আজ্ঞে না, আমার দেরি হবে না।
- প্রত্যেক শুক্রবারের বিকালে তোর দুধের দাম দেব।
- ঠিক আছে ঠাকুরমশায়।
রোজ সকালে কমলা মাঝির নৌকায় নদী পার হয়। আর পণ্ডিতের বাড়িতে দুধ দিয়ে আসে। নৌকায় বসে সে হরিনাম করে। প্রত্যেক দিন কমলা ঠিক সময়ে পণ্ডিতের বাড়ি পৌঁছায়। কোনদিন দেরি হয় না।এইভাবে দিন যায়। রোজ সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠতে গিয়ে মাঝি ক্লান্ত হয়ে পড়ল। ক্রমশ দেরি করতে লাগল। এদিকে কমলা নদীর ধারে মাঝির অপেক্ষায় থাকে।
দুধ দিতে অনেক বেলা হয়ে যায় দেখে পণ্ডিত রেগে গেলেন। তিনি কমলাকে বললেন : উঁহু ! এভাবে চলবে না। রোজ ঠিক সময়ে আমার দুধ আনতে হবে। কমলা রোজই মাঝিকে সকাল সকাল উঠতে বলে। কিন্তু সে অপারগ ।
পরের দিন পণ্ডিত ধমক দিয়ে বললেন : আবার দেরি হল কেন ?
কমলা বললে : ঠাকুর মশায়, আমার কিছু করার নেই। খেয়াপার হয়ে আসি। ওই মাঝি দেরি করেছে।
পণ্ডিত বললেন : মাঝি-টাঝি বুঝি না। নির্দিষ্ট সময়ে আমায় দুধ দিয়ে যেতে হবে, বুঝলি ?
ক্ষুণ্ণমনে কমলা বাড়ি ফিরে এল।আজ শুক্রবার । দুধের দাম আনতে বিকালে আবার কমলাকে নদীপার হয়ে পণ্ডিতের বাড়ি যেতে হবে।
ওইদিন পণ্ডিতের বাড়িতে অনেক লোক। সকলে বারান্দায় বসে আছে। আর পণ্ডিত শাস্ত্রপাঠ ও ব্যাখ্যা করছেন।
ধর্মগ্রন্থে উল্লেখ আছে - এই সংসারযাত্রা, জন্ম থেকে মৃত্যু, যেন এক অপার সমুদ্র পার হওয়া।
পণ্ডিত বলছেন : ভয় পাবার কিছু নেই। তোমরাও অনায়াসে ভবসাগর পার হয়ে যাবে, যদি যাবার সময় হরিনাম কর।
ঠিক সেই সময় কমলা পণ্ডিতের বাড়ি পৌঁছাল। ভব সমুদ্র পার হওয়ার কথা শুনে মনে মনে ভাবল : আমার ভাবনা সাগরের জন্য নয়। এই নদীটা পার হওয়া আমার এক সমস্যা। মনে হয়, কাল সকালে মাঝি দেরি করবে না।পরের দিন কমলা নদীর ধারে অপেক্ষা করছে। মাঝি এখনও আসেনি। তাই সে খুব উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ল। শেষে কাঁদতে লাগল। নিতান্ত অসহায় হয়ে কেঁদে কেঁদে বলছে : দুধ দিতে আবার দেরি হবে। পণ্ডিত মশায় আমার উপর রাগ করবেন। আমায় আবার ধমকাবেন। কিন্তু কি করি এখন ? হরিই কেবল রক্ষা করতে পারেন।
তখন পণ্ডিতের কথা মনে পড়ল। তিনি কাল বলেছেন : তোমরাও অনায়াসে ভবসাগর পার হয়ে যাবে, যদি যাবার সময় হরিনাম কর।
কমলা ভাবল : ঠিক তো ! আগে কেন এরকম চিন্তা করিনি ? আমি কি বোকা ! যে অত বড় সাগর পার হতে পারে সে অনায়াসে একটা ছোট নদী পার হতে পারে ! হরিনাম করতে করতে আমি তো নদী পার হতে পারি !
অমনি কমলা দুধের কলসি মাথায় নিয়ে হরিকে স্মরণ করে নদীতে নেবে পড়ল। ডুবল না কিন্তু। অনায়াসে নদীর উপর দিয়ে যেতে লাগল। যেন ডাঙ্গা পথে হেঁটে যাওয়া। মুখে কেবল : হরি, হরি, হরি।
এইভাবে হরিনাম করতে করতে কমলা নদী পার হয়ে গেল। আর যথা সময়ে পণ্ডিতের বাড়ি পৌঁছাল।
পণ্ডিত বললেন : আ! আজ তাহলে ঠিক সময়ে এসেছিস ? মাঝি বুঝি সকাল সকাল উঠেছে, না ?
কমলা বলল : না পণ্ডিতমশায়। মাঝি আজও দেরি করেছিল। কিন্তু আজ আমি তার জন্যে আর অপেক্ষা করিনি।
পণ্ডিত অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করলেন : মাঝির জন্য তুই অপেক্ষা করিসনি ? তাহলে এসেছিস কি করে ?
- কেন পণ্ডিত মশায়, আমি তো আপনার পথেই এসেছি। এটাই ভাল পথ। রোজ আমাকে ধমক না দিয়ে এ-সম্বন্ধে কিছু বলেননি কেন আগে ?
- কি বলছিস পাগলী ? 'আমার পথ' আবার কি ? তুই কি বলতে চাস ?
- কিন্তু কালকেই তো আপনি বলছিলেন ভবসাগর পার হওয়ার কথা - 'যাবার সময় হরিনাম কর'। সমুদ্র পার হওয়ার যদি এই পথ তাহলে নদী পারাপার করারও ওই একই পথ - তাই না ? ঠাকুর মশায়, আপনি এটা জানতেন ; কিন্তু আমায় কোনদিন বলেননি !
বিস্ময়াকুল পণ্ডিত কমলার দিকে হাঁ করে তাকিয়ে রইলেন। কিছুক্ষণ পরে বললেন : তুই কি বলতে চাস যে ওভাবে নদী পেরিয়েছিস ?
- আজ্ঞে হ্যাঁ। এতে কোন কষ্ট নেই। আপনি তো জানেন এটা কত সহজ। এখন থেকে রোজ ঠিক সময়ে আপনার দুধ নিয়ে আসতে পারব। আমার খুব আনন্দ হচ্ছে।
পণ্ডিত তখনও কমলার দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে আছেন। তার কথা বিশ্বাসযোগ্য কিনা কিছুই বুঝতে পারছেন না।
'আমার সঙ্গে আয়' এই বলে কমলাকে নদীর তীরে নিয়ে গেলেন। তারপর বললেন : যা, বাড়ি যা। তোর নদী পার হওয়া দেখব।
- কিন্তু আপনি আমার সঙ্গে আসবেন না পণ্ডিত মশায় ? বাবা আপনাকে দেখে খুশি হবেন।
- না - মানে - না, তুই আগে যা। পরে আমি আসছি।
- না পণ্ডিত মশায়, তা কি করে হয় ? আপনিই আগে চলুন।
পণ্ডিত না বলতে পারলেন না। অগত্যা নদীর ধারে এলেন। মুখে হরিনাম করছেন। তারপর জলে এক পা বাড়ালেন।
নামবার সময় হঠাত্ মনে পড়ল ধুতিটা বড় লম্বা, ভিজে যেতে পারে। এই ভেবে হাত দিয়ে তাড়াতাড়ি কাপড় গুটোতে লাগলেন। এক মুহূর্তও জলের উপর পা থাকল না। ডুবে যাচ্ছেন, আর নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন।
কমলা চিত্কার করে উঠল : হরি, হরি, হরি। হরিনাম করতে করতে সে জলের উপর দাঁড়িয়ে রইল। পণ্ডিতের হাত ধরে জল থেকে তুলে পাড়ে নিয়ে এল। সে বলল : আমি দুঃখিত, আপনি ভিজে গেছেন। আপনি ধুতির কথাই চিন্তা করছিলেন। তাই না ?
পণ্ডিত বললেন : হে কমলা। তুমি ঠিকই বলেছ।আসলে আমি সেদিন মুখে সবাইকে 'যাবার সময় হরিনাম কর' বললেও মনে মনে ভাবতাম কথাটা মিথ্যা।কিন্তু তোমার বিশ্বাসও ষোলআনা খাঁটি। এখন তুমি বাড়িতে তোমার বাবার কাছে ফিরে যাও। তুমি তো অনায়াসে নদী পার হয়ে যাবেই, মা। আর এভাবেই ভবসাগরও পার হয়ে যাবে। কেননা তুমি পথ চলার সময় পরম বিশ্বাসে একমনে হরিনাম করতে শিখেছো তুমি ধন্য।
সাড়া বিশ্বে অসংখ্য মানুষকে অনুপ্রাণিত করে অসংখ্য মানুষকে অনুপ্রাণিত করে পুন পথ দেখাবেঃ
১) মানুষের জীবনের উদ্দেশ্য হল ভালোবাসা।
২) অহঙ্কার না থাকলে জীবনে কোনও সমস্যাও থাকে না।
৩) সব ধর্মই সত্য। যে কোনও ধর্মের পথ ধরেই ভগবানের কাছে পৌঁছনো যায়। নদী বিভিন্ন পথ ধরে প্রবাহিত হয় কিন্তু সাগরে গিয়েই মেশে. োলো সবই এক।
৪) চিনি আর বালি একসঙ্গে মিশিয়ে পিঁপড়ের কাছে রাখো। পিঁপড়ে ঠিক চিনি বেছে নেবে. একজন পবিত্র ও ধর্মপ্রাণ মানুষও খারাপ থেকে ভালো বেছে নেয়.
.
৫) ঈশ্বরের চরণে নিজেকে সমর্পিত না করলে মানুষের জীবনে আর কিছঁই কিছঁই কিছুে।
৬) যতদিন বাঁচি, তদিনই শিখি।
৭) সত্যি বলতে ভয় পেলে চলবে না। সত্যের হাত ধরেই ঈশ্বর দর্শন হয়।
৮) সূর্য সারা পৃথিবীকে আলো আর উত্তাপ দেয়। কিন্তু ঘন কালো মেঘ যখন সূর্যকে ঢেকে দেয়, তখন সে আর আলো দিে। সেরকমই আত্মঅহঙ্কার যখন মনের মধ্য বাসা বাঁধে, তখন ঈশ্বআাওে।
ভন ভালো-মন্দ আর উঁচ- নিচুর তফাৎ মুছে যাবে।
১০) ঈশ্বরের কাছে তুমি ভক্তি চাইবে, আর এটাও চেয়ে নিও যওখমখেদেনে কানে।
সনাতন ধর্ম সম্পর্কে জানতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন-
আরো জানুনঃ
কেন প্রসাদভোজী হবেন? সমস্ত বৈদিক শাস্ত্র (বেদ,সংহিতা, মহাভারত, গীতা,ভাগবত,পুরাণ,উপনিষদ) থেকে প্রমান দেওয়া হলো...
চার যুগ-সত্য,ত্রেতা,দ্বাপর ও কলির সময় পরিমাণ ও বৈশিষ্ট্যসমূহঃ
0 মন্তব্যসমূহ